সম্পাদকীয়
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
সুধাংশু বিমল দত্তের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে দু’মাইল তিন মাইল দূরে। তখন কৃষক সমিতি এগুলো করার জন্য ‘দে ওয়ার লুকিং ফর এ মুসলিম বয়’, যাদের পারিবারিক ইনফ্লুয়েনস আছে। আমি এটা পছন্দ করেছি এবং সে জন্য আমি কমিউনিজমের প্রতি, কৃষক সমিতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কাজে লেগে যাই। ‘সূর্য তুমি সাথী’তে সেই কৃষক সমিতির একটা টোটাল বর্ণনা আছে। ... লেখালেখি না, তখন আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল সামাজিক বিপ্লব ঘটানো, কৃষক বিপ্লব ঘটানো। এরপর আমি কলেজ জীবনে আর এক লাইনও লিখিনি।
[ঢাকায় চলে] এসে প্রথমত সব জায়গায়ই কবিতা পাঠাতে আরম্ভ করলাম। কেউ কবিতা ছাপে না। সন্তোষ গুপ্ত বলে এক ভদ্রলোক, একেবারে চিকন সাপের জিহ্বার মতো টাই পরতেন উনি। একদিন আমাকে ধরে বললেন, ‘বাপ আছে’? আমি বললাম, নাই। বললেন, ‘ভাই আছে’? আমি বললাম, যে আছে। বললেন, ‘ভাইরে চিঠি দিব’। কেন? ‘বিয়া করাইয়া দেবো’। তারপরে কেউ কবিতা ছাপে না। পরে ইসলামিক একাডেমিতে ‘সবুজপাতা’ নামে একটা পত্রিকা বের করছিল। আমি বাচ্চাদের একটা লেখা লিখি। এটা ছাপা হয়। পরবর্তীতে এটা আবার ক্লাস এইটের টেক্সট বইতে সংকলিত করে। এটা আমার জীবনে আরেকটা মোড় ঘুরিয়ে দিলো। পরবর্তী পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবার রাস্তাটা করে দিল এই লেখা। সেটা লম্বা স্টোরি।
সূত্র: আহমদ ছফা বললেন...
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
সুধাংশু বিমল দত্তের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে দু’মাইল তিন মাইল দূরে। তখন কৃষক সমিতি এগুলো করার জন্য ‘দে ওয়ার লুকিং ফর এ মুসলিম বয়’, যাদের পারিবারিক ইনফ্লুয়েনস আছে। আমি এটা পছন্দ করেছি এবং সে জন্য আমি কমিউনিজমের প্রতি, কৃষক সমিতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কাজে লেগে যাই। ‘সূর্য তুমি সাথী’তে সেই কৃষক সমিতির একটা টোটাল বর্ণনা আছে। ... লেখালেখি না, তখন আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল সামাজিক বিপ্লব ঘটানো, কৃষক বিপ্লব ঘটানো। এরপর আমি কলেজ জীবনে আর এক লাইনও লিখিনি।
[ঢাকায় চলে] এসে প্রথমত সব জায়গায়ই কবিতা পাঠাতে আরম্ভ করলাম। কেউ কবিতা ছাপে না। সন্তোষ গুপ্ত বলে এক ভদ্রলোক, একেবারে চিকন সাপের জিহ্বার মতো টাই পরতেন উনি। একদিন আমাকে ধরে বললেন, ‘বাপ আছে’? আমি বললাম, নাই। বললেন, ‘ভাই আছে’? আমি বললাম, যে আছে। বললেন, ‘ভাইরে চিঠি দিব’। কেন? ‘বিয়া করাইয়া দেবো’। তারপরে কেউ কবিতা ছাপে না। পরে ইসলামিক একাডেমিতে ‘সবুজপাতা’ নামে একটা পত্রিকা বের করছিল। আমি বাচ্চাদের একটা লেখা লিখি। এটা ছাপা হয়। পরবর্তীতে এটা আবার ক্লাস এইটের টেক্সট বইতে সংকলিত করে। এটা আমার জীবনে আরেকটা মোড় ঘুরিয়ে দিলো। পরবর্তী পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবার রাস্তাটা করে দিল এই লেখা। সেটা লম্বা স্টোরি।
সূত্র: আহমদ ছফা বললেন...
আর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৬ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৬ দিন আগেআমি মনে করি, পৃথিবীতে ‘সব প্রতিষ্ঠানের বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লিঙ্গায়ন’। এটা নীরবেই অনেক আগেই বিশ্বায়িত...। অনেক আগে হাজার হাজার বছর আগে...বিশ্ব নিয়ে লোকে তখনো ভাবতেই শেখেনি। লিঙ্গ থেকে যা আলাদা হচ্ছে একমাত্র অভিজ্ঞতালব্ধ পার্থক্য, যা প্রত্যেকেই আঁচ করতে পারে আর তাই আপনারা জানতে পারবেন...
১০ দিন আগে