মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
কয়েক বস্তা গ্লাডিওলাস ফুলের বীজ আর সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণের বোঝা রেখে বিয়ের পনেরো বছরের মাথায় শাহানারার স্বামী মারা যান। সেই থেকে ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া শাহানারার। সেই ফুলই তাঁকে করে তুলেছে স্বাবলম্বী। করে তুলেছে পরিবারের কর্ত্রী। হয়ে উঠেছেন এলাকার নারীদের অনুপ্রেরণার নাম।
এ পথচলা খুব সহজ ছিল না। শুধু শূন্য নয়, একেবারে মাইনাস থেকে তাঁকে শুরু করতে হয়েছিল সংসার। শাহানারা বেগম ১৯৮২ সালে বিয়ে করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলম টিটোকে। তাঁর বাবার বাড়িও একই গ্রামে। স্বামী টিটো পেশায় ছিলেন সবজি বিক্রেতা। স্বামীর ক্ষুদ্র ব্যবসার আয়ে সুখ-দুঃখে কেটে যায় অনেকটা সময়। জন্ম নেয় তিন সন্তান।
১৯৯৭ সাল। ছোট মেয়ের বয়স তখন মাত্র ৯ মাস। ক্যানসারে আক্রান্ত স্বামী শাহ আলম টিটো ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শাহানারার কাঁধে দিয়ে যান সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণের বোঝা আর কয়েক বস্তা গ্লাডিওলাস ফুলের বীজ!
শাহানারার জীবনে নেমে আসে এক অপ্রত্যাশিত অধ্যায়। নিরুপায় হয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে তাঁর বৃদ্ধ শাশুড়ি গ্রামে ভিক্ষা করতে শুরু করেন। শাহানারা স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পরে শুরু করেন জীবনের নতুন সংগ্রাম। গ্রামের একজনের কাছ থেকে এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ফুল চাষ শুরু করেন। আর এই ফুল চাষের মাধ্যমে তিনি খুঁজে পান দরিদ্র সংসারে ফুলের সুবাস। পেছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। বর্তমানে শাহানারা প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেন। এর মধ্যে তিনি নিজেই এখন ক্রয়সূত্রে ৬ বিঘা জমির মালিক। স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী বসতভিটা রেখে রাস্তার পাশে ১৫ শতাংশ জমি কিনে বানিয়েছেন পাকা বাড়ি।
শাহানারা নিজেই ফুল কেটে, বেঁধে, প্যাকিং করে বাজারে বিক্রি করেন। ফুল বিক্রির জন্য পাঠান ঢাকা, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য জায়গায়। ছেলে শাহ জামালকে কিনে দিয়েছেন মোটরসাইকেল। শাহানারা ফুল চাষের পাশাপাশি ধান-পাট চাষও করেন।
এতে বছরান্তে জমা থাকে প্রায় তিনলাখ টাকা।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের আবদুর রহিম বলেন, জীবনসংগ্রামে জয়ী শাহানারা খাতুনের জীবনের লড়াইটা গল্পের মতো। ফুল চাষ করে ফুলের মতো আজ তাঁর সংসার।
ঝিকরগাছা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক বলেন, ‘জীবনসংগ্রামে জয়ী শাহানারা খাতুন একটি উদাহরণ। তাঁকে আমরা শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করেছিলাম।’
কয়েক বস্তা গ্লাডিওলাস ফুলের বীজ আর সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণের বোঝা রেখে বিয়ের পনেরো বছরের মাথায় শাহানারার স্বামী মারা যান। সেই থেকে ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া শাহানারার। সেই ফুলই তাঁকে করে তুলেছে স্বাবলম্বী। করে তুলেছে পরিবারের কর্ত্রী। হয়ে উঠেছেন এলাকার নারীদের অনুপ্রেরণার নাম।
এ পথচলা খুব সহজ ছিল না। শুধু শূন্য নয়, একেবারে মাইনাস থেকে তাঁকে শুরু করতে হয়েছিল সংসার। শাহানারা বেগম ১৯৮২ সালে বিয়ে করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলম টিটোকে। তাঁর বাবার বাড়িও একই গ্রামে। স্বামী টিটো পেশায় ছিলেন সবজি বিক্রেতা। স্বামীর ক্ষুদ্র ব্যবসার আয়ে সুখ-দুঃখে কেটে যায় অনেকটা সময়। জন্ম নেয় তিন সন্তান।
১৯৯৭ সাল। ছোট মেয়ের বয়স তখন মাত্র ৯ মাস। ক্যানসারে আক্রান্ত স্বামী শাহ আলম টিটো ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শাহানারার কাঁধে দিয়ে যান সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণের বোঝা আর কয়েক বস্তা গ্লাডিওলাস ফুলের বীজ!
শাহানারার জীবনে নেমে আসে এক অপ্রত্যাশিত অধ্যায়। নিরুপায় হয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে তাঁর বৃদ্ধ শাশুড়ি গ্রামে ভিক্ষা করতে শুরু করেন। শাহানারা স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পরে শুরু করেন জীবনের নতুন সংগ্রাম। গ্রামের একজনের কাছ থেকে এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ফুল চাষ শুরু করেন। আর এই ফুল চাষের মাধ্যমে তিনি খুঁজে পান দরিদ্র সংসারে ফুলের সুবাস। পেছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। বর্তমানে শাহানারা প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেন। এর মধ্যে তিনি নিজেই এখন ক্রয়সূত্রে ৬ বিঘা জমির মালিক। স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী বসতভিটা রেখে রাস্তার পাশে ১৫ শতাংশ জমি কিনে বানিয়েছেন পাকা বাড়ি।
শাহানারা নিজেই ফুল কেটে, বেঁধে, প্যাকিং করে বাজারে বিক্রি করেন। ফুল বিক্রির জন্য পাঠান ঢাকা, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য জায়গায়। ছেলে শাহ জামালকে কিনে দিয়েছেন মোটরসাইকেল। শাহানারা ফুল চাষের পাশাপাশি ধান-পাট চাষও করেন।
এতে বছরান্তে জমা থাকে প্রায় তিনলাখ টাকা।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের আবদুর রহিম বলেন, জীবনসংগ্রামে জয়ী শাহানারা খাতুনের জীবনের লড়াইটা গল্পের মতো। ফুল চাষ করে ফুলের মতো আজ তাঁর সংসার।
ঝিকরগাছা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক বলেন, ‘জীবনসংগ্রামে জয়ী শাহানারা খাতুন একটি উদাহরণ। তাঁকে আমরা শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করেছিলাম।’
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
২ দিন আগেশিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।
৩ দিন আগে‘বাংলাদেশের মেয়েরা সুযোগ পেলে সকলেই হিমালয় জয় করতে পারে।’ নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন পাঁচ নারী পর্বতারোহী। ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত: তরুণীর অগ্রযাত্রা’ বিষয়ে এক আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তাঁরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তাঁরা
৩ দিন আগেআমার লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কিংবা স্বতঃস্ফূর্ততাকে প্রাধান্য দিই। শব্দ আমার কাছে স্রোতস্বিনী নদীর মতো। আমি অনেকের লেখা পড়ি। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন ভাইয়ের থ্রিলার ভাবনার আড্ডাগুলো থ্রিলার লেখার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি তাঁর লেখার ভক্ত।
১০ দিন আগে