ইশতিয়াক হাসান
দুই নদীর মিলন খুব সাধারণ ঘটনা। তবে কখনো কখনো এই সাধারণ বিষয়টি হয়ে ওঠে অসাধারণ। যেমনটি হয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের দুই নদী রোন আর আর্ভি মিলিত হওয়ার ফলে। দুটি নদীর রঙের পার্থক্য এতটাই বেশি যে অদ্ভুত সুন্দর এক দৃশ্যের জন্ম হয়েছে। মিলনস্থলে নীল আর বাদামি রং দুটি আলাদাভাবে অবস্থান করায় কোনটা কোন নদী বোঝা যায় সহজেই।
মিলনস্থলে পুরোপুরি না মেশার কারণ এদের জলের ঘনত্ব এক না হওয়া। নদী দুটি একত্র হয়েছে বিখ্যাত সুইস শহর জেনেভায়। উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত রোন নদী জেনেভা হ্রদের মধ্য দিয়ে গেছে। এদিকে আর্ভি ফ্রেঞ্চ আল্পস থেকে উৎপত্তি হয়ে, অর্থাৎ দক্ষিণ থেকে আসে। জেনেভা সিটি সেন্টারের দক্ষিণে মিলিত হয় তাঁরা। তারপর রোন নাম নিয়ে পশ্চিমে ফ্রান্সের দিকে যেতে শুরু করে। এভাবে পাশাপাশি দুটি রঙের উপস্থিতির কারণে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের খুব পছন্দের এক জায়গা নদী দুটির মিলস্থল।
তবে দুই নদী মিলিত হওয়ার জায়গায় সব সময় যে ঠিক একই রং দেখতে পাবেন তা নয়। সাধারণত নীল আর বাদামি বেশি দেখা গেলেও সময়ভেদে এতে পার্থক্য থাকে। বিষয়টি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, বরফ গলা এবং পানিতে পলির উপস্থিতির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। সাধারণত রোনের রং নীল বা নীলচে সবুজ, অন্যদিকে আর্ভির রং বাদামি। প্রবল বৃষ্টি ও বরফ যখন গলতে শুরু করে তখন পলি বেশি থাকায় দুটির রঙেই বাদামির ভাব বেশি থাকে। এদিকে খরার সময় পলি কম থাকায় দুটির রঙেই নীলের ভাব থাকে বেশি।
এবার বরং নদী দুটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। রোন গভীর, শক্তিশালী এক নদী, স্রোতও বেশি। অন্যদিকে আর্ভি তুলনামূলক ছোট নদী।
ইউরোপের বড় নদীগুলোর একটি রোন। সুইজারল্যান্ডে উৎপত্তি হওয়ার পর ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষমেশ ভূমধ্যসাগরে পড়েছে। প্রায় ৮১২ কিলোমিটার এর দৈর্ঘ্য। রোন হিমবাহের ধারে সুইস আল্পস থেকে নদীটির সূচনা। ফ্রান্সের লিও, এভিগননসহ বড় কয়েকটি শহরের ভেতর দিয়ে গেছে নদীটি। নদীটি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করে আসছে সব সময়। কারণ দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি শহর, আঙুরের বাগান এবং ঐতিহাসিক কিছু জায়গার ভেতর দিয়ে চলে গেছে এটি।
আর্ভির উৎপত্তি ফ্রেঞ্চ আল্পসের চ্যামোনিক্স উপত্যকায়। চ্যামোনিক্স, সালানচেস, বোনেভিলের মতো কিছু গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ১০৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রমের পর মেশে রোনে। তারপর থেকে এটি রোন নামে পরিচিত হলেও মিলনস্থলে ঠিকই ধরে রাখে নিজের স্বকীয়তা। নদীটি বিখ্যাত তার বয়ে আনা বিপুল পলির জন্য। এর কারণ একে ঘিরে রাখা পর্বতগুলো। প্রবল বৃষ্টি ও বরফ গলার কারণে কখনো কখনো নদীটি বন্যাপ্রবণ। রাফটিং, কায়াকিং ও মাছ শিকারের জন্য নদীটি বিখ্যাত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রোন ও আর্ভির মিলনস্থলের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। হাজার হাজার বছর ধরে এখানে মানুষের বাস। বিভিন্ন সভ্যতার প্রভাব আছে জায়গাটির ওপর। উদাহরণ হিসেবে রোমানরা একটি সেতু তৈরি করে রোনের ওপর, মিলনস্থলের কাছেই। এই রাস্তা ইতালি ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাভাবিকভাবেই রোন ও আর্ভির মিলনস্থল পর্যটক ও স্থানীয়দের খুব পছন্দের এক জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতেই বলুন আর সমৃদ্ধ ইতিহাসের খোঁজে কিংবা আশপাশের পার্কে পিকনিক করতে যান—দুই নদীর মিলনস্থল আপনার জন্য আদর্শ এক জায়গা। কাজেই ইউরোপ ভ্রমণে জায়গাটিকে ‘অবশ্যই আসতে হবে’ এমন গন্তব্যের লিস্টে ওপরের দিকে রাখবেন আশা করি।
সূত্র: আনইউজুয়াল প্লেসেস, দ্য জার্কার ডট কম
দুই নদীর মিলন খুব সাধারণ ঘটনা। তবে কখনো কখনো এই সাধারণ বিষয়টি হয়ে ওঠে অসাধারণ। যেমনটি হয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের দুই নদী রোন আর আর্ভি মিলিত হওয়ার ফলে। দুটি নদীর রঙের পার্থক্য এতটাই বেশি যে অদ্ভুত সুন্দর এক দৃশ্যের জন্ম হয়েছে। মিলনস্থলে নীল আর বাদামি রং দুটি আলাদাভাবে অবস্থান করায় কোনটা কোন নদী বোঝা যায় সহজেই।
