নতুন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনাও এখন তুঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, ‘জিওলজিক্যাল আলফা মেল’ হিসেবে পরিচিত এ দুই নেতা ভবিষ্যতের বিশ্বব্যবস্থা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এমন একটি সম্ভাবনার ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা তাঁকে মার্কিন ভোটারদের কাছে একজন চৌকস কূটনীতিক হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাঁর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথ সহজ নয়।
অন্যদিকে পুতিন শুধু ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল করা নয় বরং ন্যাটোর ভূমিকা সীমিত করা এবং রাশিয়াকে একটি বৈশ্বিক ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাঁর শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে চিরতরে ন্যাটোর বাইরে রাখা এবং দখলকৃত ভূখণ্ড রাশিয়া হাতেই ছেড়ে দেওয়া।
পুতিন ও ট্রাম্প উভয়েই একধরনের ‘আদর্শহীন বাস্তবতাবাদী’ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। পুতিন মানবাধিকার ও পশ্চিমা উদারনৈতিক মূল্যবোধকে প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্পও প্রায় একই ধাঁচে আদর্শের চেয়ে ক্ষমতার গতিপ্রকৃতির বাস্তবতাকে বেশি প্রাধান্য দেন। পুতিন ট্রাম্পের এই বৈশিষ্ট্যকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার গঠন সম্ভব হতে পারে।
ইউক্রেন সংকট সমাধান যে সহজ হবে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। রাশিয়া চায় আলোচনাগুলো এমনভাবে পরিচালিত হোক, যাতে কেবল ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠিত হয়। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পুতিন এই আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করবেন এবং একটি বড় নিরাপত্তা চুক্তির দিকে যেতে চাইবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আর্থিক চাপের মুখে পড়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের সামরিক অবস্থান এখনো শক্তিশালী। পুতিন বিশ্বাস করেন, ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বেশি দিন জিইয়ে রাখতে পারবে না।
এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীন–রাশিয়া জোটকে দুর্বল করার পরিকল্পনা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ রাশিয়া এবং চীনের বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং উভয়ের আমেরিকা–বিরোধী মনোভাব এই ধরনের উদ্যোগে বড় বাধা।
ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার বলেছেন, একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে, যেখানে পুরোনো নীতি ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা আর থাকবে না। এর পরিবর্তে, শক্তিশালী দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতাবলে নতুন নিয়ম তৈরি করবে। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এই নতুন ব্যবস্থার সূচনা করেছে।
পুতিন বলেছেন, ‘মুক্ত বিশ্বের’ ধারণাটি একটি ‘পুরোনো সংস্কার’, যা রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোর শক্তি–সামর্থ্যকে ছোট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি এই নতুন ব্যবস্থায় মানবাধিকার এবং আদর্শের চেয়ে ক্ষমতার বাস্তবতাকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুতিন এবং ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠক বিশ্ব রাজনীতিতে একটি বড় মোড় আনতে পারে। তবে এটি ন্যাটো এবং ইউক্রেনের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। আবার ইউক্রেন যদি আলোচনায় বেশি ছাড় দেয়, তবে তা দেশটির সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যদি ট্রাম্প ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করেন, তবে এটি পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে ফাটল তৈরি করতে পারে।
নতুন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনাও এখন তুঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, ‘জিওলজিক্যাল আলফা মেল’ হিসেবে পরিচিত এ দুই নেতা ভবিষ্যতের বিশ্বব্যবস্থা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এমন একটি সম্ভাবনার ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা তাঁকে মার্কিন ভোটারদের কাছে একজন চৌকস কূটনীতিক হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাঁর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথ সহজ নয়।
অন্যদিকে পুতিন শুধু ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল করা নয় বরং ন্যাটোর ভূমিকা সীমিত করা এবং রাশিয়াকে একটি বৈশ্বিক ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাঁর শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে চিরতরে ন্যাটোর বাইরে রাখা এবং দখলকৃত ভূখণ্ড রাশিয়া হাতেই ছেড়ে দেওয়া।
পুতিন ও ট্রাম্প উভয়েই একধরনের ‘আদর্শহীন বাস্তবতাবাদী’ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। পুতিন মানবাধিকার ও পশ্চিমা উদারনৈতিক মূল্যবোধকে প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্পও প্রায় একই ধাঁচে আদর্শের চেয়ে ক্ষমতার গতিপ্রকৃতির বাস্তবতাকে বেশি প্রাধান্য দেন। পুতিন ট্রাম্পের এই বৈশিষ্ট্যকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার গঠন সম্ভব হতে পারে।
ইউক্রেন সংকট সমাধান যে সহজ হবে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। রাশিয়া চায় আলোচনাগুলো এমনভাবে পরিচালিত হোক, যাতে কেবল ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠিত হয়। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পুতিন এই আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করবেন এবং একটি বড় নিরাপত্তা চুক্তির দিকে যেতে চাইবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আর্থিক চাপের মুখে পড়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের সামরিক অবস্থান এখনো শক্তিশালী। পুতিন বিশ্বাস করেন, ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বেশি দিন জিইয়ে রাখতে পারবে না।
এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীন–রাশিয়া জোটকে দুর্বল করার পরিকল্পনা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ রাশিয়া এবং চীনের বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং উভয়ের আমেরিকা–বিরোধী মনোভাব এই ধরনের উদ্যোগে বড় বাধা।
ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার বলেছেন, একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে, যেখানে পুরোনো নীতি ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা আর থাকবে না। এর পরিবর্তে, শক্তিশালী দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতাবলে নতুন নিয়ম তৈরি করবে। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এই নতুন ব্যবস্থার সূচনা করেছে।
পুতিন বলেছেন, ‘মুক্ত বিশ্বের’ ধারণাটি একটি ‘পুরোনো সংস্কার’, যা রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোর শক্তি–সামর্থ্যকে ছোট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি এই নতুন ব্যবস্থায় মানবাধিকার এবং আদর্শের চেয়ে ক্ষমতার বাস্তবতাকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুতিন এবং ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠক বিশ্ব রাজনীতিতে একটি বড় মোড় আনতে পারে। তবে এটি ন্যাটো এবং ইউক্রেনের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। আবার ইউক্রেন যদি আলোচনায় বেশি ছাড় দেয়, তবে তা দেশটির সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যদি ট্রাম্প ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করেন, তবে এটি পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে ফাটল তৈরি করতে পারে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
২ দিন আগে