বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
মা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বিষপানে মোসা. আমেনা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যার’ খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের দক্ষিণ করুণা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমেনা দক্ষিণ করুণা গ্রামের মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার কাউনিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আমেনার বাবা মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ের মধ্যে আমেনা বড়। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলেসন্তানের আশা করেছি। আমার স্ত্রী এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি কয়েক দিন আগে আমেনা জানতে পেরে ক্ষোভে ও লজ্জায় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আজ রাতে হঠাৎ আমার স্ত্রী আমাকে ডেকে বলে আমেনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও, ও গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েছে। পরে আমরা ওকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পর আমেনা মারা যায়।’
তবে আমেনার ফুফু মোসা. লাকি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পড়াশোনার জন্য আমেনাকে তার মা বকাবকি করে। এতে অভিমান করে সে বিষপান করে। তার মায়ের ডাক-চিৎকারে আমরা খবর পেয়ে আমেনাকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।’
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. জিয়াউল হক লিখন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমেনাকে হাসপাতালে আনার পর তার স্টমাক ওয়াশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা তাকে বরিশালে নিতে বিলম্ব করায় হাসপাতালের বেডেই তার মৃত্যু হয়।
বেতাগী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বিষপানে মোসা. আমেনা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যার’ খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের দক্ষিণ করুণা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমেনা দক্ষিণ করুণা গ্রামের মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার কাউনিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আমেনার বাবা মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ের মধ্যে আমেনা বড়। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলেসন্তানের আশা করেছি। আমার স্ত্রী এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি কয়েক দিন আগে আমেনা জানতে পেরে ক্ষোভে ও লজ্জায় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আজ রাতে হঠাৎ আমার স্ত্রী আমাকে ডেকে বলে আমেনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও, ও গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েছে। পরে আমরা ওকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পর আমেনা মারা যায়।’
তবে আমেনার ফুফু মোসা. লাকি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পড়াশোনার জন্য আমেনাকে তার মা বকাবকি করে। এতে অভিমান করে সে বিষপান করে। তার মায়ের ডাক-চিৎকারে আমরা খবর পেয়ে আমেনাকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।’
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. জিয়াউল হক লিখন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমেনাকে হাসপাতালে আনার পর তার স্টমাক ওয়াশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা তাকে বরিশালে নিতে বিলম্ব করায় হাসপাতালের বেডেই তার মৃত্যু হয়।
বেতাগী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে