Ajker Patrika

পিরোজপুরে অধ্যক্ষের পদ নিয়ে ২ ভাইয়ের দ্বন্দ্ব, বন্ধ কলেজ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
কলেজে নিয়মিত ক্লাস চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলেজে নিয়মিত ক্লাস চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের নেছারাবাদে অধ্যক্ষের পদ নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বলদিয়া ইউনিয়নের ঝিলবাড়ী গ্রামে কলেজের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এ সময় বক্তারা দ্রুত কলেজ খুলে দিয়ে পুনরায় পাঠদান চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে কলেজটি চালু হয়। তখন স্থানীয় মো. কামরুজ্জামান নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করেন। পরে যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর বিএ পাস কোর্সের সনদ জাল প্রমাণিত হলে তিনি ১৫ দিন জেলে ছিলেন। এ সময় কলেজের হাল ধরেন তাঁর ভাই মো. আসাদুজ্জামান। তিনি অধ্যক্ষ হয়ে ২০০৮ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত করান। কামরুজ্জামান পরে প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেন। এরপর তা শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়ে। আসাদুজ্জামান পরে আদালতে মামলা করে পদ ফিরে পান। কিন্তু কামরুজ্জামান রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় মামলার জটে কলেজের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

কলেজের দাতা সদস্য মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে মো. কামরুজ্জামান কিছু আওয়ামী সন্ত্রাসী শিক্ষক, শিক্ষার্থী দিয়ে কলেজ চালাচ্ছিল। তবে কোনোকালেও এ কলেজে কোনো পাঠদান হয়নি। কামরুজ্জামান অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের নাম দেখিয়ে কলেজ চালিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে ১৬ বছর ধরে এমপিওভুক্ত হলেও কলেজে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক দেখিনি। কামরুজ্জামান ও তাঁর ভাই আসাদুজ্জামানের মামলার জটে কলেজটি ভুতুড়ে বাড়ি হয়ে গেছে।’

এ নিয়ে কথা হলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাসের ভুয়া সনদ দেখিয়ে অধ্যক্ষ হতে চেয়েছিল। জাল সনদ ধরা পড়ে সে ১৫ দিন জেল খেটেছিল। ২০১০ সালে সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বাহিনী নিয়ে কলেজটি দখলে নেয়। পরে ভুয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী দেখিয়ে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে চেয়েছিল। সে নিয়োগের কথা বলে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে কামরুজ্জামানকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে ঝামেলা আছে। দুজনই অধ্যক্ষ হতে চান। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে দুজনের মধ্যে যাঁর অধ্যক্ষ হওয়ার প্রমাণপত্র আছে, তাঁকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে এবং অপরজনকে চুক্তিভিত্তিক সহকারী শিক্ষক হয়ে কলেজ চালুর জন্য বলে দিয়েছি। এখন কেউ কথা না শুনলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত