মহানবী (সাঃ)

রাগ মানুষের একটি আচরণগত দিক। এর মন্দ প্রভাবই বেশি। রাগী মানুষকে কেউ ভালোবাসে না। এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে রাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং রাগ সংবরণকারীকে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়; বরং যে ব্যক

ইসলাম সুন্দর ও শুদ্ধতার ধর্ম। ইসলাম অনুসারীদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্দর ও শুদ্ধতার পাঠ দেয়। মহান আল্লাহ তাআলা সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। বান্দাকে তিনি যে নিয়ামত দান করেছেন, তার আলামত (তার দেহে) দেখতে পছন্দ করেন। আর তিনি দরিদ্র সাজাকে ঘৃণা করেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উত্তম বেশভূষার প্রতি

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) উম্মতকে আমল-আখলাখে পূর্ণতা অর্জনের শিক্ষা দিয়েছেন। বিভিন্নভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগ দিতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। কিছু কিছু আমলকে সেরা ও উত্তম আমল ঘোষণা দিয়ে তা পালন করতে আগ্রহী করে তুলেছেন।

আল্লাহর নবী হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন আলোচনা এসেছে। তাঁর অলৌকিক জন্ম থেকে শুরু করে অলৌকিকভাবে আসমানে উঠিয়ে নেওয়ার বিস্ময়কর সব ঘটনা সরাসরি বর্ণনা করেছেন আল্লাহ তাআলা। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো—

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে নববিতে মহানবী (সা.)-এর রওজা শরিফ ভ্রমণে নতুন বিধি জারি করেছে সৌদি আরব। একজন মুসলিম বছরে মহানবী (সা.)-এর রওজা শরিফে একবারের বেশি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে খবরটি জানান হয়েছে। 

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে।

ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়, উৎপাদন ও বণ্টন মানুষের জীবনের এক বিশাল অংশ দখল করে আছে। এসব এমন এক বাস্তবতা, যা ছাড়া মানবজীবন অচল হয়ে পড়ে। এই চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ইসলাম নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না

আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হতে চাইলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনয়। ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে ঘরে-বাইরে সবার সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হওয়া অপরিহার্য। বিনয়ী ব্যক্তির ওঠাবসা, কথাবার্তা, এমনকি হাঁটাচলায়ও তা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার বিধিবিধানের সামনে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য বিনয়ী হওয়া দরকার। বাহ্যত নিজের শ্রম

মা, মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষা—এ তিনটি জিনিস মানুষের সবচেয়ে প্রিয়। মাতৃভূমির প্রতি টান মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে, কর্তব্যের টানে মানুষ বিদেশে থাকলেও জন্মভূমির কথা, মাতৃভূমির মায়া ভুলে থাকতে পারে না।

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্

বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তারা শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে চটকদার মিথ্যা গল্প বলেন। কেউ কেউ উপস্থিত লোকদের হাসানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেন। এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? মানুষকে ধর্মীয় মাহফিলে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলার সুযোগ আছে কি?

মেসওয়াক করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত এবং আগের যুগের নবী-রাসুলদের স্বাভাবিক নিয়ম। মেসওয়াক করার ফজিলত অনেক এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মানবসভ্যতার ইতিহাসে দেখা গেছে, সর্বকালের সভ্যসমাজ বলে যারা বিবেচিত, তারা সবাই মেসওয়াক করত।

যিনি আজান দেন, তাঁকে আমরা মুয়াজ্জিন বলি। মুয়াজ্জিনদের সুমধুর আজান শুনেই আমরা নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইসলামে মুয়াজ্জিনদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুয়াজ্জিনদের অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন। 

খেজুর আল্লাহর বড় নেয়ামত। এটি সুস্বাদু ও রক্তবর্ধক একটি ফল। কোরআন-হাদিসে খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। মহানবী (সা.)-এর সময় খেজুর আরববাসীদের প্রধান কৃষিপণ্য ও প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। মাওয়ারদি (রহ.) বলেন, ‘স্ত্রীলোক যখন প্রসবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তখন খেজুর অপেক্ষা উপকারী বস্

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ।

আত্মনির্ভরশীল মানুষকে সবাই শ্রদ্ধার চোখে দেখে। ইসলাম তার অনুসারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহিত করে এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রচেষ্টাকে ইবাদত বলে গণ্য করে। ইসলাম অমুখাপেক্ষিতাকে মুমিনের মর্যাদা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।