মিলনস্থলে পুরোপুরি না মেশার কারণ এদের জলের ঘনত্ব এক না হওয়া। নদী দুটি একত্র হয়েছে বিখ্যাত সুইস শহর জেনেভায়। উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত রোন নদী জেনেভা হ্রদের মধ্য দিয়ে গেছে। এদিকে আর্ভি ফ্রেঞ্চ আল্পস থেকে উৎপত্তি হয়ে, অর্থাৎ দক্ষিণ থেকে আসে। জেনেভা সিটি সেন্টারের দক্ষিণে মিলিত হয় তাঁরা। তারপর রোন নাম নিয়ে পশ্চিমে ফ্রান্সের দিকে যেতে শুরু করে। এভাবে পাশাপাশি দুটি রঙের উপস্থিতির কারণে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের খুব পছন্দের এক জায়গা নদী দুটির মিলস্থল।
তবে দুই নদী মিলিত হওয়ার জায়গায় সব সময় যে ঠিক একই রং দেখতে পাবেন তা নয়। সাধারণত নীল আর বাদামি বেশি দেখা গেলেও সময়ভেদে এতে পার্থক্য থাকে। বিষয়টি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, বরফ গলা এবং পানিতে পলির উপস্থিতির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। সাধারণত রোনের রং নীল বা নীলচে সবুজ, অন্যদিকে আর্ভির রং বাদামি। প্রবল বৃষ্টি ও বরফ যখন গলতে শুরু করে তখন পলি বেশি থাকায় দুটির রঙেই বাদামির ভাব বেশি থাকে। এদিকে খরার সময় পলি কম থাকায় দুটির রঙেই নীলের ভাব থাকে বেশি।
এবার বরং নদী দুটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। রোন গভীর, শক্তিশালী এক নদী, স্রোতও বেশি। অন্যদিকে আর্ভি তুলনামূলক ছোট নদী।
ইউরোপের বড় নদীগুলোর একটি রোন। সুইজারল্যান্ডে উৎপত্তি হওয়ার পর ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষমেশ ভূমধ্যসাগরে পড়েছে। প্রায় ৮১২ কিলোমিটার এর দৈর্ঘ্য। রোন হিমবাহের ধারে সুইস আল্পস থেকে নদীটির সূচনা। ফ্রান্সের লিও, এভিগননসহ বড় কয়েকটি শহরের ভেতর দিয়ে গেছে নদীটি। নদীটি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করে আসছে সব সময়। কারণ দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি শহর, আঙুরের বাগান এবং ঐতিহাসিক কিছু জায়গার ভেতর দিয়ে চলে গেছে এটি।
আর্ভির উৎপত্তি ফ্রেঞ্চ আল্পসের চ্যামোনিক্স উপত্যকায়। চ্যামোনিক্স, সালানচেস, বোনেভিলের মতো কিছু গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ১০৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রমের পর মেশে রোনে। তারপর থেকে এটি রোন নামে পরিচিত হলেও মিলনস্থলে ঠিকই ধরে রাখে নিজের স্বকীয়তা। নদীটি বিখ্যাত তার বয়ে আনা বিপুল পলির জন্য। এর কারণ একে ঘিরে রাখা পর্বতগুলো। প্রবল বৃষ্টি ও বরফ গলার কারণে কখনো কখনো নদীটি বন্যাপ্রবণ। রাফটিং, কায়াকিং ও মাছ শিকারের জন্য নদীটি বিখ্যাত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রোন ও আর্ভির মিলনস্থলের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। হাজার হাজার বছর ধরে এখানে মানুষের বাস। বিভিন্ন সভ্যতার প্রভাব আছে জায়গাটির ওপর। উদাহরণ হিসেবে রোমানরা একটি সেতু তৈরি করে রোনের ওপর, মিলনস্থলের কাছেই। এই রাস্তা ইতালি ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাভাবিকভাবেই রোন ও আর্ভির মিলনস্থল পর্যটক ও স্থানীয়দের খুব পছন্দের এক জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতেই বলুন আর সমৃদ্ধ ইতিহাসের খোঁজে কিংবা আশপাশের পার্কে পিকনিক করতে যান—দুই নদীর মিলনস্থল আপনার জন্য আদর্শ এক জায়গা। কাজেই ইউরোপ ভ্রমণে জায়গাটিকে ‘অবশ্যই আসতে হবে’ এমন গন্তব্যের লিস্টে ওপরের দিকে রাখবেন আশা করি।
সূত্র: আনইউজুয়াল প্লেসেস, দ্য জার্কার ডট কম
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
৬ দিন আগেরাজনীতি তো বটেই, একের পর এক উদ্ভট কথা আর কাণ্ডের জন্যও আলোচনায় থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে শতাধিক দেশের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এরপর থেকেই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুরুগম্ভীর আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে চলছে
১৬ দিন আগেচলচ্চিত্রের প্রতি উন্মাদনা যুগ যুগ ধরে। প্রিয় নায়কের, পছন্দের চলচ্চিত্রের পোস্টার ও কার্ড সংগ্রহে রাখার বাতিক অনেকেরই। এমনই একজন সংগ্রাহক যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ডুইট ক্লিভল্যান্ড। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জমিয়েছেন চলচ্চিত্রের পোস্টার ও লবি কার্ড। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সংগ্র
১৬ মার্চ ২০২৫