ডেস্ক রিপোর্ট
হয় স্বামীর সঙ্গে থাকো, নয়তো কারাভোগ করো—আফগানিস্তানে নারীদের এ এক করুণ নিয়তি।সে দেশের কিশোরীরা স্কুলে যায় না,গান কিংবা নাচ শেখে না, খেলাধুলা করতে পারে না। এমনকি হাতখরচের টাকাও আয় করতে পারে না। এসবের অনুমতি নেই তাদের। সেখানে কিশোরীদের অনুমতি আছে শুধু বিয়ে করার। বিয়ের পর তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তি মিলবে না। তালাক চাইলে আদালতের পক্ষ থেকে তাদের বলে দেওয়া হবে—স্বামীর সঙ্গে থাকো, নয়তো কারাভোগ করো।
আফগানিস্তানের উত্তর বালখ প্রদেশে বেনাফাশা নামে এক ১৬ বছরের কিশোরী মুখ ফুটে চেয়েছিল তার অধিকার। প্রতিনিয়ত সমাজ, রাষ্ট্র আর পরিবারের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা সেই কিশোরী স্বামীর সঙ্গে লড়াই করে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। চেয়েছিল অপমানজনক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে। বেনাফাশার বোন কুদিসা অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম ‘রুখশানা মিডিয়া’কে জানিয়েছেন, বেনাফাশা স্বামীর প্রতি খারাপ ব্যবহার ও মাদক সেবনের অভিযোগ এনে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হতে চেয়েছিল। কিন্তু তার ২৮ বছর বয়সী স্বামী আলাদা হতে অস্বীকৃতি জানালে বেনাফাশা তালেবান আদালতে বিচার চায়। বিচারক তাকে দুটি উপায় বলে দেন—জেলে যাও অথবা স্বামীর সঙ্গে থাকো।
বেনাফাশা বেছে নেয় কারাগার। শুধু কুদিসা নন, বালখের একটি সূত্রও রুখশানা মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছে, বেনাফাশা স্বামীর সঙ্গে থাকতে অস্বীকৃতি জানানোয় কারারুদ্ধ হয়েছে। এই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কিন্তু বিয়ের আগে কেউ জানত না তার স্বামী মাদকাসক্ত।
কুদিসা জানান, বদমেজাজি স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন তার বোন বাপের বাড়ি চলে আসে। সেদিন রাতে সে তার মা ও খালাকে সব কথা খোলাখুলি জানিয়ে দেয়। পরদিন সকালে যখন বাড়ির পুরুষেরা কাজে চলে যান, তখন বেনাফাশার স্বামী তাদের বাড়িতে এসে তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এতে বেনাফাশার ডান গালে দাগ পড়ে যায়।
বেনাফাশা তার ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রমাণসহ আদালতে তালাকের আবেদন করে। আদালত তাকে যা বলেছিল, তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। কুদিসা জানান, আদালত থেকে বলা হয়েছে, অন্য কাউকে পছন্দের কারণে বেনাফাশা এখন তার স্বামীকে পছন্দ করছে না। কুদিসা জানান, বিচারক বেনাফাশার কোনো অভিযোগই আমলে নেননি। উল্টো জানিয়ে দেন, যদি স্বামী তাকে ছাড়তে না চায়, তাহলে বেনাফাশার অধিকার নেই আলাদা থাকার। এমনকি কারাবরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও আদালত তাকে জানিয়ে দেয়, সে যত দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজি হবে না, তত দিন তাকে কারাগারে থাকতে হবে।
শুধু বেনাফাশা নয়, আফগানিস্তানে এমন আরও ঘটনা আছে। সেই সব ঘটনায় দেখা যায়, বছরের পর বছর নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায় সহ্য করতে না পেরে যখনই নারীরা মামলা করেছেন, তালাক চেয়েছেন, সেই মামলার রায় একই হয়েছে। তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে অথবা স্বামীর সঙ্গে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বালখ প্রদেশের ডিফেন্স লইয়াররা জানিয়েছেন, তালেবান বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলো পারিবারিক বিচারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের পক্ষে রায় দেয়। বালখের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুখশানা মিডিয়াকে জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে তালেবান নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি মৌখিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। তাতে পারিবারিক মামলায় নারীদের কাছ থেকে ‘প্রকৃত’ অনুরোধ গ্রহণ না করতে আদালতকে স্পষ্টত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নির্দেশটি ইচ্ছাকৃতভাবে মৌখিক আকারে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারে।
হয় স্বামীর সঙ্গে থাকো, নয়তো কারাভোগ করো—আফগানিস্তানে নারীদের এ এক করুণ নিয়তি।সে দেশের কিশোরীরা স্কুলে যায় না,গান কিংবা নাচ শেখে না, খেলাধুলা করতে পারে না। এমনকি হাতখরচের টাকাও আয় করতে পারে না। এসবের অনুমতি নেই তাদের। সেখানে কিশোরীদের অনুমতি আছে শুধু বিয়ে করার। বিয়ের পর তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তি মিলবে না। তালাক চাইলে আদালতের পক্ষ থেকে তাদের বলে দেওয়া হবে—স্বামীর সঙ্গে থাকো, নয়তো কারাভোগ করো।
