ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা
২০১৭ সালে ভারতে মুক্তি পেয়েছিল ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ নামের একটি চলচ্চিত্র। গানপাগল ১৫ বছরের কিশোরী ইনসিয়া মালিকের স্বপ্ন ছিল সংগীতশিল্পী হওয়ার। মায়ের সমর্থন পেলেও এ বিষয়ে বাবা ছিল বিমুখ। এ বিশাল যাত্রায় বহু ঘটনার পর মইনসিয়া জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পর্দার ইনসিয়ার মতো আফগানিস্তানের দুই বোনও সোচ্চার হয়েছিলেন নিজেদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ইনসিয়া চরিত্রটির মতো এই দুই নিকাবধারী বোন ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তাঁদের গানের ভিডিও প্রকাশ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। নিকাব পরে কিংবা চেহারা আড়াল করে জনপ্রিয়তা পাওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু তাঁদের কথা আলাদা করে বলার কারণ, আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে যে বছর থেকে তালেবান শাসকেরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করে, এই দুই বোন সে বছরের আগস্টেই ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হন গানের মাধ্যমে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পরের আফগানিস্তানকে যখন পুরো বিশ্ব দূর থেকে দেখছিল, তখন কাবুলের এই দুই বোন নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা আফগানিস্তানের সেই সব নারীর মধ্যে ছিলেন, যাঁরা সরাসরি অনুভব করতে পেরেছিলেন যে নতুন শাসক তাঁদের ওপর অন্যায় করতে চলেছে। লেখাপড়া, সামাজিক যোগাযোগ, গণমাধ্যম, ব্যবসা—সবখান থেকে নারীদের অধিকার যখন কেড়ে নিচ্ছিল তালেবানেরা, তখন এই দুই বোন তাঁদের কণ্ঠকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। যেখানে মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, সেখানে ‘লাস্ট টর্চ’ নামে পরিচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গান গেয়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
নীল রঙের বোরকা পরা এই দুই বোনই শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান গেয়েছেন, এমনও নয়। এমন আরও অনেক আফগান নারীশিল্পী আছেন, যাঁরা প্রতিবন্ধকতা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফরিদা মাহওয়াশ। ফরিদাই এখন পর্যন্ত একমাত্র আফগান গায়িকা, যিনি ১৯৭৭ সালে ‘ওস্তাদ’ উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি সত্তরের দশক থেকে নারী সংগীতশিল্পীদের জন্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কথা বলছেন। এই প্রতিবাদে শামিল সোনিতা আলিজাদাও। সোনিতা আফগানিস্তানের একজন নারী র্যাপার, যিনি জোর করে নারীদের বিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
এই আফগান নারীরা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিভিন্ন মঞ্চ ব্যবহার করছেন।
২০১৭ সালে ভারতে মুক্তি পেয়েছিল ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ নামের একটি চলচ্চিত্র। গানপাগল ১৫ বছরের কিশোরী ইনসিয়া মালিকের স্বপ্ন ছিল সংগীতশিল্পী হওয়ার। মায়ের সমর্থন পেলেও এ বিষয়ে বাবা ছিল বিমুখ। এ বিশাল যাত্রায় বহু ঘটনার পর মইনসিয়া জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পর্দার ইনসিয়ার মতো আফগানিস্তানের দুই বোনও সোচ্চার হয়েছিলেন নিজেদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ইনসিয়া চরিত্রটির মতো এই দুই নিকাবধারী বোন ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তাঁদের গানের ভিডিও প্রকাশ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। নিকাব পরে কিংবা চেহারা আড়াল করে জনপ্রিয়তা পাওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু তাঁদের কথা আলাদা করে বলার কারণ, আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে যে বছর থেকে তালেবান শাসকেরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করে, এই দুই বোন সে বছরের আগস্টেই ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হন গানের মাধ্যমে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পরের আফগানিস্তানকে যখন পুরো বিশ্ব দূর থেকে দেখছিল, তখন কাবুলের এই দুই বোন নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা আফগানিস্তানের সেই সব নারীর মধ্যে ছিলেন, যাঁরা সরাসরি অনুভব করতে পেরেছিলেন যে নতুন শাসক তাঁদের ওপর অন্যায় করতে চলেছে। লেখাপড়া, সামাজিক যোগাযোগ, গণমাধ্যম, ব্যবসা—সবখান থেকে নারীদের অধিকার যখন কেড়ে নিচ্ছিল তালেবানেরা, তখন এই দুই বোন তাঁদের কণ্ঠকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। যেখানে মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, সেখানে ‘লাস্ট টর্চ’ নামে পরিচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গান গেয়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
নীল রঙের বোরকা পরা এই দুই বোনই শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান গেয়েছেন, এমনও নয়। এমন আরও অনেক আফগান নারীশিল্পী আছেন, যাঁরা প্রতিবন্ধকতা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফরিদা মাহওয়াশ। ফরিদাই এখন পর্যন্ত একমাত্র আফগান গায়িকা, যিনি ১৯৭৭ সালে ‘ওস্তাদ’ উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি সত্তরের দশক থেকে নারী সংগীতশিল্পীদের জন্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কথা বলছেন। এই প্রতিবাদে শামিল সোনিতা আলিজাদাও। সোনিতা আফগানিস্তানের একজন নারী র্যাপার, যিনি জোর করে নারীদের বিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
এই আফগান নারীরা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিভিন্ন মঞ্চ ব্যবহার করছেন।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
২ দিন আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
২ দিন আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৭ দিন আগে