১৯ শতকের শেষ বছরে মার্কিনরা স্প্যানিয়ার্ডদের ফিলিপাইন থেকে তাড়িয়ে দেয়। গঠিত হয় প্রথম ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। যা ইতিহাসে ম্যালোলোস প্রজাতন্ত্র নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র গঠিত হয় জাপানের অধীনে। ১৯৪৬ সালে গঠিত হয় তৃতীয় ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। ১৯৭৩ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। পরে ১৯৮১ সালে মার্কোস সামরিক শাসন তুলে নিলে শুরু হয় চতুর্থ প্রজাতন্ত্র। ১৯৮৬ সালে এক শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফার্দিনান্দ মার্কোসকে সপরিবারে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় পঞ্চম প্রজাতন্ত্র।
গত ৩০ জুন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যিনি বঙবঙ মার্কোস নামে পরিচিত, তিনি ফিলিপাইন পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আরও এক মার্কোসের আবির্ভাব হলো। বঙবঙের বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিরুদ্ধে খুন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মা ইমেলদা মার্কোসের বিরুদ্ধেও। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আট বছরের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করে বাহারি ডিজাইনে জুতা কেনা। যাতে তিনি প্রতিদিন নতুন এক জোড়া জুতা পরতে পারেন!
বিশ্লেষকদের ধারণা, বঙবঙ মার্কোসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে আবারও তস্করতন্ত্র ফিরে আসতে যাচ্ছে। ফলে ফিলিপিনোরা যদি তাদের অতীত ইতিহাস ভুলে যায়, তবে তার জন্য তাদের উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হবে।
নির্বাচনে বঙবঙ মার্কোস ভোট পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রবরেডো পেয়েছেন ২৮ শতাংশ ভোট। বঙবঙ মার্কোসের এত বেশি ভোট পাওয়ার পেছনের বড় কারণ হচ্ছেন দেশটির তরুণেরা। বলা হচ্ছে, যেহেতু দেশটির তরুণ প্রজন্ম অতীত ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়, এ কারণেই তাঁরা বঙবঙকে ভোট দিয়েছেন। ফিলিপাইনের তরুণ প্রজন্ম জানে না, ফার্দিনান্দ মার্কোস দেশটিতে কী করেছিলেন। খুন, বিরোধীদের নির্যাতনে ভয়াবহ সব পদ্ধতির ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বঙবঙের জয়ের আরেকটি কারণ হলো—দেশটির বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে মার্কোস সিনিয়রের স্বৈরাচারী শাসনের কোনো ইতিহাস পড়ানো হয় না। আর অন্যদিকে বঙবঙ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বাবার শাসনামলকে দেশটির জন্য উন্নতি ও স্থিতিশীলতার সময় ছিল বলে উল্লেখ করে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন।
তবে তরুণ প্রজন্মের এই ভুলে যাওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জাদুও নয়। ১৯৮৬ সালে সিনিয়র মার্কোসকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মাত্র এক দশকের মাথায় ১৯৯৫ সালেই তাঁর অপশাসনের বিষয়টি ভুলে গিয়েছিল দেশবাসী। কেবল তা-ই নয়, ১৯৮৬ সালের মে মাসে মার্কোসের পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় সোশ্যাল ওয়েদার স্টেশনস নামের একটি সংস্থা জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে দেখা যায়, দেশটির অন্তত ৪১ শতাংশ মানুষ তখনো মনে করতেন, মার্কোস সিনিয়র প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালের অক্টোবর নাগাদ এই হার গিয়ে দাঁড়ায় ৫৭ শতাংশে। কেন দেশটির মানুষের এই পরিবর্তন, সে বিষয়ে সোশ্যাল ওয়েদার স্টেশনস তখন মন্তব্য করেছিল—‘আমরা সাধারণত দীর্ঘদিন আগে মারা যাওয়া কোনো মানুষের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করতে অপছন্দ করি। এমনকি সেটা ফার্দিনান্দ মার্কোসের মতো কেউ হলেও।’
