অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
নভেম্বর ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতার মাস। বিশ্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ক্যানসারে যত মানুষ মারা যায় এর চার ভাগের এক ভাগ মারা যায় ফুসফুসের ক্যানসারে। বাংলাদেশে ২১ লাখ মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ পুরুষ। ফুসফুস ক্যানসারের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কারণের মধ্যে আছে ধূমপান, তামাক ও জর্দা খাওয়া। এ ছাড়া রেডিয়েশন, বায়ুদূষণ, জিনগত প্রভাব এবং এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং সম্বন্ধে অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে এ রোগে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা যায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার সম্বন্ধে জানতে পারলেও ফুসফুসের ক্যানসার সম্বন্ধে মানুষের জানাশোনা
কম। মেমোগ্রাম, কোলনস্কপি, পিএসএ সম্বন্ধে জানলেও মানুষ নতুন ক্যানসার স্ক্রিনিং লো ডোজ সিটি সম্বন্ধে জানে কম। বিশেষজ্ঞরা স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেন। যাঁদের বয়স ৫০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এবং যাঁদের আছে ধূমপানের ইতিহাস, তাঁরা উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন। এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে স্ক্রিনিং বিষয়ে।
সম্ভাব্য উপসর্গ
⊲ দীর্ঘমেয়াদি কফ ও কাশ
⊲ কফের সঙ্গে রক্ত পড়া
⊲ দুর্বলতা
⊲ বুকেব্যথা
⊲ ক্লান্তি
যাঁদের আছে উচ্চ ঝুঁকি কিন্তু উপসর্গ নেই, তাঁদের স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। সূচনাপর্যায়ে ধরা পড়লে এই রোগ থেকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যাঁরা ধূমপান করেন—এই রোগে তাঁদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
রোগ প্রতিরোধে করণীয়
এই রোগ প্রতিরোধে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সবচেয়ে বড় কাজ। এতে নিজেও যেমন ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন, তেমনি পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিও এড়ানো যাবে। এর সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। খেতে হবে নানান রঙের তাজা শাকসবজি আর ফল। শিল্পকারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে হবে যতটা সম্ভব। খনি, ইটভাটাসহ বিভিন্ন কারখানায় কোনো রকম প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়া কাজ করলে ফুসফুসে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। বায়ুদূষণ এড়িয়ে চলা জরুরি। দেশি চুলাও এড়িয়ে চলুন। আর গড়ে তুলুন নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নভেম্বর ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতার মাস। বিশ্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ক্যানসারে যত মানুষ মারা যায় এর চার ভাগের এক ভাগ মারা যায় ফুসফুসের ক্যানসারে। বাংলাদেশে ২১ লাখ মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ পুরুষ। ফুসফুস ক্যানসারের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কারণের মধ্যে আছে ধূমপান, তামাক ও জর্দা খাওয়া। এ ছাড়া রেডিয়েশন, বায়ুদূষণ, জিনগত প্রভাব এবং এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং সম্বন্ধে অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে এ রোগে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা যায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার সম্বন্ধে জানতে পারলেও ফুসফুসের ক্যানসার সম্বন্ধে মানুষের জানাশোনা
কম। মেমোগ্রাম, কোলনস্কপি, পিএসএ সম্বন্ধে জানলেও মানুষ নতুন ক্যানসার স্ক্রিনিং লো ডোজ সিটি সম্বন্ধে জানে কম। বিশেষজ্ঞরা স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেন। যাঁদের বয়স ৫০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এবং যাঁদের আছে ধূমপানের ইতিহাস, তাঁরা উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন। এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে স্ক্রিনিং বিষয়ে।
সম্ভাব্য উপসর্গ
⊲ দীর্ঘমেয়াদি কফ ও কাশ
⊲ কফের সঙ্গে রক্ত পড়া
⊲ দুর্বলতা
⊲ বুকেব্যথা
⊲ ক্লান্তি
যাঁদের আছে উচ্চ ঝুঁকি কিন্তু উপসর্গ নেই, তাঁদের স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। সূচনাপর্যায়ে ধরা পড়লে এই রোগ থেকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যাঁরা ধূমপান করেন—এই রোগে তাঁদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
রোগ প্রতিরোধে করণীয়
এই রোগ প্রতিরোধে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সবচেয়ে বড় কাজ। এতে নিজেও যেমন ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন, তেমনি পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিও এড়ানো যাবে। এর সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। খেতে হবে নানান রঙের তাজা শাকসবজি আর ফল। শিল্পকারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে হবে যতটা সম্ভব। খনি, ইটভাটাসহ বিভিন্ন কারখানায় কোনো রকম প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়া কাজ করলে ফুসফুসে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। বায়ুদূষণ এড়িয়ে চলা জরুরি। দেশি চুলাও এড়িয়ে চলুন। আর গড়ে তুলুন নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
৩ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে