ইমদাদুল হক শেখ

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন এবং কী কী আমল করতেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
কোরআন তিলাওয়াত
মহানবী (সা.) রমজান মাসে অনেক বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) রমজান মাসে হজরত জিবরিল (আ.)-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং জিবরিল (আ.) থেকেও পূর্ণ কোরআন শুনতেন।’ (বুখারি: ৬) মহানবী (সা.)-এর এই আদর্শের অনুগামী হয়ে সালফে সালেহীন তথা পরবর্তী যুগের আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও ইসলামি চিন্তাবিদেরাও রমজানে বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেন।
হাদিসের সাধনায় আজীবন নিমজ্জিত থাকা ইমাম বুখারিও (রহ.) রমজান এলে কোরআন তিলাওয়াতকে প্রধান ইবাদত বানিয়ে নিতেন। ইবনে সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি (রহ.) রমজানের দিনগুলোতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তারাবির পর (নামাজে) তিন রাতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১২ / ৪৩৮)
ইমাম শাফিয়ি (রহ.)-এর নেশা ও পেশাই ছিল জ্ঞানচর্চা। এ কাজে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ; একনিষ্ঠ। ফিকহচর্চায় তুমুল ব্যস্ততার কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। সেই তুমুল ব্যস্ত মানুষটিও রমজান মাসে সবকিছু বাদ দিয়ে অসংখ্যবার কোরআন খতম করতেন। ইমাম রবি বলেন, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসে ৩০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন। আর রমজান মাসে নামাজের তিলাওয়াত ছাড়া ৬০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিফাতুস সফওয়াহ: ২ / ২৫৫)
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজান মাসের প্রধান ইবাদত দিনে রোজা রাখা এবং রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করা। অনেক আলিম এই নফল নামাজকে তারাবি হিসেবে চিহ্নিত করেন আবার অনেকে তারাবি ছাড়াও অতিরিক্ত নফল নামাজের কথা বলেন, তাঁরা একে কিয়ামুল লাইল বলে থাকেন। মোটকথা, পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানের রাতগুলো নামাজেই কাটিয়ে দিতেন।
নাফে (রহ.) বলেন, ‘প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) রমজান মাসে রাতে প্রথমে নিজের কক্ষে নফল নামাজ শুরু করতেন। যখন সব মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে যেত, তখন তিনি পানির একটা পাত্র নিয়ে মসজিদে চলে আসতেন। এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের আগপর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হতেন না।’ (বায়হাকি: ২ / ৪৯৪)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রহ.) বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি, ‘আমরা রমজান মাসে রাত জাগার প্রতি এত গভীরভাবে মনোনিবেশ করতাম, (সাহ্রির সময়) শেষ হওয়ার আশঙ্কায় সেবকেরা খাবার প্রস্তুতিতে তাড়াহুড়ো করত।’ (বায়হাকি: ৪ / ১৭৭)
দান-সদকা করা
ইসলামে দান-সদকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজান মাসে দানের ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানে নিজেরা যেমন দান করতেন, অন্যকেও তেমন দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমি রমজান মাসে রোজাদারের অধিক দানশীলতা পছন্দ করি রাসুল (সা)-এর অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনের খাতিরে মানুষ সেদিকে (দানের দিকে) বেশি মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে।’ (লাতাইফুল মাআরিফ: ৩১৫)
ইমাম জাহাবি (রহ.) সিয়ার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমান (রহ.) রমজান মাসে প্রতিদিন সন্ধায় ৫০ জন লোককে ইফতার করাতেন এবং খাবার খাওয়াতেন। যখন ঈদের রাত আসত, তাদের সবাইকে নতুন কাপড় পরিধান করাতেন এবং প্রত্যেককে ১০০ দিরহাম উপঢৌকন হিসেবে দিতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৫ / ২৩৮)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন এবং কী কী আমল করতেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
কোরআন তিলাওয়াত
