বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মো. কবির খান জুয়েল ও রাশিদা কবির মুক্তা দম্পত্তির দুই কন্যা ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহি গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তাঁরা থাকতেন ঢাকার মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় তাঁদের লাশ দাফন করা হয়েছে। দুই মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্দ পরিবার।
মাহি ও দোলার সম্পর্কে চাচা হুমায়ুন কবির হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দোলা ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আইএফআইসি ব্যাংকে চাকরি করত। বছর দুয়েক আগে তার বিয়ে হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসে। বিকেলে বান্ধবী স্মৃতি তাঁকে ফোন দিয়ে এজিবি কলোনির বাসা থেকে নিয়ে যায়। অনেক দিন পর দেখা দুই বান্ধবীর। হাটতে হাটতে বেইলি রোডে যায়। সে সময়ে বেইলি রোডে একটি টিউশনি শেষ করে দোলার ছোট বোন মাহি বের হয়। মাহিও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।’
তাঁরা তিনজন নৈশভোজ সারতে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে ঢোকেন। এরপর অকস্মাৎ নিচতলার ফাস্ট ফুডের দোকানে আগুন দেখেন দ্রুত ওপর ছড়িয়ে পড়ছে। হন্তদন্ত হয়ে সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছোটেন। স্মৃতি যেকোনোভাবে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাহি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। দোলা তাঁকে তুলতে গিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিলম্বের কারণে বের হওয়ার সুযোগ আর তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। তাঁরা সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। যখন তাঁরা সেখানে আটকা পড়েন, সে সময় তাঁদের মায়ের সঙ্গে একবার কথা হয়। জানালেন মা আমরা আটকা পড়েছি। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মা-বাবা তাঁদের সন্ধানে ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁদের আর পাননি। অবশেষে তাঁদের নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার শাজাহানপুর গোরস্থানে জানাজা শেষে মাহি ও দোলার লাশ দাফন করা হয়।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মো. কবির খান জুয়েল ও রাশিদা কবির মুক্তা দম্পত্তির দুই কন্যা ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহি গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তাঁরা থাকতেন ঢাকার মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় তাঁদের লাশ দাফন করা হয়েছে। দুই মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্দ পরিবার।
মাহি ও দোলার সম্পর্কে চাচা হুমায়ুন কবির হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দোলা ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আইএফআইসি ব্যাংকে চাকরি করত। বছর দুয়েক আগে তার বিয়ে হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসে। বিকেলে বান্ধবী স্মৃতি তাঁকে ফোন দিয়ে এজিবি কলোনির বাসা থেকে নিয়ে যায়। অনেক দিন পর দেখা দুই বান্ধবীর। হাটতে হাটতে বেইলি রোডে যায়। সে সময়ে বেইলি রোডে একটি টিউশনি শেষ করে দোলার ছোট বোন মাহি বের হয়। মাহিও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।’
তাঁরা তিনজন নৈশভোজ সারতে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে ঢোকেন। এরপর অকস্মাৎ নিচতলার ফাস্ট ফুডের দোকানে আগুন দেখেন দ্রুত ওপর ছড়িয়ে পড়ছে। হন্তদন্ত হয়ে সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছোটেন। স্মৃতি যেকোনোভাবে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাহি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। দোলা তাঁকে তুলতে গিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিলম্বের কারণে বের হওয়ার সুযোগ আর তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। তাঁরা সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। যখন তাঁরা সেখানে আটকা পড়েন, সে সময় তাঁদের মায়ের সঙ্গে একবার কথা হয়। জানালেন মা আমরা আটকা পড়েছি। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মা-বাবা তাঁদের সন্ধানে ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁদের আর পাননি। অবশেষে তাঁদের নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার শাজাহানপুর গোরস্থানে জানাজা শেষে মাহি ও দোলার লাশ দাফন করা হয়।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
২ ঘণ্টা আগে