Ajker Patrika

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি, ভিডিও ভাইরাল  

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ১৭
প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি, ভিডিও ভাইরাল  

ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে অনবরত সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরছেন দুই ব্যক্তি। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি গতকাল রোববার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনের নির্বাচন চলাকালে একটি ভোটকেন্দ্রের বলে জানা গেছে।

রোববার বিকেল থেকে ৭ মিনিটের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুমকি উপজেলার ২২ নম্বর জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরতে দেখা যায়।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকেও নিশ্চিত করেছেন ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

সিল মারায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন মো. জসীম সিকদার ও মো. আবুল বাশার ডাক্তার। জসীম জাতীয় পার্টির সমর্থক, তবে তিনি মশাল প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ওই কেন্দ্রে ছিলেন। আর আবুল বাশার ডাক্তার জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং এই আসনে জোটের প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের লাঙ্গল প্রতীকের ওই কেন্দ্রের এজেন্ট ছিলেন।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দুমকি উপজেলার ২২ নম্বর জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। আর তাঁর সামনেই মো. জসীম সিকদার (কালো ব্লেজার পরা) ব্যালট বাক্স নিয়ে গোপন কক্ষে চলে যান এবং সেখানে বসে অনবরত ব্যালট পেপারে টিপসই দিয়ে আবার চলে এসে ওই পেপারেই সিল মারতে থাকেন। এ ছাড়া তাঁর সামনেই আবুল বাশার (পাঞ্জাবি পরা) ব্যালট পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল বাশার ডাক্তার বলেন, ‘আমি লাঙ্গলের এজেন্ট ছিলাম, কিন্তু জসিম মশালের ছিলেন। আমার কাছে হেল্প চাইছে। পরে আমি গিয়া কয়েকটা পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছি। পরে যখন দেখছি এটা বেআইনি, তখন আমি চলে আসছি।’

তবে অভিযুক্ত জসীম সিকদার বলেন, ‘আমি শুধু আমার ভোটটা দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও এডিট করে কীভাবে বসাইছে জানি না।’

ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি তাদের চিনি না, তাদের বাধা দিছিলাম এবং প্রিসাইডিং অফিসারকেও জানাই ছিলাম। কিন্তু তাঁর কাছে বলেই ঢুকেছে। দুজনই লাঙ্গলের লোক কিন্তু একটু টেকনিক করে একজন লাঙ্গলের এবং অন্যজনের ক্যান্ডিডেট হয়ে এজেন্ট ছিল। বোঝেনই তো।’

কতটি ব্যালট পেপারে সিল মেরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক বান্ডিলের কম না। বেশিও হতে পারে।’

এ ব্যাপারে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আ. ছত্তার বলেন, ‘আমি শুনেছি, এ রকম ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমি তখন নামাজে গিয়েছিলাম।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না এবং আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ ও দেয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত