Ajker Patrika

খরগোশকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নারী

খরগোশকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নারী

রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে গত কিছুদিনে নানা প্রজাতির প্রচুর সাপ মারা পড়েছে আমাদের দেশে। তেমনি বিভিন্ন সময় বন্যপ্রাণী পিটিয়ে মারার ও কুকুর-বিড়ালের প্রতি নির্দয় আচরণের খবর পাওয়া যায়। সেখানে আপনি যদি শোনেন এক নারী ছোট্ট একটি খরগোশকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তবে নিশ্চয় অবাক হবেন।

ঘটনাটি অবশ্য বাংলাদেশের নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের। সেখানে ৪ জুলাই চলছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন। রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্স শহরে এমিলি সুইফট নামের নিউইয়র্কের এক নারী গিয়েছিলেন ৪ জুলাইয়ের ওয়াটার ফায়ার বা পানিতে আলোকসজ্জা দেখতে। এ সময়ই তিনি দেখেন, নদীর পানিতে একটি খরগোশকে হাবুডুবু খেতে দেখে ওটাকে বাঁচাতে  এক নারী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। দেরি না করে ওই দৃশ্যের ভিডিও করেন এমিলি।

পরে এই ভিডিওটি টিকটকে পোস্ট করেন এমিলি। এতে দেখা যায় নদীর পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টারত এক খরগোশকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কাটছেন ওই নারীটি।

এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে।

ওই নারীকে অবশ্য শনাক্ত করা যায়নি। তাঁকেসহ খরগোশটিতে পরে উদ্ধার করে ওয়াটার ফায়ার বা নদীতে আলোকসজ্জায় ব্যবহার করা নৌকাটি। ওটা চালাচ্ছিলেন ২৬ বছর বয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী ক্রিস্টিন মেইনো।

 ‘আমরা একটি টিউব ছুড়ে ফেলি। আমাদের সঙ্গে একটা মই ছিল। সেটি নৌকার পাশে ফেলে দিই। এতে তাঁকে ওপরে তুলতে সুবিধা হয়...তিনি খরগোশটিকে হাতছাড়া করেননি তখনো। প্রাণীটি সঙ্গে আছে কিনা এ বিষয়ে তাঁর ছিল কড়া নজর।’ মেইনো বলেন প্রভিডেন্সের ডব্লিউজেএআর-টিভিকে। 

ঘটনাটি যারা দেখেন তাঁরা প্রশংসা করেন সাহসী ও প্রাণীপ্রেমী নারীটির।

ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিউয়েল রবার্টস বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা সবাইই প্রাণীপ্রেমী। তবে হয়তো একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এদের জন্য যেতে পারতাম। তিনি এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে যে এগিয়ে আছেন তাতে সন্দেহ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত