অনলাইন ডেস্ক
আজ ১৭ এপ্রিল। প্রতি বছর এই দিনটিতে পালিত হয় ‘ফিলিস্তিনি বন্দী দিবস’। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রাম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ১৯৭৪ সালে বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া প্রথম ফিলিস্তিনি মাহমুদ বাকর হিজাজির স্মরণে এ দিনটি নির্ধারিত হয়েছিল।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইসরায়েলি কারাগারে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। মানবাধিকার সংস্থা আদ্দামির তথ্যমতে, এদের অধিকাংশই রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিবেচিত। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৮ জন কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটক আছেন। এ ছাড়া বন্দীদের মধ্যে ৪০০ শিশু সহ আছেন অন্তত ২৭ জন নারী। এদের অনেককেই সামরিক শাসনের আওতায় গোপন প্রমাণের ভিত্তিতে বারবার ছয় মাস করে আটক রাখা হয়।
ইসরায়েলই বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা শিশুদের সামরিক আদালতে বিচার করে। প্রতি বছরই তারা ১২ বছর বয়সী শিশুসহ প্রায় ৫০০–৭০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গ্রেপ্তার করে। এদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সাধারণ অভিযোগ হলো—পাথর ছোড়া। এর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি আবার ২০ বছরের কারাদণ্ড!
এই শিশু বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে আহমাদ মানাসরা। ২০১৫ সালে ১৩ বছর বয়সে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেবার তাঁর ১৫ বছর বয়সী চাচাতো ভাই হোসেন পূর্ব জেরুজালেমের একটি অবৈধ বসতির কাছে দুই ইসরায়েলিকে ছুরিকাঘাত করলে, হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর সঙ্গে থাকা মানাসরাকে নির্মমভাবে মারধর ও গাড়িচাপা দেওয়া হয়। মাথায় আঘাত ও রক্তক্ষরণে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আটক করা হয়।
তৎকালীন ইসরায়েলি আইনে কারও বয়স ১৪ বছরের নিচে তাকে সাজা দেওয়া যেত না। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আহমাদের বয়স ১৪ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা পরে কমিয়ে ৯ বছর ৫ মাসে আনা হয়। কারাগারে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন মানাসরা। ২০২১ সালে তাঁকে প্রথমবারের মতো একজন বাইরের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখে জানান—তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।
২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল, ৯ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পান মানাসরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকে মাত্র ৬ মাসেই রাজনৈতিক বন্দীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৫ হাজার ২৫০ থেকে প্রায় ১০ হাজার জনে পৌঁছায়।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১ হাজার ৩৯১ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৩৮ জন ইসরায়েলি বন্দীকে, যার মধ্যে ৮ জনের মরদেহ ছিল।
ফিলিস্তিনি বন্দী কমিশনের হিসাব অনুযায়ী—১৯৬৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে—যা ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এর মানে হলো, প্রতি পাঁচজন ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত একজন জীবনে কোনো না কোনো সময় কারাবরণ করেছেন।
এই ব্যাপক গ্রেপ্তার ও বন্দিত্ব শুধু দখলদারির ফল নয়, বরং এটি একটি সংগঠিত দমননীতির অংশ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। বন্দীদের ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত, তেমনি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার স্বপ্নও এখনো অধরা।
আজ ১৭ এপ্রিল। প্রতি বছর এই দিনটিতে পালিত হয় ‘ফিলিস্তিনি বন্দী দিবস’। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রাম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ১৯৭৪ সালে বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া প্রথম ফিলিস্তিনি মাহমুদ বাকর হিজাজির স্মরণে এ দিনটি নির্ধারিত হয়েছিল।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইসরায়েলি কারাগারে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। মানবাধিকার সংস্থা আদ্দামির তথ্যমতে, এদের অধিকাংশই রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিবেচিত। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৮ জন কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটক আছেন। এ ছাড়া বন্দীদের মধ্যে ৪০০ শিশু সহ আছেন অন্তত ২৭ জন নারী। এদের অনেককেই সামরিক শাসনের আওতায় গোপন প্রমাণের ভিত্তিতে বারবার ছয় মাস করে আটক রাখা হয়।
ইসরায়েলই বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা শিশুদের সামরিক আদালতে বিচার করে। প্রতি বছরই তারা ১২ বছর বয়সী শিশুসহ প্রায় ৫০০–৭০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গ্রেপ্তার করে। এদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সাধারণ অভিযোগ হলো—পাথর ছোড়া। এর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি আবার ২০ বছরের কারাদণ্ড!
এই শিশু বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে আহমাদ মানাসরা। ২০১৫ সালে ১৩ বছর বয়সে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেবার তাঁর ১৫ বছর বয়সী চাচাতো ভাই হোসেন পূর্ব জেরুজালেমের একটি অবৈধ বসতির কাছে দুই ইসরায়েলিকে ছুরিকাঘাত করলে, হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর সঙ্গে থাকা মানাসরাকে নির্মমভাবে মারধর ও গাড়িচাপা দেওয়া হয়। মাথায় আঘাত ও রক্তক্ষরণে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আটক করা হয়।
তৎকালীন ইসরায়েলি আইনে কারও বয়স ১৪ বছরের নিচে তাকে সাজা দেওয়া যেত না। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আহমাদের বয়স ১৪ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা পরে কমিয়ে ৯ বছর ৫ মাসে আনা হয়। কারাগারে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন মানাসরা। ২০২১ সালে তাঁকে প্রথমবারের মতো একজন বাইরের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখে জানান—তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।
২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল, ৯ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পান মানাসরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকে মাত্র ৬ মাসেই রাজনৈতিক বন্দীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৫ হাজার ২৫০ থেকে প্রায় ১০ হাজার জনে পৌঁছায়।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১ হাজার ৩৯১ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৩৮ জন ইসরায়েলি বন্দীকে, যার মধ্যে ৮ জনের মরদেহ ছিল।
ফিলিস্তিনি বন্দী কমিশনের হিসাব অনুযায়ী—১৯৬৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে—যা ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এর মানে হলো, প্রতি পাঁচজন ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত একজন জীবনে কোনো না কোনো সময় কারাবরণ করেছেন।
এই ব্যাপক গ্রেপ্তার ও বন্দিত্ব শুধু দখলদারির ফল নয়, বরং এটি একটি সংগঠিত দমননীতির অংশ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। বন্দীদের ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত, তেমনি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার স্বপ্নও এখনো অধরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
১৬ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
১ দিন আগেচীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করছে। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ক্রমশ বাড়ছে। তবে চীন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক চাপিয়েই চীনের প্রতিশোধ নেওয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বেইজিং এখন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিরল মৃত্তিকা খনিজ ও চুম্বক রপ্তানির রাশ টেনেছে।
২ দিন আগেদিন কয়েক আগে, ইসরায়েলি হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী নিহত হন। তাঁরা যোদ্ধা ছিলেন না, জঙ্গি ছিলেন না। রকেট বা অস্ত্র লুকিয়ে রাখা কেউও ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন সাহায্যকর্মী, মানবতাবাদী। তাঁরা বোমার আঘাতে হতাহতদের দিকে ছুটে যাওয়া সেবক ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজেদের
৩ দিন আগে