মহানবী (সা.) রমজান মাসে অনেক বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) রমজান মাসে হজরত জিবরিল (আ.)-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং জিবরিল (আ.) থেকেও পূর্ণ কোরআন শুনতেন।’ (বুখারি: ৬) মহানবী (সা.)-এর এই আদর্শের অনুগামী হয়ে সালফে সালেহীন তথা পরবর্তী যুগের আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও ইসলামি চিন্তাবিদেরাও রমজানে বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেন।
হাদিসের সাধনায় আজীবন নিমজ্জিত থাকা ইমাম বুখারিও (রহ.) রমজান এলে কোরআন তিলাওয়াতকে প্রধান ইবাদত বানিয়ে নিতেন। ইবনে সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি (রহ.) রমজানের দিনগুলোতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তারাবির পর (নামাজে) তিন রাতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১২ / ৪৩৮)
ইমাম শাফিয়ি (রহ.)-এর নেশা ও পেশাই ছিল জ্ঞানচর্চা। এ কাজে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ; একনিষ্ঠ। ফিকহচর্চায় তুমুল ব্যস্ততার কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। সেই তুমুল ব্যস্ত মানুষটিও রমজান মাসে সবকিছু বাদ দিয়ে অসংখ্যবার কোরআন খতম করতেন। ইমাম রবি বলেন, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসে ৩০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন। আর রমজান মাসে নামাজের তিলাওয়াত ছাড়া ৬০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিফাতুস সফওয়াহ: ২ / ২৫৫)
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজান মাসের প্রধান ইবাদত দিনে রোজা রাখা এবং রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করা। অনেক আলিম এই নফল নামাজকে তারাবি হিসেবে চিহ্নিত করেন আবার অনেকে তারাবি ছাড়াও অতিরিক্ত নফল নামাজের কথা বলেন, তাঁরা একে কিয়ামুল লাইল বলে থাকেন। মোটকথা, পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানের রাতগুলো নামাজেই কাটিয়ে দিতেন।
নাফে (রহ.) বলেন, ‘প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) রমজান মাসে রাতে প্রথমে নিজের কক্ষে নফল নামাজ শুরু করতেন। যখন সব মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে যেত, তখন তিনি পানির একটা পাত্র নিয়ে মসজিদে চলে আসতেন। এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের আগপর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হতেন না।’ (বায়হাকি: ২ / ৪৯৪)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রহ.) বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি, ‘আমরা রমজান মাসে রাত জাগার প্রতি এত গভীরভাবে মনোনিবেশ করতাম, (সাহ্রির সময়) শেষ হওয়ার আশঙ্কায় সেবকেরা খাবার প্রস্তুতিতে তাড়াহুড়ো করত।’ (বায়হাকি: ৪ / ১৭৭)
দান-সদকা করা
ইসলামে দান-সদকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজান মাসে দানের ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানে নিজেরা যেমন দান করতেন, অন্যকেও তেমন দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমি রমজান মাসে রোজাদারের অধিক দানশীলতা পছন্দ করি রাসুল (সা)-এর অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনের খাতিরে মানুষ সেদিকে (দানের দিকে) বেশি মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে।’ (লাতাইফুল মাআরিফ: ৩১৫)
ইমাম জাহাবি (রহ.) সিয়ার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমান (রহ.) রমজান মাসে প্রতিদিন সন্ধায় ৫০ জন লোককে ইফতার করাতেন এবং খাবার খাওয়াতেন। যখন ঈদের রাত আসত, তাদের সবাইকে নতুন কাপড় পরিধান করাতেন এবং প্রত্যেককে ১০০ দিরহাম উপঢৌকন হিসেবে দিতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৫ / ২৩৮)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ
ইমদাদুল হক শেখ

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন এবং কী কী আমল করতেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
কোরআন তিলাওয়াত
মহানবী (সা.) রমজান মাসে অনেক বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) রমজান মাসে হজরত জিবরিল (আ.)-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং জিবরিল (আ.) থেকেও পূর্ণ কোরআন শুনতেন।’ (বুখারি: ৬) মহানবী (সা.)-এর এই আদর্শের অনুগামী হয়ে সালফে সালেহীন তথা পরবর্তী যুগের আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও ইসলামি চিন্তাবিদেরাও রমজানে বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেন।
