সম্পাদকীয়
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে বাংলাদেশের লেখকদের লেখক বলা হয়। পেশাগত জীবনে ইলিয়াস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখক ও অধ্যাপনার পাশাপাশি তাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল সাংগঠনিক সক্রিয়তায় তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এই সংগঠনে তিনি দীর্ঘ সময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংগঠনিক কাজে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি বলতেন, ‘শিল্প-সাহিত্য বিপ্লবকে দিক ভাষা। বিপ্লব শিল্প সাহিত্যকে দেবে মুক্তি।’ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন বোনা ছিল তাঁর সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্য।
স্বল্পায়ু জীবনে খুবই অল্প লিখেছেন, কিন্তু তাঁর সাহিত্যিক প্রভাব আকাশছোঁয়া এখনো। মাত্র ২টি উপন্যাস, ২৮টি গল্প আর ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ একমাত্র প্রবন্ধের বই। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসটি লেখা হয়েছে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে; আর ‘খোয়াবনামা’য় উঠে এসেছে ইংরেজবিরোধী সংগ্রাম, ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, ভারতবিভক্তিসহ ইতিহাসের নানা প্রেক্ষাপট। হাসান আজিজুল হক তাঁর ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ পড়ে বলেছিলেন, ‘এটি তিরের মতো ঋজু, ধানি লঙ্কার মতো বদমেজাজি, পরনারীর মতো আকর্ষণীয়।’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তৃতীয় ঐতিহাসিক ‘করতোয়া মাহাত্ম্য’ উপন্যাসটি লেখা শেষ করতে পারেননি।
মাত্র ৩০ বছরের সাহিত্যজীবনে ইলিয়াস নিজেকে বারবার ভেঙেছেন, আবার নতুন করে গড়েছেন। ছোটগল্পে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নতুন ধারা। চলাফেরা করতেন পাবলিক বাসে। খুব সাদামাটা জীবনযাপন করলেও ব্রিটিশদের মতো পাইপ টানতেন, লিখতেন টাইপ রাইটারে। এসব ছিল তাঁর শখ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সহজাতভাবে মিশতে পারতেন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে। স্বপ্নে পাওয়া কোনো কিছুর চেয়ে, বাস্তব জীবন থেকেই খুঁজে নিতেন তাঁর চরিত্রগুলো। কিন্তু তিনি শ্রমিকশ্রেণির লাল পতাকার বিজয় মিছিলের কাল্পনিক গালগপ্পো লেখেননি। শ্রমজীবী মানুষকে বাস্তব অবস্থার মতো করে তুলে ধরেছেন তাঁর সাহিত্যে।
এই বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে বাংলাদেশের লেখকদের লেখক বলা হয়। পেশাগত জীবনে ইলিয়াস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখক ও অধ্যাপনার পাশাপাশি তাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল সাংগঠনিক সক্রিয়তায় তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এই সংগঠনে তিনি দীর্ঘ সময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংগঠনিক কাজে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি বলতেন, ‘শিল্প-সাহিত্য বিপ্লবকে দিক ভাষা। বিপ্লব শিল্প সাহিত্যকে দেবে মুক্তি।’ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন বোনা ছিল তাঁর সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্য।
স্বল্পায়ু জীবনে খুবই অল্প লিখেছেন, কিন্তু তাঁর সাহিত্যিক প্রভাব আকাশছোঁয়া এখনো। মাত্র ২টি উপন্যাস, ২৮টি গল্প আর ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ একমাত্র প্রবন্ধের বই। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসটি লেখা হয়েছে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে; আর ‘খোয়াবনামা’য় উঠে এসেছে ইংরেজবিরোধী সংগ্রাম, ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, ভারতবিভক্তিসহ ইতিহাসের নানা প্রেক্ষাপট। হাসান আজিজুল হক তাঁর ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ পড়ে বলেছিলেন, ‘এটি তিরের মতো ঋজু, ধানি লঙ্কার মতো বদমেজাজি, পরনারীর মতো আকর্ষণীয়।’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তৃতীয় ঐতিহাসিক ‘করতোয়া মাহাত্ম্য’ উপন্যাসটি লেখা শেষ করতে পারেননি।
মাত্র ৩০ বছরের সাহিত্যজীবনে ইলিয়াস নিজেকে বারবার ভেঙেছেন, আবার নতুন করে গড়েছেন। ছোটগল্পে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নতুন ধারা। চলাফেরা করতেন পাবলিক বাসে। খুব সাদামাটা জীবনযাপন করলেও ব্রিটিশদের মতো পাইপ টানতেন, লিখতেন টাইপ রাইটারে। এসব ছিল তাঁর শখ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সহজাতভাবে মিশতে পারতেন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে। স্বপ্নে পাওয়া কোনো কিছুর চেয়ে, বাস্তব জীবন থেকেই খুঁজে নিতেন তাঁর চরিত্রগুলো। কিন্তু তিনি শ্রমিকশ্রেণির লাল পতাকার বিজয় মিছিলের কাল্পনিক গালগপ্পো লেখেননি। শ্রমজীবী মানুষকে বাস্তব অবস্থার মতো করে তুলে ধরেছেন তাঁর সাহিত্যে।
এই বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৬ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৭ দিন আগেআমি মনে করি, পৃথিবীতে ‘সব প্রতিষ্ঠানের বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লিঙ্গায়ন’। এটা নীরবেই অনেক আগেই বিশ্বায়িত...। অনেক আগে হাজার হাজার বছর আগে...বিশ্ব নিয়ে লোকে তখনো ভাবতেই শেখেনি। লিঙ্গ থেকে যা আলাদা হচ্ছে একমাত্র অভিজ্ঞতালব্ধ পার্থক্য, যা প্রত্যেকেই আঁচ করতে পারে আর তাই আপনারা জানতে পারবেন...
১০ দিন আগে