সম্পাদকীয়
ষাট সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল নিয়ে চীনে গিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের একজন ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। সেটা ১৯৭৮ সাল। সেই দলে ছিলেন ফিরোজা বেগম, ফেরদৌসী রহমান, সাবিনা ইয়াসমীন, শাহনাজ রহমতউল্লাহ, কাদেরী কিবরিয়া, ফেরদৌস ওয়াহিদ আর বিদিত লাল দাসের লোকসংগীতের দল। সে সময় চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব অর্থাৎ গ্যাঙ অব ফোরের তাণ্ডব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তখনো বিদেশিদের পক্ষে সে দেশে যাওয়ার সুযোগ ছিল কম। তবু আফিমে বুঁদ একটি জাতিকে কী করে এ রকম কর্মঠ করে গড়ে তোলা হয়েছিল, সেটা দেখার আগ্রহ ছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর।
ঢাকা থেকে হংকংয়ে গেলেন ক্যাথে প্যাসিফিকে করে। তখনকার পিকিংয়ে একটা পাঁচতারা মাপের হোটেলে উঠলেন তাঁরা। সকালে ঘুম থেকে উঠলেন গানের শব্দে। অবাক হলেন। এই সকালে কে গান গায়? জানালা দিয়ে দেখেন রাস্তাজুড়ে সাইকেল আরোহীর দল সাইকেল থেকে নেমে সেই ভেসে আসা গানের তালে তালে শরীরচর্চা করছেন। কিছুক্ষণ পর বন্ধ হলো গান। সাইকেল আরোহীরাও চলে গেলেন যে যার গন্তব্যে।
সমস্যা হলো খাওয়ার সময়। হোটেলে ওঠার পর থেকেই অদ্ভুত একটা গন্ধ পাচ্ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। লিফটেও একই রকম গন্ধ।
ঢাকায় চীনা খাবার বেশ তৃপ্তি নিয়েই খেতেন তাঁরা। কিন্তু যখন খেতে বসলেন, তখন বুঝলেন চীন দেশের চীনা খাবার আর ঢাকার চীনা খাবার এক নয়। সঙ্গী ছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারলেন না। কিন্তু সৈয়দ আব্দুল হাদীর দর্শন অন্য রকম। যে দেশে যাওয়া হবে, খেতে হবে সে দেশের খাবার। অনেকেই আছেন, যারা বিদেশে গেলেও ডাল আর আলু ভর্তার সন্ধান করেন। কিন্তু তিনি ভালোবাসেন স্থানীয় খাবার। তাই অনেকে যখন খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়লেন, তখন সৈয়দ আব্দুল হাদী তৃপ্তি নিয়েই খেলেন সে খাবার।
সূত্র: সৈয়দ আব্দুল হাদী, জীবনের গান, পৃষ্ঠা ১১৭–১১৮
ষাট সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল নিয়ে চীনে গিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের একজন ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। সেটা ১৯৭৮ সাল। সেই দলে ছিলেন ফিরোজা বেগম, ফেরদৌসী রহমান, সাবিনা ইয়াসমীন, শাহনাজ রহমতউল্লাহ, কাদেরী কিবরিয়া, ফেরদৌস ওয়াহিদ আর বিদিত লাল দাসের লোকসংগীতের দল। সে সময় চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব অর্থাৎ গ্যাঙ অব ফোরের তাণ্ডব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তখনো বিদেশিদের পক্ষে সে দেশে যাওয়ার সুযোগ ছিল কম। তবু আফিমে বুঁদ একটি জাতিকে কী করে এ রকম কর্মঠ করে গড়ে তোলা হয়েছিল, সেটা দেখার আগ্রহ ছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর।
ঢাকা থেকে হংকংয়ে গেলেন ক্যাথে প্যাসিফিকে করে। তখনকার পিকিংয়ে একটা পাঁচতারা মাপের হোটেলে উঠলেন তাঁরা। সকালে ঘুম থেকে উঠলেন গানের শব্দে। অবাক হলেন। এই সকালে কে গান গায়? জানালা দিয়ে দেখেন রাস্তাজুড়ে সাইকেল আরোহীর দল সাইকেল থেকে নেমে সেই ভেসে আসা গানের তালে তালে শরীরচর্চা করছেন। কিছুক্ষণ পর বন্ধ হলো গান। সাইকেল আরোহীরাও চলে গেলেন যে যার গন্তব্যে।
সমস্যা হলো খাওয়ার সময়। হোটেলে ওঠার পর থেকেই অদ্ভুত একটা গন্ধ পাচ্ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। লিফটেও একই রকম গন্ধ।
ঢাকায় চীনা খাবার বেশ তৃপ্তি নিয়েই খেতেন তাঁরা। কিন্তু যখন খেতে বসলেন, তখন বুঝলেন চীন দেশের চীনা খাবার আর ঢাকার চীনা খাবার এক নয়। সঙ্গী ছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারলেন না। কিন্তু সৈয়দ আব্দুল হাদীর দর্শন অন্য রকম। যে দেশে যাওয়া হবে, খেতে হবে সে দেশের খাবার। অনেকেই আছেন, যারা বিদেশে গেলেও ডাল আর আলু ভর্তার সন্ধান করেন। কিন্তু তিনি ভালোবাসেন স্থানীয় খাবার। তাই অনেকে যখন খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়লেন, তখন সৈয়দ আব্দুল হাদী তৃপ্তি নিয়েই খেলেন সে খাবার।
সূত্র: সৈয়দ আব্দুল হাদী, জীবনের গান, পৃষ্ঠা ১১৭–১১৮
আজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১১ ঘণ্টা আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
১ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগেপ্রাচীনকালে মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি ও অনুভূতির বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যমই ছিল গল্প বলা। বর্ণ বা হরফ উদ্ভাবনের আগে মুখে মুখে গল্প বলার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ইতিহাস প্রবাহিত হয়েছিল, টেল অ্যা স্টোরি ডে সেটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
৩ দিন আগে