আফগানিস্তানের উত্তর বালখ প্রদেশে বেনাফাশা নামে এক ১৬ বছরের কিশোরী মুখ ফুটে চেয়েছিল তার অধিকার। প্রতিনিয়ত সমাজ, রাষ্ট্র আর পরিবারের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা সেই কিশোরী স্বামীর সঙ্গে লড়াই করে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। চেয়েছিল অপমানজনক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে। বেনাফাশার বোন কুদিসা অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম ‘রুখশানা মিডিয়া’কে জানিয়েছেন, বেনাফাশা স্বামীর প্রতি খারাপ ব্যবহার ও মাদক সেবনের অভিযোগ এনে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হতে চেয়েছিল। কিন্তু তার ২৮ বছর বয়সী স্বামী আলাদা হতে অস্বীকৃতি জানালে বেনাফাশা তালেবান আদালতে বিচার চায়। বিচারক তাকে দুটি উপায় বলে দেন—জেলে যাও অথবা স্বামীর সঙ্গে থাকো।
বেনাফাশা বেছে নেয় কারাগার। শুধু কুদিসা নন, বালখের একটি সূত্রও রুখশানা মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছে, বেনাফাশা স্বামীর সঙ্গে থাকতে অস্বীকৃতি জানানোয় কারারুদ্ধ হয়েছে। এই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কিন্তু বিয়ের আগে কেউ জানত না তার স্বামী মাদকাসক্ত।
কুদিসা জানান, বদমেজাজি স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন তার বোন বাপের বাড়ি চলে আসে। সেদিন রাতে সে তার মা ও খালাকে সব কথা খোলাখুলি জানিয়ে দেয়। পরদিন সকালে যখন বাড়ির পুরুষেরা কাজে চলে যান, তখন বেনাফাশার স্বামী তাদের বাড়িতে এসে তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এতে বেনাফাশার ডান গালে দাগ পড়ে যায়।
বেনাফাশা তার ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রমাণসহ আদালতে তালাকের আবেদন করে। আদালত তাকে যা বলেছিল, তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। কুদিসা জানান, আদালত থেকে বলা হয়েছে, অন্য কাউকে পছন্দের কারণে বেনাফাশা এখন তার স্বামীকে পছন্দ করছে না। কুদিসা জানান, বিচারক বেনাফাশার কোনো অভিযোগই আমলে নেননি। উল্টো জানিয়ে দেন, যদি স্বামী তাকে ছাড়তে না চায়, তাহলে বেনাফাশার অধিকার নেই আলাদা থাকার। এমনকি কারাবরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও আদালত তাকে জানিয়ে দেয়, সে যত দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজি হবে না, তত দিন তাকে কারাগারে থাকতে হবে।
শুধু বেনাফাশা নয়, আফগানিস্তানে এমন আরও ঘটনা আছে। সেই সব ঘটনায় দেখা যায়, বছরের পর বছর নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায় সহ্য করতে না পেরে যখনই নারীরা মামলা করেছেন, তালাক চেয়েছেন, সেই মামলার রায় একই হয়েছে। তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে অথবা স্বামীর সঙ্গে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বালখ প্রদেশের ডিফেন্স লইয়াররা জানিয়েছেন, তালেবান বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলো পারিবারিক বিচারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের পক্ষে রায় দেয়। বালখের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুখশানা মিডিয়াকে জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে তালেবান নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি মৌখিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। তাতে পারিবারিক মামলায় নারীদের কাছ থেকে ‘প্রকৃত’ অনুরোধ গ্রহণ না করতে আদালতকে স্পষ্টত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নির্দেশটি ইচ্ছাকৃতভাবে মৌখিক আকারে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারে।
জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
১ দিন আগেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
৩ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
৩ দিন আগেবাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএন উইমেন নতুন এক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ঢাকার ইইউ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তির আওতায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ জনপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং উচ্চশিক্
৩ দিন আগে