হাদিসের সাধনায় আজীবন নিমজ্জিত থাকা ইমাম বুখারিও (রহ.) রমজান এলে কোরআন তিলাওয়াতকে প্রধান ইবাদত বানিয়ে নিতেন। ইবনে সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি (রহ.) রমজানের দিনগুলোতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তারাবির পর (নামাজে) তিন রাতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১২ / ৪৩৮)
ইমাম শাফিয়ি (রহ.)-এর নেশা ও পেশাই ছিল জ্ঞানচর্চা। এ কাজে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ; একনিষ্ঠ। ফিকহচর্চায় তুমুল ব্যস্ততার কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। সেই তুমুল ব্যস্ত মানুষটিও রমজান মাসে সবকিছু বাদ দিয়ে অসংখ্যবার কোরআন খতম করতেন। ইমাম রবি বলেন, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসে ৩০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন। আর রমজান মাসে নামাজের তিলাওয়াত ছাড়া ৬০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিফাতুস সফওয়াহ: ২ / ২৫৫)
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজান মাসের প্রধান ইবাদত দিনে রোজা রাখা এবং রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করা। অনেক আলিম এই নফল নামাজকে তারাবি হিসেবে চিহ্নিত করেন আবার অনেকে তারাবি ছাড়াও অতিরিক্ত নফল নামাজের কথা বলেন, তাঁরা একে কিয়ামুল লাইল বলে থাকেন। মোটকথা, পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানের রাতগুলো নামাজেই কাটিয়ে দিতেন।
নাফে (রহ.) বলেন, ‘প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) রমজান মাসে রাতে প্রথমে নিজের কক্ষে নফল নামাজ শুরু করতেন। যখন সব মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে যেত, তখন তিনি পানির একটা পাত্র নিয়ে মসজিদে চলে আসতেন। এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের আগপর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হতেন না।’ (বায়হাকি: ২ / ৪৯৪)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রহ.) বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি, ‘আমরা রমজান মাসে রাত জাগার প্রতি এত গভীরভাবে মনোনিবেশ করতাম, (সাহ্রির সময়) শেষ হওয়ার আশঙ্কায় সেবকেরা খাবার প্রস্তুতিতে তাড়াহুড়ো করত।’ (বায়হাকি: ৪ / ১৭৭)
দান-সদকা করা
ইসলামে দান-সদকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজান মাসে দানের ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানে নিজেরা যেমন দান করতেন, অন্যকেও তেমন দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমি রমজান মাসে রোজাদারের অধিক দানশীলতা পছন্দ করি রাসুল (সা)-এর অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনের খাতিরে মানুষ সেদিকে (দানের দিকে) বেশি মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে।’ (লাতাইফুল মাআরিফ: ৩১৫)
ইমাম জাহাবি (রহ.) সিয়ার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমান (রহ.) রমজান মাসে প্রতিদিন সন্ধায় ৫০ জন লোককে ইফতার করাতেন এবং খাবার খাওয়াতেন। যখন ঈদের রাত আসত, তাদের সবাইকে নতুন কাপড় পরিধান করাতেন এবং প্রত্যেককে ১০০ দিরহাম উপঢৌকন হিসেবে দিতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৫ / ২৩৮)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন এবং কী কী আমল করতেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
কোরআন তিলাওয়াত
মহানবী (সা.) রমজান মাসে অনেক বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) রমজান মাসে হজরত জিবরিল (আ.)-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং জিবরিল (আ.) থেকেও পূর্ণ কোরআন শুনতেন।’ (বুখারি: ৬) মহানবী (সা.)-এর এই আদর্শের অনুগামী হয়ে সালফে সালেহীন তথা পরবর্তী যুগের আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও ইসলামি চিন্তাবিদেরাও রমজানে বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেন।
হাদিসের সাধনায় আজীবন নিমজ্জিত থাকা ইমাম বুখারিও (রহ.) রমজান এলে কোরআন তিলাওয়াতকে প্রধান ইবাদত বানিয়ে নিতেন। ইবনে সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি (রহ.) রমজানের দিনগুলোতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তারাবির পর (নামাজে) তিন রাতে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১২ / ৪৩৮)
ইমাম শাফিয়ি (রহ.)-এর নেশা ও পেশাই ছিল জ্ঞানচর্চা। এ কাজে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ; একনিষ্ঠ। ফিকহচর্চায় তুমুল ব্যস্ততার কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। সেই তুমুল ব্যস্ত মানুষটিও রমজান মাসে সবকিছু বাদ দিয়ে অসংখ্যবার কোরআন খতম করতেন। ইমাম রবি বলেন, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসে ৩০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন। আর রমজান মাসে নামাজের তিলাওয়াত ছাড়া ৬০ খতম কোরআন তিলাওয়াত করতেন।’ (সিফাতুস সফওয়াহ: ২ / ২৫৫)
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজান মাসের প্রধান ইবাদত দিনে রোজা রাখা এবং রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করা। অনেক আলিম এই নফল নামাজকে তারাবি হিসেবে চিহ্নিত করেন আবার অনেকে তারাবি ছাড়াও অতিরিক্ত নফল নামাজের কথা বলেন, তাঁরা একে কিয়ামুল লাইল বলে থাকেন। মোটকথা, পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানের রাতগুলো নামাজেই কাটিয়ে দিতেন।
নাফে (রহ.) বলেন, ‘প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) রমজান মাসে রাতে প্রথমে নিজের কক্ষে নফল নামাজ শুরু করতেন। যখন সব মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে যেত, তখন তিনি পানির একটা পাত্র নিয়ে মসজিদে চলে আসতেন। এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের আগপর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হতেন না।’ (বায়হাকি: ২ / ৪৯৪)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রহ.) বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি, ‘আমরা রমজান মাসে রাত জাগার প্রতি এত গভীরভাবে মনোনিবেশ করতাম, (সাহ্রির সময়) শেষ হওয়ার আশঙ্কায় সেবকেরা খাবার প্রস্তুতিতে তাড়াহুড়ো করত।’ (বায়হাকি: ৪ / ১৭৭)
দান-সদকা করা
ইসলামে দান-সদকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজান মাসে দানের ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। পূর্বসূরি আলিমগণ রমজানে নিজেরা যেমন দান করতেন, অন্যকেও তেমন দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘ইমাম শাফিয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমি রমজান মাসে রোজাদারের অধিক দানশীলতা পছন্দ করি রাসুল (সা)-এর অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনের খাতিরে মানুষ সেদিকে (দানের দিকে) বেশি মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে।’ (লাতাইফুল মাআরিফ: ৩১৫)
ইমাম জাহাবি (রহ.) সিয়ার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমান (রহ.) রমজান মাসে প্রতিদিন সন্ধায় ৫০ জন লোককে ইফতার করাতেন এবং খাবার খাওয়াতেন। যখন ঈদের রাত আসত, তাদের সবাইকে নতুন কাপড় পরিধান করাতেন এবং প্রত্যেককে ১০০ দিরহাম উপঢৌকন হিসেবে দিতেন।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৫ / ২৩৮)
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ

‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৯ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে
১৫ মার্চ ২০২৪
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে
১৫ মার্চ ২০২৪
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে
১৫ মার্চ ২০২৪
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৯ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস মাহে রমজান। এই মাসে সবাই একটি গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোরআন, হাদিস, পূর্বসূরি ইসলামি পণ্ডিত ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁরাই আমাদের জীবনাদর্শ। তাঁরা রমজান মাসকে
১৫ মার্চ ২০২৪
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৯ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে