অনলাইন ডেস্ক
পুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল। কিন্তু ইউক্রেনের এমন আকস্মিক কয়েকটি হামলার পর মস্কো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চুপ রয়েছে। বিবৃতি দিয়ে বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলার নেই।
কিন্তু রাশিয়ার মিডিয়া ও ক্রেমলিনপন্থী ব্লগাররা ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ তো সরাসরি পারমাণবিক হামলারও দাবি তুলেছেন!
রুশপন্থী জনপ্রিয় টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘টু মেজরস’ লিখেছে, ‘এটা শুধু একটা অজুহাত নয়, বরং পারমাণবিক হামলা চালানোর যথার্থ কারণ।’ আরও যোগ করেছে, ‘মাশরুম ক্লাউড (পারমাণবিক বিস্ফোরণ) ওঠার পর ভুল খুঁজে দেখা যাবে।’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্রেমলিনপন্থী জনপ্রিয় ব্লগার আলেকজান্ডার কোটস ভাষ্য দিয়েছেন, ‘ফলাফল যা-ই হোক, আমাদের পুরো শক্তি দিয়ে আঘাত হানতে হবে।’
তবে বিশিষ্ট রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক সের্গেই মারকভ অবশ্য এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়া প্রকৃত অর্থেই রাজনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ভাষ্যমতে, রাশিয়ান কট্টরপন্থীরা প্রায়ই ইউক্রেন ধ্বংসের আহ্বান জানায়। তবে এবার ক্ষোভটা অনেক গভীর।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইউক্রেনের হঠাৎ হামলায় রাশিয়ার বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়ার পরমাণু নীতিমালায় বলা আছে, যদি কোনো হামলায় পরমাণু বহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণ হতে পারে। রুশ টিভি সঞ্চালক ভ্লাদিমির সলোভিয়েভ বলেন, ‘এই হামলা পারমাণবিক জবাবের যথার্থ ভিত্তি।’ তিনি তো সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসে হামলার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার পক্ষে এখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। এতে চীন ও ভারতের মতো বাণিজ্যিক মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নষ্ট হবে এবং বিশ্বমঞ্চে চূড়ান্তভাবে নিঃসঙ্গ হবে মস্কো। তা ছাড়া ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও ভয়াবহ হতে পারে।
তবে সমস্যা হলো, রাশিয়ার মর্যাদা রক্ষা ও ভয়ভীতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে ক্রেমলিন। শুধু ড্রোন হামলা নয়, ইউক্রেন সম্প্রতি ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা কের্চ সেতুতে আবারও হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের এমন জোরালো আঘাত হানার কিছু কারণও আছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি বাড়িয়েছে। ফলে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা এসব অস্ত্রের সাহায্যে ইউক্রেনের নাগালে চলে এসেছে। রাশিয়ার সাবেক এক উপমন্ত্রী সিএনএনকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাশিয়া বড় কোনো সামরিক পদক্ষেপের ক্ষমতা রাখে না। তবে প্রতিশোধের ক্ষেত্রে দেশটি ইউক্রেনের বেসামরিক স্থানগুলোতে বর্বর হামলা বাড়তে পারে।
পুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল। কিন্তু ইউক্রেনের এমন আকস্মিক কয়েকটি হামলার পর মস্কো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চুপ রয়েছে। বিবৃতি দিয়ে বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলার নেই।
কিন্তু রাশিয়ার মিডিয়া ও ক্রেমলিনপন্থী ব্লগাররা ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ তো সরাসরি পারমাণবিক হামলারও দাবি তুলেছেন!
রুশপন্থী জনপ্রিয় টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘টু মেজরস’ লিখেছে, ‘এটা শুধু একটা অজুহাত নয়, বরং পারমাণবিক হামলা চালানোর যথার্থ কারণ।’ আরও যোগ করেছে, ‘মাশরুম ক্লাউড (পারমাণবিক বিস্ফোরণ) ওঠার পর ভুল খুঁজে দেখা যাবে।’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্রেমলিনপন্থী জনপ্রিয় ব্লগার আলেকজান্ডার কোটস ভাষ্য দিয়েছেন, ‘ফলাফল যা-ই হোক, আমাদের পুরো শক্তি দিয়ে আঘাত হানতে হবে।’
তবে বিশিষ্ট রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক সের্গেই মারকভ অবশ্য এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়া প্রকৃত অর্থেই রাজনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ভাষ্যমতে, রাশিয়ান কট্টরপন্থীরা প্রায়ই ইউক্রেন ধ্বংসের আহ্বান জানায়। তবে এবার ক্ষোভটা অনেক গভীর।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইউক্রেনের হঠাৎ হামলায় রাশিয়ার বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়ার পরমাণু নীতিমালায় বলা আছে, যদি কোনো হামলায় পরমাণু বহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণ হতে পারে। রুশ টিভি সঞ্চালক ভ্লাদিমির সলোভিয়েভ বলেন, ‘এই হামলা পারমাণবিক জবাবের যথার্থ ভিত্তি।’ তিনি তো সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসে হামলার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার পক্ষে এখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। এতে চীন ও ভারতের মতো বাণিজ্যিক মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নষ্ট হবে এবং বিশ্বমঞ্চে চূড়ান্তভাবে নিঃসঙ্গ হবে মস্কো। তা ছাড়া ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও ভয়াবহ হতে পারে।
তবে সমস্যা হলো, রাশিয়ার মর্যাদা রক্ষা ও ভয়ভীতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে ক্রেমলিন। শুধু ড্রোন হামলা নয়, ইউক্রেন সম্প্রতি ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা কের্চ সেতুতে আবারও হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের এমন জোরালো আঘাত হানার কিছু কারণও আছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি বাড়িয়েছে। ফলে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা এসব অস্ত্রের সাহায্যে ইউক্রেনের নাগালে চলে এসেছে। রাশিয়ার সাবেক এক উপমন্ত্রী সিএনএনকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাশিয়া বড় কোনো সামরিক পদক্ষেপের ক্ষমতা রাখে না। তবে প্রতিশোধের ক্ষেত্রে দেশটি ইউক্রেনের বেসামরিক স্থানগুলোতে বর্বর হামলা বাড়তে পারে।
মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে এবার ট্রাম্প প্রশাসন হাত মেলাচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। এমনকি দেশটির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে আসছে শিথিলতা, হচ্ছে প্রত্যাহারও।
২০ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার খনিজ-সমৃদ্ধ দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোকে ঘিরে শুরু হয়েছে ভূরাজনৈতিক নতুন মেরুকরণ। রুয়ান্ডার সঙ্গে ৩০ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে শান্তি চুক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পেছনে রয়েছে মার্কিন শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ...
১ দিন আগে১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই সকালে ছাদখোলা বিলাসবহুল গাড়িতে করে সস্ত্রীক বসনিয়া প্রবেশ করেন ফার্দিনান্দ। সারায়েভোর সড়কে গাড়ি পৌঁছালে তাঁদের দেখতে সড়কের দুপাশে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ।
১ দিন আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনে আসামে ফের ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই সেখানে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আর গত বছরের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তথাকথিত ‘অবৈধ...
২ দিন আগে