মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
রাস্তায় চলাফেরার অনেক আদব রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি আদব হলো, পথভোলা মানুষকে পথ দেখিয়ে দেওয়া। একে বড় সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন মহানবী (সা.)। এরশাদ হয়েছে, ‘পথ না চেনা ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া তোমার জন্য একটি সদকা।’ (তিরমিজি: ১৯৫৬)
আমরা অনেক সময় দেখি, কোনো আগন্তুক এল, কিন্তু সে তার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানাটি খুঁজে পাচ্ছে না। এমন সময় তাকে সেই ঠিকানা খুঁজে পেতে সহযোগিতা করা গেলে তা তার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়। সে পেরেশানি ও হতাশা থেকে মুক্তি পায়। আর এই কাজ তারাই করতে পারে, যারা পথে ঘাটে চলাফেরা করে।
এক হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আবু জর (রা.) থেকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। হজরত আবু জর (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.)-এর পুরোপুরি খোঁজ-খবর নিতে আমি নিজেই মক্কা শহরে পৌঁছলাম। কিন্তু তাঁকে চিনলাম না। কাউকে যে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব, সে সাহসও হচ্ছিল না। ফলে আমি মসজিদে বসে রইলাম। হজরত আলি (রা.) আমাকে দেখে বুঝলেন, আমি মুসাফির। সঙ্গে করে তিনি আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। পানাহারের ব্যবস্থা করলেন। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। দ্বিতীয় দিনও তিনি আমাকে মসজিদে ওভাবে দেখতে পেলেন, ফলে আমার আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন।
আমি কাউকে কিছু না বলার শর্তে তা জানালাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি সঠিকের সন্ধান পেয়েছেন। আমিও সেদিকেই যাচ্ছি। আপনি আমার সঙ্গে চলুন। আমি যেখানে প্রবেশ করব, আমার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশ করবেন। এরপর হজরত আলী (রা.) আমাকে নবীজি (সা.)-এর কাছে পৌঁছে দিলেন।’ (বুখারি: ৩৫২৮)
রাস্তায় চলাফেরার অনেক আদব রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি আদব হলো, পথভোলা মানুষকে পথ দেখিয়ে দেওয়া। একে বড় সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন মহানবী (সা.)। এরশাদ হয়েছে, ‘পথ না চেনা ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া তোমার জন্য একটি সদকা।’ (তিরমিজি: ১৯৫৬)
আমরা অনেক সময় দেখি, কোনো আগন্তুক এল, কিন্তু সে তার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানাটি খুঁজে পাচ্ছে না। এমন সময় তাকে সেই ঠিকানা খুঁজে পেতে সহযোগিতা করা গেলে তা তার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়। সে পেরেশানি ও হতাশা থেকে মুক্তি পায়। আর এই কাজ তারাই করতে পারে, যারা পথে ঘাটে চলাফেরা করে।
এক হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আবু জর (রা.) থেকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। হজরত আবু জর (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.)-এর পুরোপুরি খোঁজ-খবর নিতে আমি নিজেই মক্কা শহরে পৌঁছলাম। কিন্তু তাঁকে চিনলাম না। কাউকে যে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব, সে সাহসও হচ্ছিল না। ফলে আমি মসজিদে বসে রইলাম। হজরত আলি (রা.) আমাকে দেখে বুঝলেন, আমি মুসাফির। সঙ্গে করে তিনি আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। পানাহারের ব্যবস্থা করলেন। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। দ্বিতীয় দিনও তিনি আমাকে মসজিদে ওভাবে দেখতে পেলেন, ফলে আমার আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন।
আমি কাউকে কিছু না বলার শর্তে তা জানালাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি সঠিকের সন্ধান পেয়েছেন। আমিও সেদিকেই যাচ্ছি। আপনি আমার সঙ্গে চলুন। আমি যেখানে প্রবেশ করব, আমার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশ করবেন। এরপর হজরত আলী (রা.) আমাকে নবীজি (সা.)-এর কাছে পৌঁছে দিলেন।’ (বুখারি: ৩৫২৮)
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
৭ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১০ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
১৪ ঘণ্টা আগে