Ajker Patrika

এক-দেড় বছর ধরে ভাইয়ের সঙ্গে কম কথা বলতেন সেই ওসি আল আমিন

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
জাজিরা থানার ওসি মো. আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিনের লাশ পাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে যান তাঁর মেজো ভাই আবুল কালাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক-দেড় বছর ধরে কম কথা বলতেন আল আমিন। ২০২৩ সালে মা ও মেজো ভাইকে হারানোর পর অনেকটাই চুপ হয়ে যান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা থানা ভবনের তৃতীয় তলার নিজ কক্ষ থেকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর পায়ের সঙ্গে লাগোয়া চেয়ার দেখা যায়।

আল আমিন বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাচিরচর গ্রামের মৃত হাজি বেলায়েত হোসেন ব্যাপারীর ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি।

আল আমিনের ভাই মধুমতি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, আল আমিনের স্ত্রী শরিফুন্নেছা পপি এবং রাদিয়া ও রাফিয়া নামের যমজ মেয়ে রয়েছে। মেয়েরা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা গ্রামের বাড়িতে খুব একটা আসে না। ২০২৩ সালে মা মারা যান এবং ৪ মাসের মাথায় বড় ভাই আব্দুস সালামের মৃত্যু হয়। সে সময় আল আমিন সবশেষ বাড়িতে আসে।

আবুল কালাম আরও জানান, এক থেকে দেড় বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আল আমিন কম কথা বলতেন। কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তা কারও সঙ্গে শেয়ার করেননি। আল আমিনের স্ত্রীও কিছু বলতে পারছেন না। সেও স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভেঙে পড়েছেন।

আল আমিনের প্রতিবেশী মামুন মাতুব্বর বলেন, ওসি আল আমিন অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে বেশি না এলেও অনেকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতেন।

আরও পড়ুন—

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত