শাকিব হুসাইন
আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।
আমি হলাম ব্যাগ। মার্কেটে সবাই আমাকে ছোট্ট ব্যাগ বলেই ডাকত। আমি নাকি মার্কেটের অন্য ব্যাগগুলোর চেয়ে বেশিই সুন্দর। এতে আমার খুব অহংকার হয়। কিন্তু আমি তা করি না। জানো, আমি না অনেক দিন ধরে মার্কেটের দেয়ালে ঝুলে ছিলাম। আমি যখন দেয়ালে ঝুলে থাকতাম, তখন বাইরের ব্যাগগুলোর দিকে তাকাতাম। ইশ্! ওরা প্রতিদিন ইশকুলে যায়। ছোট ছোট বাচ্চার পিঠে চড়ে। পেট মোটা করে। আমারও পিঠে চড়তে ইচ্ছে করে। পেট মোটা করে থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার ভাগ্যে তা জোটে না। কেউ আমাকে পিঠে নেয় না। আর আমার পেটও মোটা হয় না।
আমি না দেয়ালে থেকে থেকে চুপসে গেছি। মোটাও হতে পারছি না। কেমন করেই বা হব? কেউ তো আমাকে পেট মোটা করে রাখে না। সবাই দেখে আর দাম শুনেই চলে যায়। আমার দাম কী এতই বেশি? মালিককে কত বলি, দামটা একটু কমাতে। কে শোনে কার কথা? আমার কথা তো তার কান অবধি পৌঁছায় না।
গতকাল তুবা ওর বাবার সঙ্গে এল। আমাকে দেখামাত্রই কেনার জন্য পাগল হয়ে উঠল। তুবার কাণ্ড দেখে আমার হাসিও পেল। কিন্তু আমি হাসি চেপে রইলাম। তুবা আমাকে কিনে নিল। দেয়াল থেকে নামার পরেই আমার সে কী আনন্দ! আজ কত দিন পর আমার ইচ্ছা পূরণ হলো। আহা! কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে! আমি তুবার সঙ্গে ওর বাসায় গেলাম।
আর আজই তুবার প্রথম ইশকুল। তুবাও যেমন খুশি। ওর থেকে আমিই বেশি খুশি হয়েছি। হি হি হি হি! তুবা ঘরে এসেই বইখাতা এক এক করে আমার ভেতরে ঢোকাতে শুরু করল। আমিও ইচ্ছেমতো গিলতে শুরু করলাম। এ বাবা! আমার পেট তো ফুলছে! আমি পেট মোটা হচ্ছি। ইয়ে! আমি পেট মোটা হচ্ছি! এ বাবা! একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি। হে! হে! আমি এখন পেট মোটা।
তুবা আমাকে ওর পিঠে নিল। আমাকে নিয়ে একপা দুপা করে হাঁটতে লাগল। এ বাবা! তুবার কী ভারী লাগছে না। তুবা তো ভীষণ স্ট্রং। তুবা হাঁটছে আর আমি ওর পিঠে চড়ে মজা করছি। বন্ধুরা, আমি কিন্তু ইশকুলে যাচ্ছি। তুবার ইশকুলে...
আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।
আমি হলাম ব্যাগ। মার্কেটে সবাই আমাকে ছোট্ট ব্যাগ বলেই ডাকত। আমি নাকি মার্কেটের অন্য ব্যাগগুলোর চেয়ে বেশিই সুন্দর। এতে আমার খুব অহংকার হয়। কিন্তু আমি তা করি না। জানো, আমি না অনেক দিন ধরে মার্কেটের দেয়ালে ঝুলে ছিলাম। আমি যখন দেয়ালে ঝুলে থাকতাম, তখন বাইরের ব্যাগগুলোর দিকে তাকাতাম। ইশ্! ওরা প্রতিদিন ইশকুলে যায়। ছোট ছোট বাচ্চার পিঠে চড়ে। পেট মোটা করে। আমারও পিঠে চড়তে ইচ্ছে করে। পেট মোটা করে থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার ভাগ্যে তা জোটে না। কেউ আমাকে পিঠে নেয় না। আর আমার পেটও মোটা হয় না।
আমি না দেয়ালে থেকে থেকে চুপসে গেছি। মোটাও হতে পারছি না। কেমন করেই বা হব? কেউ তো আমাকে পেট মোটা করে রাখে না। সবাই দেখে আর দাম শুনেই চলে যায়। আমার দাম কী এতই বেশি? মালিককে কত বলি, দামটা একটু কমাতে। কে শোনে কার কথা? আমার কথা তো তার কান অবধি পৌঁছায় না।
গতকাল তুবা ওর বাবার সঙ্গে এল। আমাকে দেখামাত্রই কেনার জন্য পাগল হয়ে উঠল। তুবার কাণ্ড দেখে আমার হাসিও পেল। কিন্তু আমি হাসি চেপে রইলাম। তুবা আমাকে কিনে নিল। দেয়াল থেকে নামার পরেই আমার সে কী আনন্দ! আজ কত দিন পর আমার ইচ্ছা পূরণ হলো। আহা! কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে! আমি তুবার সঙ্গে ওর বাসায় গেলাম।
আর আজই তুবার প্রথম ইশকুল। তুবাও যেমন খুশি। ওর থেকে আমিই বেশি খুশি হয়েছি। হি হি হি হি! তুবা ঘরে এসেই বইখাতা এক এক করে আমার ভেতরে ঢোকাতে শুরু করল। আমিও ইচ্ছেমতো গিলতে শুরু করলাম। এ বাবা! আমার পেট তো ফুলছে! আমি পেট মোটা হচ্ছি। ইয়ে! আমি পেট মোটা হচ্ছি! এ বাবা! একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি। হে! হে! আমি এখন পেট মোটা।
তুবা আমাকে ওর পিঠে নিল। আমাকে নিয়ে একপা দুপা করে হাঁটতে লাগল। এ বাবা! তুবার কী ভারী লাগছে না। তুবা তো ভীষণ স্ট্রং। তুবা হাঁটছে আর আমি ওর পিঠে চড়ে মজা করছি। বন্ধুরা, আমি কিন্তু ইশকুলে যাচ্ছি। তুবার ইশকুলে...
সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকর্মকে ‘বুর্জোয়া’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয় চীনে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শেকসপিয়ারের সব সাহিত্যকর্ম—যেমন হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, ওথেলো ইত্যাদি—চীনে নিষিদ্ধ হয়, কারণ সেগুলোতে চীনা কমিউনিস্ট আদর্শের ‘সঠিক রাজনৈতিক
১৩ দিন আগেকবি নজরুল ইসলামের বহুল পরিচিতি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, কিন্তু নজরুল উঁচুমার্গের ‘সাম্যবাদী কবি’ও বটেন। নজরুলের সাম্যচিন্তা তাঁর জীবনের বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত। তাঁর শৈশব-কৈশোরের জীবন-অভিজ্ঞতা, তাঁর যৌবনের যাপিত জীবন তাঁকে বাস্তব পৃথিবীর দারিদ্র্য, অসমতা ও অসাম্যের সঙ্গে পরিচিত করেছে অত্যন্ত নগ্নভাবে...
১৩ দিন আগেবাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের মধ্যে নজরুল অন্যতম। সাধারণত জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের বেলায় দেখা যায় কালের সীমা অতিক্রম করলে তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কালের সীমা অতিক্রম করে আজও পাঠকপ্রিয় হয়ে আছে। এর মূলে রয়েছে তাঁর সচেতন জীবনবোধ...
১৩ দিন আগেনজরুলকে ভুল ভাবে পড়ার আরেকটি বড় উদাহরণ হলো তাঁকে প্রায়শই রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে দাঁড় করানোর রাজনৈতিক প্রবণতা। এই আইডেনটিটি পলিটিকস শুধু বিভাজন তৈরি করে না, নজরুলের মৌলিক অবস্থানকেও বিকৃত করে।
১৪ দিন আগে