Ajker Patrika

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

সম্পাদকীয়
মাইকেল মধুসূদন দত্ত

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক, প্রহসন ও ট্র‍্যাজেডি লেখেন। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দেরও প্রবর্তক।

সাত বছর বয়সে তিনি কলকাতায় যান। স্কুলে পড়া শেষ করে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংরেজি সাহিত্যের বড় কবি হওয়ার।

এ জন্য তিনি ১৮৪৩ সালে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মান্তরের কারণে মা-বাবা ও নিকটাত্মীয়রা তাঁকে ত্যাগ করলে তিনি ভাগ্যান্বেষণে ১৮৪৮ সালে মাদ্রাজে চলে যান। রেবেকা ও হেনরিয়েটার সঙ্গে তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় বিয়ে এখানেই হয়। মাদ্রাজে থাকাকালে তিনি হিব্রু, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান, তামিল ও তেলুগু ভাষা শেখেন। বাবা ও মা উভয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। কিছুদিন পর তিনি ইংল্যান্ডে যান এবং ১৮৬৬ সালে ব্যারিস্টারি পাস করেন।

১৮৬৭ সালে দেশে ফিরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। কিন্তু ওকালতিতে সুবিধা করতে না পেরে হাইকোর্টের অনুবাদ বিভাগে যোগ দেন। দুই বছর পর এই চাকরি ছেড়ে তিনি পুনরায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। এবার তিনি সফল হন, কিন্তু অমিতব্যয়িতার কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শেষ জীবন চরম দুঃখ ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ছিলেন। ঋণের দায়, অর্থাভাব, চিকিৎসাহীনতা ইত্যাদি কারণে তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল।

ইংরেজি সাহিত্যের বড় কবি হওয়ার জন্য তিনি ইংল্যান্ডে গেলেও তাঁর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। এরপর তিনি বাংলা সাহিত্যে মন দেন। লিখতে শুরু করেন বাংলায়। সফলতা ছুঁয়ে দেয় তাঁকে।

মধুসূদন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি। তিনি তাঁর কবিতার বিষয় সংগ্রহ করেছিলেন সংস্কৃত সাহিত্য থেকে।

বাংলা ভাষার এই মহান কবি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। বেঁচেছিলেন মাত্র ৪৯ বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত