তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে সদ্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়া নারী ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীকে জনসম্মুখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীসহ স্থানীয় তিন জেলে আহত হয়েছেন। এদিকে হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার লাউপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ নারী সদস্য নুরজাহান বেগম, স্বামী মাসুদ পিয়াদা ও জেলে নুর হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য শেষ হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দেয়োয়ারা হামিদ। এই নির্বাচনে উপজেলার ৯৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোট দেন। এতে ওই প্রার্থী ১২টি ভোট পান। এতে ওই প্রার্থী সন্দেহ করেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য নুরজাহান বেগম তাঁকে ভোট দেননি।
পরে বুধবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় পরাজিত প্রার্থীর নাতি হৃদয় ফকির ওই ইউপি সদস্যকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় হৃদয় বলতে থাকেন, ‘টাকা নিয়ে আমাদের ভোট দেওনি।’
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বিষয়টি সমাধান করে দুই পক্ষকে পাঠিয়ে দেয়। এর কিছু সময় পরে হৃদয় ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এসে ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জনসম্মুখে হামলা করেন। এ সময় হামলা ফেরাতে স্থানীয় তিন জেলে ছুটে এলে তাঁদেরও পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে এই হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের জনসেবা ছাড়া সব কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা।
ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাহিমা বেগম বলেন, ‘জেলা পরিষদ সদস্য দেলোয়ারা হামিদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আমাদের পরিষদের সবাইকে ৫ হাজার করে টাকা দেন। এই টাকা আমরা কেউ নিইনি। তবু পরিষদের অফিসে রেখে যান। কিন্তু এই নির্বাচনের জের ধরে আমার সহকর্মীকে রাস্তায় ফেলে জনসম্মুখে মারধর করেন। আমরা এই হামলার বিচার চাই।’
আহত ইউপি সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন, ‘ইউনিয়নে মেম্বারি করার জন্য হৃদয় ফকির আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না চাওয়ায় আমিসহ আমার স্বামীর ওপরে হামলা করেন। আমার গলার চেইন, হাতের আংটি ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া আমার স্বামীর পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।’
সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলোয়ারা হামিদকে ভোট না দেওয়ায় তাঁর নাতি হৃদয় ফকির আমার পরিষদের সদস্য নুরজাহানকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে বিষয়টি সমাধান করে দেই।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে ওই প্রার্থী পরিষদে এসে জোর করে নির্বাচন উপলক্ষে সব ইউপি সদস্যকে ৫ হাজার টাকা করে দেন। তবে কেউ নিয়েছে, কেউ নেয়নি। তবু বলেছি, তোদের টাকা তোরা নিয়ে যা। এর জন্য আমার সদস্যকে জনসম্মুখে মারধর করাটা খুব দুঃখজনক। এই হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত জনসেবা ছাড়া পরিষদের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হৃদয়কে না পাওয়া গেলেও প্রার্থী মিসেস দেলোয়ারা হামিদ বলেন, ‘আমার নির্বাচনের জন্য ওই ইউনিয়নের সব সদস্য ভোট দেবেন বলে আমি ৫ হাজার টাকা করে দেই। কিন্তু আমাকে ভোট দেয়নি, এ জন্য আমার নাতি হৃদয় ফকির ওই সদস্যকে বলে, আমাদের ভোট দেননি, এখন টাকা ফেরত দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হওয়ায় হৃদয়কে মারতে জুতা নিয়ে ওঠেন তিনি। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করে দেন। চেয়ারম্যান চলে যাওয়ায় আবারও ওই সদস্যের স্বামীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ও তাঁকে সাত-আটটি কিলঘুষি দেয় হৃদয়। গলার চেইন, আংটি ও মোবাইল এগুলো কিছু নেয়নি সে।’
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার তালতলীতে সদ্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়া নারী ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীকে জনসম্মুখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীসহ স্থানীয় তিন জেলে আহত হয়েছেন। এদিকে হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার লাউপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ নারী সদস্য নুরজাহান বেগম, স্বামী মাসুদ পিয়াদা ও জেলে নুর হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য শেষ হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দেয়োয়ারা হামিদ। এই নির্বাচনে উপজেলার ৯৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোট দেন। এতে ওই প্রার্থী ১২টি ভোট পান। এতে ওই প্রার্থী সন্দেহ করেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য নুরজাহান বেগম তাঁকে ভোট দেননি।
পরে বুধবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় পরাজিত প্রার্থীর নাতি হৃদয় ফকির ওই ইউপি সদস্যকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় হৃদয় বলতে থাকেন, ‘টাকা নিয়ে আমাদের ভোট দেওনি।’
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বিষয়টি সমাধান করে দুই পক্ষকে পাঠিয়ে দেয়। এর কিছু সময় পরে হৃদয় ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এসে ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জনসম্মুখে হামলা করেন। এ সময় হামলা ফেরাতে স্থানীয় তিন জেলে ছুটে এলে তাঁদেরও পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে এই হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের জনসেবা ছাড়া সব কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা।
ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাহিমা বেগম বলেন, ‘জেলা পরিষদ সদস্য দেলোয়ারা হামিদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আমাদের পরিষদের সবাইকে ৫ হাজার করে টাকা দেন। এই টাকা আমরা কেউ নিইনি। তবু পরিষদের অফিসে রেখে যান। কিন্তু এই নির্বাচনের জের ধরে আমার সহকর্মীকে রাস্তায় ফেলে জনসম্মুখে মারধর করেন। আমরা এই হামলার বিচার চাই।’
আহত ইউপি সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন, ‘ইউনিয়নে মেম্বারি করার জন্য হৃদয় ফকির আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না চাওয়ায় আমিসহ আমার স্বামীর ওপরে হামলা করেন। আমার গলার চেইন, হাতের আংটি ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া আমার স্বামীর পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।’
সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলোয়ারা হামিদকে ভোট না দেওয়ায় তাঁর নাতি হৃদয় ফকির আমার পরিষদের সদস্য নুরজাহানকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে বিষয়টি সমাধান করে দেই।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে ওই প্রার্থী পরিষদে এসে জোর করে নির্বাচন উপলক্ষে সব ইউপি সদস্যকে ৫ হাজার টাকা করে দেন। তবে কেউ নিয়েছে, কেউ নেয়নি। তবু বলেছি, তোদের টাকা তোরা নিয়ে যা। এর জন্য আমার সদস্যকে জনসম্মুখে মারধর করাটা খুব দুঃখজনক। এই হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত জনসেবা ছাড়া পরিষদের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হৃদয়কে না পাওয়া গেলেও প্রার্থী মিসেস দেলোয়ারা হামিদ বলেন, ‘আমার নির্বাচনের জন্য ওই ইউনিয়নের সব সদস্য ভোট দেবেন বলে আমি ৫ হাজার টাকা করে দেই। কিন্তু আমাকে ভোট দেয়নি, এ জন্য আমার নাতি হৃদয় ফকির ওই সদস্যকে বলে, আমাদের ভোট দেননি, এখন টাকা ফেরত দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হওয়ায় হৃদয়কে মারতে জুতা নিয়ে ওঠেন তিনি। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করে দেন। চেয়ারম্যান চলে যাওয়ায় আবারও ওই সদস্যের স্বামীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ও তাঁকে সাত-আটটি কিলঘুষি দেয় হৃদয়। গলার চেইন, আংটি ও মোবাইল এগুলো কিছু নেয়নি সে।’
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৪ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে