উত্তরণ
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
আমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এর পর থেকে সে আমার খোঁজখবর নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তালাক দিয়েছি। এই তালাক সঠিক হয়েছে কি না জানতে চাই।
মনিরা, সুনামগঞ্জ
উত্তর: আপনার প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তব জীবনের জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি কোর্টের মাধ্যমে তিনটি তালাক নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু আপনার স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি স্বাক্ষর করেননি বা গ্রহণ করেননি। যদি কিছু বিষয় ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, তবে আপনার তালাক হয়েছে।
কোর্টের মাধ্যমে তালাক
১৯৬১ সালের বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইনের ধারা ৭ অনুযায়ী, তালাক দিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যানের (বা তাঁর প্রতিনিধি) মাধ্যমে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হয়।
প্রথম নোটিশ দেওয়ার পর ৯০ দিন (৩ মাস) সময় গণনা হয়। যদি এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী বা স্ত্রী পুনরায় মিল হওয়ার পদক্ষেপ না নেন বা সালিস না হয়, তবে ৯০ দিন পরে তালাক কার্যকর হয়ে যায়, স্বামীর স্বাক্ষর না থাকলেও বা নোটিশ গ্রহণ না করলেও।
স্বামীর অনুপস্থিতি/প্রবাসে থাকা
আপনার স্বামী প্রবাসে। তিনি যদি নোটিশ না পান বা কোনো প্রতিক্রিয়া না দেন, তবু তালাকের ৯০ দিন পূর্ণ হলে তালাক কার্যকর হয়। স্বামীর স্বাক্ষর করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু নোটিশটি স্বামীর বাংলাদেশের বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে নিশ্চয়। এসব ক্ষেত্রে নোটিশটি ডাকযোগে পাঠানোর পাশাপাশি ই-মেইলেও পাঠানোর কথা আমরা বলে থাকি। এই আইন স্বামীর অনুপস্থিতিতেও প্রযোজ্য।
কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রেশন
যদি আপনি তালাকের তিনটি নোটিশ যথাযথভাবে পাঠিয়ে থাকেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালাক রেজিস্ট্রি করা হয়, তাহলে তালাক পুরোপুরি বৈধ ও কার্যকর। এখন আপনার করণীয় বিষয় হবে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে তালাক কার্যকর হওয়ার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা। সেই সার্টিফিকেটই প্রমাণ করবে, আপনি এখন তালাকপ্রাপ্ত এবং আইনগতভাবে মুক্ত। ভবিষ্যতে প্রমাণ হিসেবে এটি প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এর পর থেকে সে আমার খোঁজখবর নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তালাক দিয়েছি। এই তালাক সঠিক হয়েছে কি না জানতে চাই।
মনিরা, সুনামগঞ্জ
উত্তর: আপনার প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তব জীবনের জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি কোর্টের মাধ্যমে তিনটি তালাক নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু আপনার স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি স্বাক্ষর করেননি বা গ্রহণ করেননি। যদি কিছু বিষয় ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, তবে আপনার তালাক হয়েছে।
কোর্টের মাধ্যমে তালাক
১৯৬১ সালের বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইনের ধারা ৭ অনুযায়ী, তালাক দিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যানের (বা তাঁর প্রতিনিধি) মাধ্যমে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হয়।
প্রথম নোটিশ দেওয়ার পর ৯০ দিন (৩ মাস) সময় গণনা হয়। যদি এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী বা স্ত্রী পুনরায় মিল হওয়ার পদক্ষেপ না নেন বা সালিস না হয়, তবে ৯০ দিন পরে তালাক কার্যকর হয়ে যায়, স্বামীর স্বাক্ষর না থাকলেও বা নোটিশ গ্রহণ না করলেও।
স্বামীর অনুপস্থিতি/প্রবাসে থাকা
আপনার স্বামী প্রবাসে। তিনি যদি নোটিশ না পান বা কোনো প্রতিক্রিয়া না দেন, তবু তালাকের ৯০ দিন পূর্ণ হলে তালাক কার্যকর হয়। স্বামীর স্বাক্ষর করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু নোটিশটি স্বামীর বাংলাদেশের বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে নিশ্চয়। এসব ক্ষেত্রে নোটিশটি ডাকযোগে পাঠানোর পাশাপাশি ই-মেইলেও পাঠানোর কথা আমরা বলে থাকি। এই আইন স্বামীর অনুপস্থিতিতেও প্রযোজ্য।
কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রেশন
যদি আপনি তালাকের তিনটি নোটিশ যথাযথভাবে পাঠিয়ে থাকেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালাক রেজিস্ট্রি করা হয়, তাহলে তালাক পুরোপুরি বৈধ ও কার্যকর। এখন আপনার করণীয় বিষয় হবে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে তালাক কার্যকর হওয়ার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা। সেই সার্টিফিকেটই প্রমাণ করবে, আপনি এখন তালাকপ্রাপ্ত এবং আইনগতভাবে মুক্ত। ভবিষ্যতে প্রমাণ হিসেবে এটি প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
২ দিন আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
২ দিন আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
২ দিন আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
২ দিন আগে