আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেওয়ার পর, ইসলামাবাদে অনেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারের পতনকে দেখা হয়েছিল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি সুযোগ হিসেবে। সরকার গঠনের পর, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তালেবানের অন্যতম বড় সমর্থক হয়ে ওঠে ইসলামাবাদ। কিন্তু নানা ইস্যুতে সম্প্রতি উভয়ের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে দেখা দিয়েছে ফাটলের লক্ষণ।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মতবিরোধ এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আফগান তালেবানের সমর্থন নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আর এসব সমস্যা সমাধান না হলে, তা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সীমান্তে উত্তেজনা
গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে যখন তালেবান তাদের সরকার গঠনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিল, ঠিক তখনই কাবুল সফরে যান পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ। জানা যায়, ওই সফরে হাক্কানি নেটওয়ার্কের পাকিস্তানপন্থীদের পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত রূপরেখার সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করতে এবং বিশিষ্ট তালেবান নেতা মোল্লা গনি বারাদারকে সরকারি পদে বসা থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন হামিদ। কিন্তু এতে অসন্তুষ্টও হন অনেক তালেবান নেতা।
আর সেই অসন্তোষ স্পষ্ট হতে শুরু করে যখন আফগান সীমান্তরক্ষীরা পাকিস্তানি কর্মীদের দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বেড়া দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য করে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সীমান্তে এই বেড়াটি দাঁড় করাতে আমাদের সেনাদের রক্ত ঝরেছে। এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবেই।’ সম্প্রতি উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পরও এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি।
আফগান তালেবান-টিটিপি সম্পর্ক
কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনার আরেক বড় কারণ টিটিপি। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি আফগান তালেবানের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং উভয়ের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক লোকদের ওপর প্রাণঘাতী বিভিন্ন হামলার পেছনে রয়েছে টিটিপি। ফলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মাথাব্যথার বড় কারণ সশস্ত্র এই গোষ্ঠী, যা আফগান তালেবানের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্কের পথে বড় বাধা।
ফাটল অনিবার্য?
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কোনো আশা নেই। এ ছাড়া আফগান তালেবান আরও কট্টরপন্থী হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তালেবানের অধীনে আফগান পরিস্থিতি খুব জটিল হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্কের তেমন কোনো আশা নেই।
গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেওয়ার পর, ইসলামাবাদে অনেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারের পতনকে দেখা হয়েছিল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি সুযোগ হিসেবে। সরকার গঠনের পর, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তালেবানের অন্যতম বড় সমর্থক হয়ে ওঠে ইসলামাবাদ। কিন্তু নানা ইস্যুতে সম্প্রতি উভয়ের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে দেখা দিয়েছে ফাটলের লক্ষণ।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মতবিরোধ এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আফগান তালেবানের সমর্থন নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আর এসব সমস্যা সমাধান না হলে, তা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সীমান্তে উত্তেজনা
গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে যখন তালেবান তাদের সরকার গঠনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিল, ঠিক তখনই কাবুল সফরে যান পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ। জানা যায়, ওই সফরে হাক্কানি নেটওয়ার্কের পাকিস্তানপন্থীদের পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত রূপরেখার সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করতে এবং বিশিষ্ট তালেবান নেতা মোল্লা গনি বারাদারকে সরকারি পদে বসা থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন হামিদ। কিন্তু এতে অসন্তুষ্টও হন অনেক তালেবান নেতা।
আর সেই অসন্তোষ স্পষ্ট হতে শুরু করে যখন আফগান সীমান্তরক্ষীরা পাকিস্তানি কর্মীদের দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বেড়া দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য করে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সীমান্তে এই বেড়াটি দাঁড় করাতে আমাদের সেনাদের রক্ত ঝরেছে। এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবেই।’ সম্প্রতি উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পরও এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি।
আফগান তালেবান-টিটিপি সম্পর্ক
কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনার আরেক বড় কারণ টিটিপি। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি আফগান তালেবানের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং উভয়ের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক লোকদের ওপর প্রাণঘাতী বিভিন্ন হামলার পেছনে রয়েছে টিটিপি। ফলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মাথাব্যথার বড় কারণ সশস্ত্র এই গোষ্ঠী, যা আফগান তালেবানের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্কের পথে বড় বাধা।
ফাটল অনিবার্য?
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কোনো আশা নেই। এ ছাড়া আফগান তালেবান আরও কট্টরপন্থী হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তালেবানের অধীনে আফগান পরিস্থিতি খুব জটিল হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্কের তেমন কোনো আশা নেই।
ভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘ সময় আলোচনার পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম। কারণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দুই দেশের মোট রপ্তানির ২ দশমিক ৫ শতাংশের কম। তা সত্ত্বেও দুই সরকার একে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রচার করছ
১২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি কিছুটা কমে এলেও তা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু গত শুক্রবার প্রকাশিত জুলাই মাসের পরিসংখ্যানে চাকরির হার ব্যাপক কম দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ট্রাম্প। ওই পরিসংখ্যানকে ‘জাল’ দাবি করে এর জন্য দায়িত্বশীল সরকারি সংস্থার প্রধানকে
১৬ ঘণ্টা আগেভারতের অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা সামরিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমানের হামলায় ফরাসি রাফালের পতন পশ্চিমা সামরিক প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এর মূল কারণ ছিল ভারতের
১৭ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিলে ‘লিবারেশন ডে’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এশিয়ার অর্থনীতি। দীর্ঘদিনের পুরোনো মার্কিন মিত্র জাপান থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান জোটের দেশগুলোসহ যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর নির্ভরশ
২ দিন আগে