রজত কান্তি রায়
‘কোনো মেয়েকে ভালোবাসলে তার কাছে গিয়ে বলে ফেল। তুমি অ্যাম্বুলেন্স নও যে তার পোস্ট করা ছবি দেখে ওয়াও ওয়াও ওয়াও করার জন্য অপেক্ষা করবে।’ বলেছিলেন রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে, যাকে পৃথিবী চেনে রবার্ট মুগাবে নামে। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে (২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪—৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯) সেসব বিরল রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যতম, যাঁরা রসিকতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। প্রথম জীবনে অ্যানালগ থাকলেও পরবর্তী জীবনে তিনি রসিকতা করেই বেশ খানিকটা ভাইরাল হয়েছিলেন। কাউকে নিয়েই রসিকতা করতে ছাড়েননি মুগাবে। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাঁর রসিকতা থেকে রেহাই পাননি। রসিকতা করেও কোনো প্রেসিডেন্ট যে ভাইরাল হতে পারেন, মুগাবে তার উদাহরণ।
প্রেম, ভালোবাসা, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক নেতা, অর্থনীতি, যুদ্ধ, ক্রিকেট—কোনো বিষয় নিয়েই তিনি রসিকতা করতে ছাড়েননি। জিম্বাবুয়ে ছিল ব্রিটিশ কলোনি। ব্রিটেন সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি হলো—‘ব্রিটেন ছোট ছোট বাড়িওয়ালা একটা খুব ঠান্ডা বিরান দেশ।’ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে মুগাবে বলেছিলেন, ‘আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি মি. ট্রাম্পকে বলতে পারি, দয়া করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান।’ এ পর্যন্ত শুনলে যে কেউ বলতেই পারেন, ট্রাম্প সম্পর্কে মজার কথাই তিনি বলেছেন। কিন্তু হোঁচট খেতে হবে এ কথার পরের কথাগুলো শুনলে। কারণ ট্রাম্পের কার্যকালে তাঁর কার্যকলাপ বিষয়ে বিশ্ববাসী একটা ধারণা পেয়েছে। মুগাবের পুরো বক্তব্যটি এ রকম—‘আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি মি. ট্রাম্পকে বলতে পারি, দয়া করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান। ঐক্য, শান্তি, সহযোগিতা, একাত্মতা, সংলাপের মূল্যবোধগুলোর জন্য সুরেলা করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান, যার পক্ষে আমরা দাঁড়িয়েছি সব সময়।’
মুগাবে ছিলেন ব্রিটিশ কলোনির মানুষ। নিজের জন্মভূমির মানুষদের প্রতি ব্রিটিশদের মনোভাব তিনি দেখেছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়েছেনও বিভিন্নভাবে। প্রায় ৯৫ বছরের দীর্ঘ জীবনে বিভিন্ন ঘটনা তাঁকে একজন প্রাজ্ঞ মানুষে পরিণত করেছিল। সে জন্যই হয়তো আফ্রিকার বাইরের পৃথিবীকে নিয়ে তিনি রসিকতাই করে গেছেন চিরকাল। হিউমার আর উইটের মধ্যে যে সূক্ষ্মতম পার্থক্য—মুগাবের মধ্যে সেটা ছিল। তাঁর এমন বহু রসিকতার সন্ধান পাওয়া যাবে অন্তর্জালের দুনিয়ায়। একটু খুঁজে নিয়ে সঠিক পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিতে পারলেই আপনি হিট।
‘ “লো ব্যাটারি”—এই একটা সতর্কতাই সিরিয়াসলি নেয় আফ্রিকানরা।’ নিজ অঞ্চল নিয়ে এ উক্তি সম্ভবত মুগাবের সেরা উক্তি নয়। যেমন পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে করা রসিকতাগুলোও তাঁর সেরা নয়। হাজার উক্তির মধ্যে কোনটা সেরা, সেটা বলা না গেলেও বলা যায়, নারী–পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে করা রসিকতাগুলোই তাঁকে জনপ্রিয় করেছে সাধারণ মানুষের কাছে। ‘কোনো আফ্রিকান মেয়ে ছয়টি গাড়ি ছাড়া সিক্সপ্যাক পছন্দ করবে না। কাজেই জিমে না গিয়ে কাজে যাও।’ আর একটা বলা যাক। মুগাবে নারীদের বলছেন, ‘তোমার প্রিয় মানুষটি যদি চিট করে, চিন্তা করো না। তাকে ঘুমাতে দাও, আর তুমি পানি গরম করতে থাক। পানি গরম হতে থাক। যখন তুমি দেখবে লোকটি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে, সেই গরম পানি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খাও। চা স্ট্রেস দূর করে।’
প্রথাবদ্ধ আফ্রিকান জীবন যখন ব্রিটিশ প্রভাবে আলোকিত হতে থাকল বিভিন্নভাবে, তখন তার সমাজ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলতে শুরু করল নিজস্বতা। বর্তমান আফ্রিকা অঞ্চলের ভাষা, খাদ্য, পোশাক আর জীবনযাপনের দিকে তাকালে সেটা খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলো তাদের বহুকালের চর্চিত যাপন প্রক্রিয়া হারিয়ে কালোনির ভূত কাঁধে নিয়ে হয়ে উঠতে চাইল আধুনিক। তার আছর পড়ল মানুষের জীবনে। ফলে মানুষে মানুষে অবিশ্বাস বাড়ল। মুগাবে কি সেসব লক্ষ্য করেননি? করেছেন বলেই তিনি বলেছেন, ‘নিজের ছাগল হারালে প্রতিবেশীর মাংসের ঝোলের গন্ধ বেশিই নাকে লাগে।’ আমাদের দেশের অবস্থা কী এ বিষয়ে? সে নিশ্চয়ই অনেক গবেষণার বিষয়। চাইলে কেউ গবেষণা করতে পারেন। আমরা অপেক্ষা করব তার ফলাফলের জন্য।
শেষ করার আগে বলি, রবার্ট মুগাবে বলেছেন—‘সিগারেটের এক প্রান্তে থাকে আগুন, অন্য প্রান্তে গাধা।’
‘কোনো মেয়েকে ভালোবাসলে তার কাছে গিয়ে বলে ফেল। তুমি অ্যাম্বুলেন্স নও যে তার পোস্ট করা ছবি দেখে ওয়াও ওয়াও ওয়াও করার জন্য অপেক্ষা করবে।’ বলেছিলেন রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে, যাকে পৃথিবী চেনে রবার্ট মুগাবে নামে। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে (২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪—৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯) সেসব বিরল রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যতম, যাঁরা রসিকতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। প্রথম জীবনে অ্যানালগ থাকলেও পরবর্তী জীবনে তিনি রসিকতা করেই বেশ খানিকটা ভাইরাল হয়েছিলেন। কাউকে নিয়েই রসিকতা করতে ছাড়েননি মুগাবে। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাঁর রসিকতা থেকে রেহাই পাননি। রসিকতা করেও কোনো প্রেসিডেন্ট যে ভাইরাল হতে পারেন, মুগাবে তার উদাহরণ।
প্রেম, ভালোবাসা, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক নেতা, অর্থনীতি, যুদ্ধ, ক্রিকেট—কোনো বিষয় নিয়েই তিনি রসিকতা করতে ছাড়েননি। জিম্বাবুয়ে ছিল ব্রিটিশ কলোনি। ব্রিটেন সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি হলো—‘ব্রিটেন ছোট ছোট বাড়িওয়ালা একটা খুব ঠান্ডা বিরান দেশ।’ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে মুগাবে বলেছিলেন, ‘আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি মি. ট্রাম্পকে বলতে পারি, দয়া করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান।’ এ পর্যন্ত শুনলে যে কেউ বলতেই পারেন, ট্রাম্প সম্পর্কে মজার কথাই তিনি বলেছেন। কিন্তু হোঁচট খেতে হবে এ কথার পরের কথাগুলো শুনলে। কারণ ট্রাম্পের কার্যকালে তাঁর কার্যকলাপ বিষয়ে বিশ্ববাসী একটা ধারণা পেয়েছে। মুগাবের পুরো বক্তব্যটি এ রকম—‘আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি মি. ট্রাম্পকে বলতে পারি, দয়া করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান। ঐক্য, শান্তি, সহযোগিতা, একাত্মতা, সংলাপের মূল্যবোধগুলোর জন্য সুরেলা করে আপনার ট্রাম্পেট বাজান, যার পক্ষে আমরা দাঁড়িয়েছি সব সময়।’
মুগাবে ছিলেন ব্রিটিশ কলোনির মানুষ। নিজের জন্মভূমির মানুষদের প্রতি ব্রিটিশদের মনোভাব তিনি দেখেছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়েছেনও বিভিন্নভাবে। প্রায় ৯৫ বছরের দীর্ঘ জীবনে বিভিন্ন ঘটনা তাঁকে একজন প্রাজ্ঞ মানুষে পরিণত করেছিল। সে জন্যই হয়তো আফ্রিকার বাইরের পৃথিবীকে নিয়ে তিনি রসিকতাই করে গেছেন চিরকাল। হিউমার আর উইটের মধ্যে যে সূক্ষ্মতম পার্থক্য—মুগাবের মধ্যে সেটা ছিল। তাঁর এমন বহু রসিকতার সন্ধান পাওয়া যাবে অন্তর্জালের দুনিয়ায়। একটু খুঁজে নিয়ে সঠিক পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিতে পারলেই আপনি হিট।
‘ “লো ব্যাটারি”—এই একটা সতর্কতাই সিরিয়াসলি নেয় আফ্রিকানরা।’ নিজ অঞ্চল নিয়ে এ উক্তি সম্ভবত মুগাবের সেরা উক্তি নয়। যেমন পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে করা রসিকতাগুলোও তাঁর সেরা নয়। হাজার উক্তির মধ্যে কোনটা সেরা, সেটা বলা না গেলেও বলা যায়, নারী–পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে করা রসিকতাগুলোই তাঁকে জনপ্রিয় করেছে সাধারণ মানুষের কাছে। ‘কোনো আফ্রিকান মেয়ে ছয়টি গাড়ি ছাড়া সিক্সপ্যাক পছন্দ করবে না। কাজেই জিমে না গিয়ে কাজে যাও।’ আর একটা বলা যাক। মুগাবে নারীদের বলছেন, ‘তোমার প্রিয় মানুষটি যদি চিট করে, চিন্তা করো না। তাকে ঘুমাতে দাও, আর তুমি পানি গরম করতে থাক। পানি গরম হতে থাক। যখন তুমি দেখবে লোকটি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে, সেই গরম পানি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খাও। চা স্ট্রেস দূর করে।’
প্রথাবদ্ধ আফ্রিকান জীবন যখন ব্রিটিশ প্রভাবে আলোকিত হতে থাকল বিভিন্নভাবে, তখন তার সমাজ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলতে শুরু করল নিজস্বতা। বর্তমান আফ্রিকা অঞ্চলের ভাষা, খাদ্য, পোশাক আর জীবনযাপনের দিকে তাকালে সেটা খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলো তাদের বহুকালের চর্চিত যাপন প্রক্রিয়া হারিয়ে কালোনির ভূত কাঁধে নিয়ে হয়ে উঠতে চাইল আধুনিক। তার আছর পড়ল মানুষের জীবনে। ফলে মানুষে মানুষে অবিশ্বাস বাড়ল। মুগাবে কি সেসব লক্ষ্য করেননি? করেছেন বলেই তিনি বলেছেন, ‘নিজের ছাগল হারালে প্রতিবেশীর মাংসের ঝোলের গন্ধ বেশিই নাকে লাগে।’ আমাদের দেশের অবস্থা কী এ বিষয়ে? সে নিশ্চয়ই অনেক গবেষণার বিষয়। চাইলে কেউ গবেষণা করতে পারেন। আমরা অপেক্ষা করব তার ফলাফলের জন্য।
শেষ করার আগে বলি, রবার্ট মুগাবে বলেছেন—‘সিগারেটের এক প্রান্তে থাকে আগুন, অন্য প্রান্তে গাধা।’
সাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
১২ ঘণ্টা আগে‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
১ দিন আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
১ দিন আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
৩ দিন আগে