সম্পাদকীয়
ভারতের শ্রেষ্ঠতম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন মৃণাল সেন। ভারতে নিউ ওয়েভ সিনেমার আগমনও ঘটেছে তাঁর হাত ধরে। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। এখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার পর কলকাতায় চলে যান। সেখানে পদার্থবিদ্যায় স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
আজীবন কমিউনিজমে বিশ্বাসী মৃণাল সেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও কখনো পার্টির সদস্য হননি। তিনি ১৯৫৫ সালে ‘রাত ভোর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে কাজ করা শুরু করেন। চার বছর অন্তরালে থাকার পর ১৯৫৯ সালে ‘নীল আকাশের নিচে’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন। এরপর ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর মাধ্যমে প্রথম আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
মৃণাল বলতেন, আমার তিন প্রণয়িনী। আমার কাহিনি, আমার মাধ্যম এবং আমার সময়। কাহিনি যে সময়ের কথা বলে, শিল্প তাকে পেরিয়ে চিরকালীন হয়ে ওঠে। কিন্তু তার প্রয়োগ বর্তমান সময়ের ওপর নির্ভর করে। তাই প্রতিটি সিনেমার সঙ্গে মানুষ হিসেবেও গড়ে ওঠার একটা তাগিদ কাজ করে।
চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি কখনো বিশুদ্ধতাবাদী ছিলেন না। তাঁর বিশ্বাস ছিল, একটি পত্রিকার মাত্র হেডলাইন থেকেও ছবি বানানো যেতে পারে। চলচ্চিত্রে মুনশিয়ানার সঙ্গে অন্য মাধ্যমের নানা জিনিস ব্যবহার করেও, সার্থক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব।
তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি প্রথম চেয়ারম্যান, যিনি গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।
১৯৪৩ সালের মন্বন্তরে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় দেখেছেন কলকাতায়। খাদ্যশস্যের বিপুল ভান্ডার ইউরোপে চালান হয়ে যাচ্ছে, দেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর বিনিময়ে। সেই নিষ্ঠুরতা প্রতিফলিত হয়েছিল ১৯৬০ সালের ‘বাইশে শ্রাবণ’ সিনেমায়। ঋত্বিক ঘটক আর মৃণাল ছিলেন অবিচ্ছেদ্য বন্ধু।
এই বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতের শ্রেষ্ঠতম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন মৃণাল সেন। ভারতে নিউ ওয়েভ সিনেমার আগমনও ঘটেছে তাঁর হাত ধরে। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। এখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার পর কলকাতায় চলে যান। সেখানে পদার্থবিদ্যায় স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
আজীবন কমিউনিজমে বিশ্বাসী মৃণাল সেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও কখনো পার্টির সদস্য হননি। তিনি ১৯৫৫ সালে ‘রাত ভোর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে কাজ করা শুরু করেন। চার বছর অন্তরালে থাকার পর ১৯৫৯ সালে ‘নীল আকাশের নিচে’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন। এরপর ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর মাধ্যমে প্রথম আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
মৃণাল বলতেন, আমার তিন প্রণয়িনী। আমার কাহিনি, আমার মাধ্যম এবং আমার সময়। কাহিনি যে সময়ের কথা বলে, শিল্প তাকে পেরিয়ে চিরকালীন হয়ে ওঠে। কিন্তু তার প্রয়োগ বর্তমান সময়ের ওপর নির্ভর করে। তাই প্রতিটি সিনেমার সঙ্গে মানুষ হিসেবেও গড়ে ওঠার একটা তাগিদ কাজ করে।
চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি কখনো বিশুদ্ধতাবাদী ছিলেন না। তাঁর বিশ্বাস ছিল, একটি পত্রিকার মাত্র হেডলাইন থেকেও ছবি বানানো যেতে পারে। চলচ্চিত্রে মুনশিয়ানার সঙ্গে অন্য মাধ্যমের নানা জিনিস ব্যবহার করেও, সার্থক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব।
তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি প্রথম চেয়ারম্যান, যিনি গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।
১৯৪৩ সালের মন্বন্তরে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় দেখেছেন কলকাতায়। খাদ্যশস্যের বিপুল ভান্ডার ইউরোপে চালান হয়ে যাচ্ছে, দেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর বিনিময়ে। সেই নিষ্ঠুরতা প্রতিফলিত হয়েছিল ১৯৬০ সালের ‘বাইশে শ্রাবণ’ সিনেমায়। ঋত্বিক ঘটক আর মৃণাল ছিলেন অবিচ্ছেদ্য বন্ধু।
এই বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
১ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৩ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৭ দিন আগে