ঠান্ডা মৌসুমে সাধারণত শীতনিদ্রায় যায় বিষধর সাপ। ঋতুবদলের পর যখন আবারও উষ্ণ হয়ে ওঠে প্রকৃতি, তখনই এরা নতুন শিকারের সন্ধানে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রকৃতির এই চিরাচরিত হিসাবও যেন বদলে যাচ্ছে।
কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া এক প্রকার দুর্ঘটনার শিকার হয়েই ৮ হাজার মিটার ওপরে উঠে গিয়েও জীবিত ফিরে এসেছেন চীনের প্যারাগ্লাইডার পেং ইউজিয়াং। প্রচণ্ড ঠান্ডা, অক্সিজেন স্বল্পতা ও বিপজ্জনক উচ্চতায় উঠে যাওয়ার পরও তিনি শেষমেশ নিরাপদে ভূমিতে নামতে সক্ষম হন।
২৩ মে দৃষ্টিহীন নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন ছোনজিন আংমো। তিনি প্রথম ভারতীয় এবং পৃথিবীতে পঞ্চম দৃষ্টিহীন মানুষ হিসেবে এই কীর্তি অর্জন করেন। তাঁর আগের দৃষ্টিহীন এভারেস্টজয়ীরা সবাই ছিলেন পুরুষ।
বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না।
‘সি টু সামিট’ অভিযানে শাকিল সবচেয়ে কম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট চূড়া সামিট করে গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। আজ সোমবার (১৯ মে) তিনি সফলভাবে এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করে নিরাপদে ক্যাম্প-৪-এ ফিরে আসেন।
নেপাল সরকার এভারেস্ট অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে হলে অবশ্যই আগে নেপালের অন্তত একটি ৭ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার পর্বত জয় করার প্রমাণ দিতে হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো এভারেস্টে অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ...
মাউন্ট এভারেস্টের দুর্গম যাত্রাপথ এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরও নিরাপদ হতে চলেছে। মিলন পান্ডে নামের এক ড্রোনচালক এই বিপজ্জনক পথে পর্বতারোহীদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছেন। খাবার, জরুরি সরঞ্জাম এবং চিকিৎসাসামগ্রী এখন ড্রোনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দুর্গম এলাকায়, যা কমিয়ে দিচ্ছে প্রাণহানির ঝুঁকি।
মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দেওয়ার নিয়মে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে নেপাল সরকার। নতুন আইনের খসড়া অনুযায়ী, এভারেস্টে আরোহণের জন্য পর্বতারোহীদের নেপালের ভেতরে অন্তত ৭ হাজার মিটার উচ্চতার একটি শৃঙ্গ জয় করতে হবে।
মাত্র ২৭ দিনে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার তিন পর্বতচূড়া জয় করেছেন আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। কোনো ধরনের শেরপার সাহায্য ছাড়াই চূড়াগুলো জয় করেছেন তিনি। তার এই অভিযানের নাম ছিল, ‘থ্রি পিক ইন এ রো’। গত ৩০ অক্টোবর সকাল মেরা পিক জয়ের মাধ্যমে অভিযানটির সফল সমাপ্তি হয়।
তথ্যচিত্র নির্মাতাদের একটি দল এমন একজনের দেহাবশেষ আবিষ্কার করেছে যিনি ১০০ বছর আগে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। শুক্রবার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
নেপালের নিমা রিনজি শেরপা মাত্র ১৮ বছর পাঁচ মাস বয়সে আট হাজার মিটারে বেশি উচ্চতার ১৪টি পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে কম বয়সে আট হাজার মিটারের বেশি সব কয়টি পর্বতশৃঙ্গ জয়ের রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন তিনি।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চলের অরুণ নদী ও এর শাখা-প্রশাখার প্রবাহে ভূত্বকের ক্ষয় হলেও মাউন্ট এভারেস্ট আরও ১৫ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া অভিযানে নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে পৃথিবী। ইতিমধ্যে গত এপ্রিল মাসে তার সফল টেকনিক্যাল মহড়াও শেষ হয়ে গেছে। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ভবিষ্যতে এভারেস্ট অভিযানে শেরপাদের কষ্ট কমাবে ড্রোনের ব্যবহার।
এভারেস্ট শীর্ষে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করেছেন। নেমে আসার সময় এক আহত পর্বতারোহীর জন্য সৃষ্ট মানব জটে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে ছিলেন
ইতিহাস রচনা করে নিজভূমে ফিরলেন এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী। এ জনপদের প্রথম এভারেস্টজয়ী তিনি। তাঁকে ঘিরে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে অন্যরকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। সেই বাবর বীরদর্পে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছুঁয়ে নিজ বাড়িতে ফিরলেন। আত্মীয় পরিজন ও বন্ধু–বান্ধবদের ফুলের তোড়া, হলুদ গাঁদার মালায় ঢেকে দিলেন বাবরকে।
১৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিটে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে দ্রুততম সময়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া জয়ের নারীদের রেকর্ড ভেঙেছেন নেপালের পর্বতারোহী ফুঞ্জো লামা। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার এই রেকর্ড করেন তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
নেপালি শেরপা তথা পর্বতারোহী কামি রিতা ৩০ বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় উঠে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এ নিয়ে তিনি ৩০তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন। তাঁর চেয়ে আর কেউ বেশি বার বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করেননি