সাধারণত মহাকাশচারীরা দীর্ঘদিন ধরে গৃহকাতরতা, পেশির ক্ষয়, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, ক্যানসারের ঝুঁকি ও নিঃসঙ্গতার মতো সমস্যায় ভোগেন। বিষয়গুলো বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। এবার এসব নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যৌন সমস্যাও। গবেষণা বলছে, গভীর মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর মহাকাশচারীরা ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। সহজ কথায় বললে, পুরুষ নভোচারীদের যৌন ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এতে।
পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের ওপর মহাজাগতিক বিকিরণ ও ওজনহীনতা কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা একটি প্রকল্প পরিচালনা করে। নাসার অর্থায়নে করা ওই গবেষণায় গবেষকেরা খুঁজে পেয়েছেন যে মহাজাগতিক রশ্মি এবং অল্প পরিমাণ মহাকর্ষ ইরেকটাইল টিস্যুর কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এই ক্ষতির প্রভাব রয়ে যেতে পারে কয়েক দশক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ফাসেব নামে একটি জার্নালে। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই গবেষণার সঙ্গে জড়িতরা পুরুষ মহাকাশচারীদের যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সচেতনভাবে কাজ করার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির নিউরোভাসকুলার ডিজফাংশন বিশেষজ্ঞ ড. জাস্টিন লা ফেভর বলেন, ‘যদিও মহাজাগতিক বিকিরণের নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর দিকে আসা রেডক্স ও নাইট্রিক অক্সাইডের গমনাগমন বাধা দেওয়ার ফলে টিস্যুর উন্নতি দেখা গেছে। এর সহজ কথা হলো—এ ধরনের ইরেকটাইল ডিজফাংশন চিকিৎসাযোগ্য।’
মানুষ যখন থেকেই মহাকাশে যেতে শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা তখন থেকেই ওজনহীনতা, মহাজাগতিক বিকিরণ—বিশেষ করে উচ্চশক্তির বিভিন্ন কণা, এক্স-রে বা গামা রশ্মি যা বিভিন্ন নক্ষত্র ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু থেকে উৎসারিত হয় মানবদেহে সেগুলোর প্রভাব খোঁজার চেষ্টা করেছেন। তবে লা ফেভর ও নর্থ ক্যারোলিনার ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কর্মরত তাঁর গবেষণা দলের সহযোগীদের মতে, ইরেকটাইল ডিজফাংশনের ওপর স্পেস ফ্লাইটের প্রভাব আগে কখনোই জানার চেষ্টা করা হয়নি।
ফাসেব জার্নালে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, ‘যদিও ইরেকটাইল ডিজফাংশন ৪০ বছরের বেশি বয়সী অর্ধেকেরও বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে এবং মানুষের জীবনে সন্তুষ্ট থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর কিন্তু ইরেকটাইল ফাংশনে মহাকাশ ভ্রমণের পরিণতি কী কী না এর আগে জানার চেষ্টা করা হয়নি।’
পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, বায়ুমণ্ডলের কারণে মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিত। কিন্তু চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে এমন কোনো প্রতিরক্ষা স্তর নেই যা মহাজাগতিক রশ্মিকে বাধা দিতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের থাকা ক্রুরা বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণে কিছুটা সুরক্ষিত থাকলেও বিকিরণ খুব বেশি এড়াতে পারেন না। সেখানে তাঁরা এক সপ্তাহে যে পরিমাণ বিকিরণ নিজেদের শরীরে নেন পৃথিবীতে থাকলে সেই পরিমাণ বিকিরণ গ্রহণের জন্য এক বছর সময় লাগত।
গবেষক দল গবেষণার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ইঁদুর বেছে নিয়েছিলেন। তাদের ওপর এক বছর ধরে মহাজাগতিক বিভিন্ন রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। এক বছর পর ইঁদুরগুলোর টিস্যু বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহাজাগতিক রশ্মির কম এক্সপোজারও প্রাণীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে দেয়। এটি লিঙ্গ ও ইরেকটাইল টিস্যুতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনির কাজকে ব্যাহত করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে দেওয়া বা লিঙ্গ ও ইরেকটাইল টিস্যুতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনির কাজকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে ওজনহীনতাও প্রভাব ফেলে তবে এর মাত্রা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, ‘সম্মিলিতভাবে এই ফলাফলগুলো পরামর্শ দেয় যে দীর্ঘদিন মহাকাশে থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের যৌন স্বাস্থ্যের একটি বড় অংশজুড়ে ইরেকটাইল টিস্যুগুলোর নিউরোভাসকুলার ফাংশন ব্যাহত হতে পারে।’ তবে এতে হতাশার কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, চিকিৎসার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর কার্যকারিতা উন্নত করাও সম্ভব।
সাধারণত মহাকাশচারীরা দীর্ঘদিন ধরে গৃহকাতরতা, পেশির ক্ষয়, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, ক্যানসারের ঝুঁকি ও নিঃসঙ্গতার মতো সমস্যায় ভোগেন। বিষয়গুলো বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। এবার এসব নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যৌন সমস্যাও। গবেষণা বলছে, গভীর মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর মহাকাশচারীরা ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। সহজ কথায় বললে, পুরুষ নভোচারীদের যৌন ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এতে।
পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের ওপর মহাজাগতিক বিকিরণ ও ওজনহীনতা কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা একটি প্রকল্প পরিচালনা করে। নাসার অর্থায়নে করা ওই গবেষণায় গবেষকেরা খুঁজে পেয়েছেন যে মহাজাগতিক রশ্মি এবং অল্প পরিমাণ মহাকর্ষ ইরেকটাইল টিস্যুর কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এই ক্ষতির প্রভাব রয়ে যেতে পারে কয়েক দশক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ফাসেব নামে একটি জার্নালে। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই গবেষণার সঙ্গে জড়িতরা পুরুষ মহাকাশচারীদের যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সচেতনভাবে কাজ করার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির নিউরোভাসকুলার ডিজফাংশন বিশেষজ্ঞ ড. জাস্টিন লা ফেভর বলেন, ‘যদিও মহাজাগতিক বিকিরণের নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর দিকে আসা রেডক্স ও নাইট্রিক অক্সাইডের গমনাগমন বাধা দেওয়ার ফলে টিস্যুর উন্নতি দেখা গেছে। এর সহজ কথা হলো—এ ধরনের ইরেকটাইল ডিজফাংশন চিকিৎসাযোগ্য।’
মানুষ যখন থেকেই মহাকাশে যেতে শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা তখন থেকেই ওজনহীনতা, মহাজাগতিক বিকিরণ—বিশেষ করে উচ্চশক্তির বিভিন্ন কণা, এক্স-রে বা গামা রশ্মি যা বিভিন্ন নক্ষত্র ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু থেকে উৎসারিত হয় মানবদেহে সেগুলোর প্রভাব খোঁজার চেষ্টা করেছেন। তবে লা ফেভর ও নর্থ ক্যারোলিনার ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কর্মরত তাঁর গবেষণা দলের সহযোগীদের মতে, ইরেকটাইল ডিজফাংশনের ওপর স্পেস ফ্লাইটের প্রভাব আগে কখনোই জানার চেষ্টা করা হয়নি।
ফাসেব জার্নালে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, ‘যদিও ইরেকটাইল ডিজফাংশন ৪০ বছরের বেশি বয়সী অর্ধেকেরও বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে এবং মানুষের জীবনে সন্তুষ্ট থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর কিন্তু ইরেকটাইল ফাংশনে মহাকাশ ভ্রমণের পরিণতি কী কী না এর আগে জানার চেষ্টা করা হয়নি।’
পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, বায়ুমণ্ডলের কারণে মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিত। কিন্তু চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে এমন কোনো প্রতিরক্ষা স্তর নেই যা মহাজাগতিক রশ্মিকে বাধা দিতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের থাকা ক্রুরা বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণে কিছুটা সুরক্ষিত থাকলেও বিকিরণ খুব বেশি এড়াতে পারেন না। সেখানে তাঁরা এক সপ্তাহে যে পরিমাণ বিকিরণ নিজেদের শরীরে নেন পৃথিবীতে থাকলে সেই পরিমাণ বিকিরণ গ্রহণের জন্য এক বছর সময় লাগত।
গবেষক দল গবেষণার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ইঁদুর বেছে নিয়েছিলেন। তাদের ওপর এক বছর ধরে মহাজাগতিক বিভিন্ন রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। এক বছর পর ইঁদুরগুলোর টিস্যু বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহাজাগতিক রশ্মির কম এক্সপোজারও প্রাণীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে দেয়। এটি লিঙ্গ ও ইরেকটাইল টিস্যুতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনির কাজকে ব্যাহত করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে দেওয়া বা লিঙ্গ ও ইরেকটাইল টিস্যুতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনির কাজকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে ওজনহীনতাও প্রভাব ফেলে তবে এর মাত্রা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, ‘সম্মিলিতভাবে এই ফলাফলগুলো পরামর্শ দেয় যে দীর্ঘদিন মহাকাশে থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের যৌন স্বাস্থ্যের একটি বড় অংশজুড়ে ইরেকটাইল টিস্যুগুলোর নিউরোভাসকুলার ফাংশন ব্যাহত হতে পারে।’ তবে এতে হতাশার কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, চিকিৎসার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর কার্যকারিতা উন্নত করাও সম্ভব।
বিশ্বের বিষধর কিছু সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম একটি নতুন অ্যান্টিভেনম উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়েছে টিম ফ্রিডে নামের সেই সাপুড়ের রক্তের অ্যান্টিবডি থেকে, যিনি বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে প্রয়োগ করে দেহের ইমিউনিটি গড়ে তুলেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছর বাংলাদেশে জন্মগত রক্তরোগ থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার শিশু। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এই রোগে ভুগছে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসেমিয়া-বিষয়ক এক কর্মশালায় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে।
২ দিন আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৮১ হাজার মানুষের। ২০২৩ সালে যা নেমে আসে ৪৪ হাজারে। ১৭ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে এটিকে বেশ বড় অগ্রগতি বলেই অভিহিত করছেন চিকিৎসকেরা। মূলত ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ। যথাযথ চিকিৎসা পেলে এই রোগ তেমন কোনো
২ দিন আগেগর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত
৫ দিন আগে