মানুষ ইতিহাস ভুলে গেলেও, তার পুনরাবৃত্তি হতে কোনো বাধা নেই। বঙবঙ আপাতদৃষ্টিতে তাঁর তিন পূর্বসূরির মধ্যে দুজনের মতোই (দুতের্তে বাদে) বেশ পরিচ্ছন্ন ইমেজের। ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সব প্রেসিডেন্টের মতো তাঁরও পুরোনো পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। যদিও তাঁর মন্ত্রিসভায় রাজনীতিবিদদের চেয়ে টেকনোক্র্যাটদের প্রাধান্য বেশি।
বঙবঙ সরকারের সমালোচনার আরও জায়গা রয়েছে। তবে সমালোচনা বন্ধ করতে সরকার বেশ কিছু নেতিবাচক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। দেশটিতে যেকোনো বিদেশি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইন সরকারের সমালোচক বলে খ্যাত সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের পক্ষ নেওয়ায় বঙবঙেরই সমর্থক সলিতা মঁসুদ নামে এক কলামিস্টকে তাঁর কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ দেশটির মালিকানা আইনের আওতায় গত ২৯ জুন সরকার র্যাপলার বন্ধই করে দেয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে—প্রাথমিকভাবে বঙবঙ সরকার তার পূর্ববর্তী সরকারের মতোই আচরণ করেছে। এ থেকে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের পতন আসন্ন।
ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছিল ফার্দিনান্দ মার্কোসের শাসনের বিপরীত দর্শনের ওপর ভিত্তি করে। সে সময় মার্কোসের মতো লোকদের ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে সংবিধানও সংশোধন করা হয়েছিল। অথচ ক্ষমতায় এসেই গেলেন একই ঘরানার বঙবঙ মার্কোস।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল কুইজনের নাতি তৃতীয় ম্যানুয়েল কুইজন বলেছেন, ‘দুতের্তের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়েই ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে।’ দুতের্তের মাধ্যমে যে ধ্বংসের শুরু হয়েছিল, বঙবঙ মার্কোস ক্ষমতায় আসার পর তা পূর্ণতা পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মত, বঙবঙ মার্কোসের হাতেই ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটতে পারে, উত্থান হতে পারে ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্রের।
১৯ শতকের শেষ বছরে মার্কিনরা স্প্যানিয়ার্ডদের ফিলিপাইন থেকে তাড়িয়ে দেয়। গঠিত হয় প্রথম ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। যা ইতিহাসে ম্যালোলোস প্রজাতন্ত্র নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র গঠিত হয় জাপানের অধীনে। ১৯৪৬ সালে গঠিত হয় তৃতীয় ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। ১৯৭৩ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। পরে ১৯৮১ সালে মার্কোস সামরিক শাসন তুলে নিলে শুরু হয় চতুর্থ প্রজাতন্ত্র। ১৯৮৬ সালে এক শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফার্দিনান্দ মার্কোসকে সপরিবারে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় পঞ্চম প্রজাতন্ত্র।
গত ৩০ জুন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যিনি বঙবঙ মার্কোস নামে পরিচিত, তিনি ফিলিপাইন পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আরও এক মার্কোসের আবির্ভাব হলো। বঙবঙের বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিরুদ্ধে খুন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মা ইমেলদা মার্কোসের বিরুদ্ধেও। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আট বছরের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করে বাহারি ডিজাইনে জুতা কেনা। যাতে তিনি প্রতিদিন নতুন এক জোড়া জুতা পরতে পারেন!
বিশ্লেষকদের ধারণা, বঙবঙ মার্কোসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে আবারও তস্করতন্ত্র ফিরে আসতে যাচ্ছে। ফলে ফিলিপিনোরা যদি তাদের অতীত ইতিহাস ভুলে যায়, তবে তার জন্য তাদের উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হবে।
নির্বাচনে বঙবঙ মার্কোস ভোট পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রবরেডো পেয়েছেন ২৮ শতাংশ ভোট। বঙবঙ মার্কোসের এত বেশি ভোট পাওয়ার পেছনের বড় কারণ হচ্ছেন দেশটির তরুণেরা। বলা হচ্ছে, যেহেতু দেশটির তরুণ প্রজন্ম অতীত ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়, এ কারণেই তাঁরা বঙবঙকে ভোট দিয়েছেন। ফিলিপাইনের তরুণ প্রজন্ম জানে না, ফার্দিনান্দ মার্কোস দেশটিতে কী করেছিলেন। খুন, বিরোধীদের নির্যাতনে ভয়াবহ সব পদ্ধতির ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বঙবঙের জয়ের আরেকটি কারণ হলো—দেশটির বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে মার্কোস সিনিয়রের স্বৈরাচারী শাসনের কোনো ইতিহাস পড়ানো হয় না। আর অন্যদিকে বঙবঙ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বাবার শাসনামলকে দেশটির জন্য উন্নতি ও স্থিতিশীলতার সময় ছিল বলে উল্লেখ করে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন।
তবে তরুণ প্রজন্মের এই ভুলে যাওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জাদুও নয়। ১৯৮৬ সালে সিনিয়র মার্কোসকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মাত্র এক দশকের মাথায় ১৯৯৫ সালেই তাঁর অপশাসনের বিষয়টি ভুলে গিয়েছিল দেশবাসী। কেবল তা-ই নয়, ১৯৮৬ সালের মে মাসে মার্কোসের পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় সোশ্যাল ওয়েদার স্টেশনস নামের একটি সংস্থা জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে দেখা যায়, দেশটির অন্তত ৪১ শতাংশ মানুষ তখনো মনে করতেন, মার্কোস সিনিয়র প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালের অক্টোবর নাগাদ এই হার গিয়ে দাঁড়ায় ৫৭ শতাংশে। কেন দেশটির মানুষের এই পরিবর্তন, সে বিষয়ে সোশ্যাল ওয়েদার স্টেশনস তখন মন্তব্য করেছিল—‘আমরা সাধারণত দীর্ঘদিন আগে মারা যাওয়া কোনো মানুষের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করতে অপছন্দ করি। এমনকি সেটা ফার্দিনান্দ মার্কোসের মতো কেউ হলেও।’
মানুষ ইতিহাস ভুলে গেলেও, তার পুনরাবৃত্তি হতে কোনো বাধা নেই। বঙবঙ আপাতদৃষ্টিতে তাঁর তিন পূর্বসূরির মধ্যে দুজনের মতোই (দুতের্তে বাদে) বেশ পরিচ্ছন্ন ইমেজের। ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সব প্রেসিডেন্টের মতো তাঁরও পুরোনো পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। যদিও তাঁর মন্ত্রিসভায় রাজনীতিবিদদের চেয়ে টেকনোক্র্যাটদের প্রাধান্য বেশি।
বঙবঙ সরকারের সমালোচনার আরও জায়গা রয়েছে। তবে সমালোচনা বন্ধ করতে সরকার বেশ কিছু নেতিবাচক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। দেশটিতে যেকোনো বিদেশি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইন সরকারের সমালোচক বলে খ্যাত সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের পক্ষ নেওয়ায় বঙবঙেরই সমর্থক সলিতা মঁসুদ নামে এক কলামিস্টকে তাঁর কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ দেশটির মালিকানা আইনের আওতায় গত ২৯ জুন সরকার র্যাপলার বন্ধই করে দেয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে—প্রাথমিকভাবে বঙবঙ সরকার তার পূর্ববর্তী সরকারের মতোই আচরণ করেছে। এ থেকে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের পতন আসন্ন।
ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছিল ফার্দিনান্দ মার্কোসের শাসনের বিপরীত দর্শনের ওপর ভিত্তি করে। সে সময় মার্কোসের মতো লোকদের ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে সংবিধানও সংশোধন করা হয়েছিল। অথচ ক্ষমতায় এসেই গেলেন একই ঘরানার বঙবঙ মার্কোস।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল কুইজনের নাতি তৃতীয় ম্যানুয়েল কুইজন বলেছেন, ‘দুতের্তের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়েই ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে।’ দুতের্তের মাধ্যমে যে ধ্বংসের শুরু হয়েছিল, বঙবঙ মার্কোস ক্ষমতায় আসার পর তা পূর্ণতা পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মত, বঙবঙ মার্কোসের হাতেই ফিলিপাইনের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটতে পারে, উত্থান হতে পারে ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্রের।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
১৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
১৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
৩ দিন আগে