স্বাস্থ্য

শীত আরামদায়ক হলেও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে এই আবহাওয়া। এ সময় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুধু শীতকালে ঠান্ডা লেগেই কানে সংক্রমণ হয় না। সারা বছরই কানে সংক্রমণ হতে পারে। তবে কেন এটি হয় এবং কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব তা আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।

সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।

সাইনোসাইটিস একটি সাধারণ রোগ। বিভিন্ন জীবাণুর কারণে এ রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীরা মাথাব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অবসাদে ভুগে থাকে। একই সঙ্গে তাদের মুখমণ্ডলে ব্যথা থাকে, নাক বন্ধ থাকে, রোগীরা অতি ক্লান্তিতে ভোগে। এ ছাড়া কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময়। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা নানান শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়। মেয়েদের বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে ঋতুচক্র বা মাসিক শুরু হওয়া। হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে একবার মাসিক হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।

ক্রাশ ডায়েট দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেললেও স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। জনপ্রিয় হলেও তাই এটি বিপজ্জনক। এর বদলে ক্লিন ইটিংয়ের অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখতে বেশি ভূমিকা পালন করবে।

সরকারি সহযোগিতায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো মাত্র এক বছরে ৪টি বিরল রোগের ওষুধ তৈরিতে সফল হয়েছে। এর ফলে ওই রোগগুলোর চিকিৎসায় রোগীদের খরচ প্রায় শতভাগ কমে গেছে বলে দাবি করেছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম। 

চীনের স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ শুক্রবার সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। তবে নতুন এ রোগ বিস্তারের ডেটা বিশ্লেষণ করে কোনো অপরিচিত জীবাণু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। 

গবেষণা বলছে, গভীর মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর মহাকাশচারীরা ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। সহজ কথায় বললে, পুরুষ নভোচারীদের যৌন ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এতে। 

হাসপাতালে ভর্তি হলে অনেক রোগীকে শুরুতেই মেরোপেনাম নামের অ্যান্টিবায়োটিক ‘উপহার’ দেওয়া হয়। কিছু চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না লিখে থাকতেই পারেন না। এ ছাড়া দেশের সব ওষুধের দোকানেই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আগ্রাসী বিপণন তো আছেই।

দেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৪ হাজার শিশুর (২৪ শতাংশ) মৃত্যু হয় শুধু নিউমোনিয়ার কারণে। আর নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি চিকিৎসা সেবাবঞ্চিত হয়। নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।

ওয়াইন পানে, বিশেষ করে, রেড ওয়াইন পানে মাথাব্যথা হওয়ার কারণ চিহ্নিত করা গেছে নতুন এক গবেষণায়। গবেষকেরা বলছেন, মানুষের যকৃৎ যখন বিশেষ একটি উপাদান সংশ্লেষ করে তখন এই ধরনের সমস্যা হয়। অ্যালকোহল আসক্তি দূর করতে এক ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়।

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৪৩ কোটি ৭ লাখ ৪ হাজার ২১৮ টাকা। এর মধ্যে শুধু করোনাপ্রতিরোধী টিকা কিনতেই ব্যয় হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৪০ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এমনকি করোনা বিডির দুটি অ্যাপ বানাতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৮০ টাকা।

এবারে সুদানে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশটির উত্তর দারফুর প্রদেশে ৪৮৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য দেয় বলে সংবাদমাধ্যম রেডিও তামাজুজে উল্লেখ করা হয়েছে।

সারা বিশ্বে প্রতি আজজন নারীর মধ্যে একজনের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যানসারে আক্রান্ত হন এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের ১৯ শতাংশ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসির হিসাবে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নত

নভেম্বর ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতার মাস। বিশ্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ক্যানসারে যত মানুষ মারা যায় এর চার ভাগের এক ভাগ মারা যায় ফুসফুসের ক্যানসারে। বাংলাদেশে ২১ লাখ মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ পুরুষ। ফুসফুস ক্যানসারের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কারণের মধ্যে আছে ধূমপান, তামাক ও জর্দা খাওয়া।

বিশ্বজুড়ে আলোচিত রোগগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস একটি। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন জানিয়েছিল, বিশ্বে  ১৮ বছরের বেশি এমন অন্তত ৪৫ কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৪৫ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯ কোটি ৩০ লাখে।

থাইরয়েড হরমোন হচ্ছে আমাদের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন। এটি পুরো শরীরে কাজ করে।