Ajker Patrika

নারী সংজ্ঞায়িত জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে, ট্রান্সজেন্ডার নয়: ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ১৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নারীর আইনগত সংজ্ঞা নির্ধারিত বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার অধিকার চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে আজ বুধবার এই রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারকেরা বলেছেন, লিঙ্গের ধারণা দ্বৈত (বাইনারি), অর্থাৎ হয় নারী না হয় পুরুষ। একই সঙ্গে বিচারকেরা সতর্ক করেন, ঐতিহাসিক এই রায়কে কোনো এক পক্ষের বিজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়।

আদালত আরও বলেছেন, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা এখন সুরক্ষা পান না—বিষয়টি এমন নয়। তাঁরা বিদ্যমান আইনে যেকোনো বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনগত সুরক্ষা পান।

ব্যক্তিদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার অধিকার চেয়েছিল স্কটল্যান্ড সরকার। তাদের যুক্তি ছিল, যেসব ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেট (জিআরসি) পেয়েছেন, তাঁরাও লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার অধিকারী। এই আবেদনের বিরোধিতা করে ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ আদালতকে বলেছে, এসব সুরক্ষা কেবল জন্মসূত্রে নারী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’। তবে এই রায়ের কারণের ট্রান্সজেন্ডারদের ভীত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা স্কটিশ ট্রান্স।

স্কটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা ‘সততার সঙ্গে কাজ করেছে’ এবং এই রায়ের পূর্ণ প্রভাব বুঝতে ওয়েস্টমিনস্টারের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

সুপ্রিম কোর্টের ৮৮ পৃষ্ঠার রায়ের প্রধান দিকসমূহ তুলে ধরা হলো—

আদালত বলেছেন

  • স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেট (জিআরসি) পাওয়া কোনো ব্যক্তি ২০১০ সালের ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের অধীনে ‘নারী’ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন না। এ বিষয়ে স্কটিশ সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে, তা ভুল।
  • লৈঙ্গিক পরিবর্তন (জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট) ও জৈবিক লিঙ্গ (সেক্স) বৈষম্য ও অসমতার আলাদা ভিত্তি।
  • ইকুয়ালিটি অ্যাক্টে ‘লিঙ্গ’-এর সংজ্ঞায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, লিঙ্গ একটি দ্বৈত (বাইনারি) ধারণা— ব্যক্তিটি হয় নারী, নয় পুরুষ।
  • লিঙ্গকে সার্টিফিকেটেড সেক্স বা ‘সনদপ্রাপ্ত লিঙ্গ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করলে তাতে ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ সংজ্ঞা ও লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার পুরো কাঠামো ভেঙে পড়বে এবং তা হবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের জৈবিক ব্যাখ্যাকেই আদালত সঠিক বলে মনে করেছেন। কোনো ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির জিআরসি থাকুক বা না থাকুক, ওই আইন তাঁদের কোনো ক্ষতি করে না।
  • এই রায় কোনোভাবেই ট্রান্সজেন্ডারদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিরুৎসাহিত করে না। সেই সঙ্গে যেসব ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কম আছে, সেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়াতেও বাধা দেয় না।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

পরপর সংঘর্ষে উড়ে গেল বাসের ছাদ, যাত্রীসহ ৫ কিমি নিয়ে গেলেন চালক

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত