পশ্চিমাদের কাছে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন একটি প্রহসন মাত্র। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গত ২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় আছে সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টি। গত রোববার অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে নিজেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী ঘোষণা করেছেন এই দলের বর্তমান নেতা নিকোলাস মাদুরো। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রভাবশালী নেতা হুগো শ্যাভেজের ক্যানসারে মৃত্যুর পর তিনি নেতৃত্ব নিয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার ভোট গণনা শেষ হলে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিল (সিএনই)। কিন্তু এই ফল তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। গতকালই তাঁরা সারা দেশে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাঁদের অনেকেই দেশের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল থেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে রাজধানীতে জড়ো হন। মাদুরোর জয়কে তাঁরা ‘জোচ্চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের প্রার্থী অ্যাডমান্ডো গনজালেস উরুতিয়া ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁরা সিএনই প্রধানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যালভিস আমরোসো মাদুরোর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
বিরোধীরা বলছেন—নির্বাচনের আগে পরিচালিত একাধিক জরিপে গনজালেস সুস্পষ্ট ব্যবধানে জয়ী হচ্ছেন বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট গণনা শেষে মাদুরোকেই জয়ী ঘোষণা করা হলো!
বিরোধীদের এমন দাবিকে যৌক্তিক বলছে কয়েকটি পশ্চিমা ও প্রতিবেশী দেশ। ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল আলাদা করে প্রকাশ করার জন্য ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও।
বৈশ্বিক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাদুরোকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর জের ধরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ভেনেজুয়েলা। শুধু আর্জেন্টিনাই নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে চিলি, পানামা, উরুগুয়ে, পেরু, কোস্টারিকা ও ডমিনিকান রিপাবলিক থেকেও কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ ও সরিয়ে দিতে বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যেন কিছুতেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছাতে না পারে সেই চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। মাদুরো সরকারের সম্ভাব্য পতনকে মঙ্গলবার দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে তুলনা করে স্লোগান দেয় বিরোধীরা। রাজপথে টায়ার জ্বেলে ও ইট-পাটক্যাল ছুঁড়ে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের জবাব দিচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। চলছে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। রাজধানীতে প্রয়াত নেতা হুগো শ্যাভেজের বিশাল একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের আইনের ভয় দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাত শতাধিক বিক্ষোভকারী এবং বিরোধীদলীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে আটক করা হয়েছে।
আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি বিরূপ আচরণ না করার জন্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গনজালেস। নির্বাচনী ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সারা দেশজুড়ে।
এদিকে মাদুরোর প্রতি অনুগত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান ভ্লাদিমির প্যাডরিনো। মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। অন্তত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ফলাফলের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন সাংবাদিকেরা।
পশ্চিমাদের কাছে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন একটি প্রহসন মাত্র। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গত ২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় আছে সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টি। গত রোববার অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে নিজেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী ঘোষণা করেছেন এই দলের বর্তমান নেতা নিকোলাস মাদুরো। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রভাবশালী নেতা হুগো শ্যাভেজের ক্যানসারে মৃত্যুর পর তিনি নেতৃত্ব নিয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার ভোট গণনা শেষ হলে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিল (সিএনই)। কিন্তু এই ফল তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। গতকালই তাঁরা সারা দেশে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাঁদের অনেকেই দেশের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল থেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে রাজধানীতে জড়ো হন। মাদুরোর জয়কে তাঁরা ‘জোচ্চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের প্রার্থী অ্যাডমান্ডো গনজালেস উরুতিয়া ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁরা সিএনই প্রধানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যালভিস আমরোসো মাদুরোর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
বিরোধীরা বলছেন—নির্বাচনের আগে পরিচালিত একাধিক জরিপে গনজালেস সুস্পষ্ট ব্যবধানে জয়ী হচ্ছেন বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট গণনা শেষে মাদুরোকেই জয়ী ঘোষণা করা হলো!
বিরোধীদের এমন দাবিকে যৌক্তিক বলছে কয়েকটি পশ্চিমা ও প্রতিবেশী দেশ। ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল আলাদা করে প্রকাশ করার জন্য ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও।
বৈশ্বিক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাদুরোকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর জের ধরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ভেনেজুয়েলা। শুধু আর্জেন্টিনাই নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে চিলি, পানামা, উরুগুয়ে, পেরু, কোস্টারিকা ও ডমিনিকান রিপাবলিক থেকেও কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ ও সরিয়ে দিতে বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যেন কিছুতেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছাতে না পারে সেই চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। মাদুরো সরকারের সম্ভাব্য পতনকে মঙ্গলবার দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে তুলনা করে স্লোগান দেয় বিরোধীরা। রাজপথে টায়ার জ্বেলে ও ইট-পাটক্যাল ছুঁড়ে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের জবাব দিচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। চলছে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। রাজধানীতে প্রয়াত নেতা হুগো শ্যাভেজের বিশাল একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের আইনের ভয় দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাত শতাধিক বিক্ষোভকারী এবং বিরোধীদলীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে আটক করা হয়েছে।
আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি বিরূপ আচরণ না করার জন্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গনজালেস। নির্বাচনী ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সারা দেশজুড়ে।
এদিকে মাদুরোর প্রতি অনুগত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান ভ্লাদিমির প্যাডরিনো। মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। অন্তত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ফলাফলের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন সাংবাদিকেরা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এর মূলে রয়েছে কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ, ধর্ম ও আদর্শিক পার্থক্য এবং ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরবর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। আঞ্চলিক বিরোধ একাধিকবার সশস্ত্র যুদ্ধে গড়িয়েছে। আন্তর্জতিক হস্তক্ষেপে সাময়িক সময়ের জন্য অস্ত্রবিরতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি
১০ ঘণ্টা আগেভারত আবারও ‘সংঘাত উসকে দেওয়া ও সংযম দেখানো’র মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। এটি হলো প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের এক ভঙ্গুর ভারসাম্য। এই পুনরাবৃত্ত চক্রটি যারা উপলব্ধি করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অজয় বিসারিয়া। পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাগ্যুদ্ধের পর প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ দিন আগেআব্দুল বাসিত সতর্ক করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহই ‘পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে তা নির্ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘জেনারেল মুনির কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করেন, তা তাঁকে একজন সৈনিক হিসেবে, একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে এবং পাকিস্তান কী ধরনের আঞ্চলিক অভিনেতা হতে চায়—তা সংজ্ঞায়িত করবে এবং এই মুহূর্তে সেই পছন্দটি মূল
২ দিন আগে