জীবনধারা ডেস্ক
সময়ের নিয়মে বিদায় ঘণ্টা বাজতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেব কষতে কষতে আমরা পা রাখতে যাচ্ছি নতুন বছরে। অনেক সাফল্য ও অর্জনের পাশাপাশি এ বছর আমাদের রয়ে গেছে কিছু হারানোর ক্ষত। চিরবিদায় জানাতে হয়েছে অসংখ্য গুণী ব্যক্তিত্বকে।
নাদিরা বেগম
ভাওয়াইয়া গানের কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা নাদিরা বেগম ৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। নাদিরা বেগম ভাওয়াইয়া বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া পরিষদের উপদেষ্টা, ভাওয়াইয়া একাডেমির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভাওয়াইয়া সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জয়পুরহাটে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হয়।
জিনাত বরকতুল্লাহ
২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মারা যান একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। শুধু নৃত্য চর্চায় নয়, অভিনয়েও সাবলীল ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছিলেন জিনাত বরকতুল্লাহ।
পান্না কায়সার
চলতি বছরের ৪ আগস্ট মারা যান লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। লেখালেখির জগতে পান্না কায়সারের প্রবেশ ১৯৯১ সালে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’। তাঁর অন্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘মুক্তি’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে একাত্তর’, ‘আমি ও আমার মুক্তিযুদ্ধ’, ‘মুক্তিযুদ্ধ-সমগ্র’, ‘একাত্তরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের কথকতা’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ প্রভৃতি।
মিতা চৌধুরী
সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় নাট্যশিল্পী মিতা চৌধুরী। শুধু টিভি নাটকই নয়, মঞ্চে ‘সূচনা’ ও ‘গুড নাইট মা’ এর মতো প্রযোজনায় অবদান ছিল তাঁর। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী ‘গুড নাইট মা’ নাটকের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। মঞ্চনাটকে সূক্ষ্ম অভিনয় বা টিভি পর্দায় জাঁদরেল অভিনেত্রী সবকিছুতেই স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে যেতেন তিনি। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২৯ জুন মৃত্যু হয় তাঁর।
বুলবুল মহলানবীশ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ এ বছরের ১৪ জুলাই মারা যান। ১৭ জুলাই রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হয় তাঁকে।
সুফিয়া খাতুন
বিদুষী লেখক, শিক্ষক ও সমাজসেবক সুফিয়া খাতুন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মারা যান। তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে’ বইয়ের লেখক। সুফিয়া খাতুন ছিলেন একজন সফল স্কুলশিক্ষক। ’৫০ এর দশক থেকে শুরু করে ২৩ বছর তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট মডার্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। সমাজসেবাধর্মী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন সুফিয়া খাতুন।
সময়ের নিয়মে বিদায় ঘণ্টা বাজতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেব কষতে কষতে আমরা পা রাখতে যাচ্ছি নতুন বছরে। অনেক সাফল্য ও অর্জনের পাশাপাশি এ বছর আমাদের রয়ে গেছে কিছু হারানোর ক্ষত। চিরবিদায় জানাতে হয়েছে অসংখ্য গুণী ব্যক্তিত্বকে।
নাদিরা বেগম
ভাওয়াইয়া গানের কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা নাদিরা বেগম ৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। নাদিরা বেগম ভাওয়াইয়া বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া পরিষদের উপদেষ্টা, ভাওয়াইয়া একাডেমির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভাওয়াইয়া সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জয়পুরহাটে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হয়।
জিনাত বরকতুল্লাহ
২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মারা যান একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। শুধু নৃত্য চর্চায় নয়, অভিনয়েও সাবলীল ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছিলেন জিনাত বরকতুল্লাহ।
পান্না কায়সার
চলতি বছরের ৪ আগস্ট মারা যান লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। লেখালেখির জগতে পান্না কায়সারের প্রবেশ ১৯৯১ সালে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’। তাঁর অন্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘মুক্তি’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে একাত্তর’, ‘আমি ও আমার মুক্তিযুদ্ধ’, ‘মুক্তিযুদ্ধ-সমগ্র’, ‘একাত্তরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের কথকতা’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ প্রভৃতি।
মিতা চৌধুরী
সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় নাট্যশিল্পী মিতা চৌধুরী। শুধু টিভি নাটকই নয়, মঞ্চে ‘সূচনা’ ও ‘গুড নাইট মা’ এর মতো প্রযোজনায় অবদান ছিল তাঁর। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী ‘গুড নাইট মা’ নাটকের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। মঞ্চনাটকে সূক্ষ্ম অভিনয় বা টিভি পর্দায় জাঁদরেল অভিনেত্রী সবকিছুতেই স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে যেতেন তিনি। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২৯ জুন মৃত্যু হয় তাঁর।
বুলবুল মহলানবীশ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ এ বছরের ১৪ জুলাই মারা যান। ১৭ জুলাই রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হয় তাঁকে।
সুফিয়া খাতুন
বিদুষী লেখক, শিক্ষক ও সমাজসেবক সুফিয়া খাতুন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মারা যান। তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে’ বইয়ের লেখক। সুফিয়া খাতুন ছিলেন একজন সফল স্কুলশিক্ষক। ’৫০ এর দশক থেকে শুরু করে ২৩ বছর তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট মডার্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। সমাজসেবাধর্মী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন সুফিয়া খাতুন।
পঞ্চাশের পর নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া বেশির ভাগ নারীর সাধারণ প্রবণতা। খুব কম সংখ্যার নারী নিজেদের বিকশিত রাখতে পছন্দ করেন। তবে বয়সের কারণে গুটিয়ে না গিয়ে নিজেদের বিকশিত করার এই প্রবণতা এখন কিছুটা বেড়েছে বলা চলে। বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘মিডলাইফ গ্লো আপ’। বাংলায় একে বলা যায় ‘মাঝবয়সের নয়া দীপ্তি’।
২ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ, মতপ্রকাশ, ব্যবসা, এমনকি সচেতনতা তৈরির কাজেও এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির আলোর নিচে গাঢ় হয়ে উঠেছে এক নতুন অন্ধকার, যাকে বলা হয় সাইবার হয়রানি।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর চারদিক আগুন ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সে সময় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন শিক্ষিকা মাসুকা বেগম।
৪ দিন আগেকালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে কুটিরশিল্পের অন্যতম বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। একসময় বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সংসারের কাজের অন্যতম মাধ্যম হলেও আজ তা প্লাস্টিক জিনিসপত্রের ভিড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবু এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে, আর পূর্বপুরুষের পেশা টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন মাদারীপুরের রাজৈর
৪ দিন আগে