ইসলাম ডেস্ক
দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের ১৭ তারিখ সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। মক্কার কাফির ও মদিনায় বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত প্রথম বড় যুদ্ধ এটি। এ যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। মহান আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানেরা বিজয়ী হন। ১৪ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং ৭০ জন কাফির মারা যায়। ৭০ জন কাফিরকে বন্দী করে মদিনায় নিয়ে আসা হয়। বদরের যুদ্ধে বন্দীদের সঙ্গে মহানবী (সা.) ও সাহাবিদের আচরণ ছিল অত্যন্ত মানবিক।
বন্দীদের মদিনায় আনার পর মহানবী (সা.) সাহাবিদের মধ্যে তাদের ভাগ করে দেন। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার আদেশ দেন। সাহাবিগণ মহানবী (সা.)-এর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। নিজেরা তুলনামূলক কম দামি খাবার খেয়ে দামিটা বন্দীদের খাওয়ালেন। সাহাবিরা আরবের সাধারণ খাদ্য খেজুর খেলেন আর বন্দীদের মূল্যবান রুটি খাওয়ালেন। (ইবনে হিশাম: ১ / ৬৪৪-৪৫)
এরপর মহানবী (সা.) বন্দীদের ব্যাপারে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। আবু বকর (রা.) মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে বললেন। তবে ওমর (রা.) তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করে বললেন, সবাই যার যার আত্মীয়কে হত্যা করুক। মহানবী (সা.) আবু বকর (রা.)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন এবং অধিকাংশ বন্দীকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলেন। বন্দীদের মুক্তিপণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৪ হাজার দিরহাম।
মহানবী (সা.)-এর জামাই আবুল আসসহ কয়েকজন বন্দীকে মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্ত করে দেওয়া হয়। মুক্তিপণ দিতে অক্ষম এমন কয়েকজনকে মদিনার মুসলমানদের ১০ জন সন্তানকে পড়ালেখা শেখানোর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার চুক্তি করেন। ভালোভাবে পড়ালেখা শেখানো পর্যন্ত তাদের মদিনায় থাকতে হবে—এই শর্তে। মক্কায় বন্দী থাকা সাহাবি সাআদ ইবনে নুমানকে (রা.) মুক্তি দেওয়ার শর্তে আবু সুফইয়ানের ছেলে আমরকে মুক্ত করা হয়।
দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের ১৭ তারিখ সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। মক্কার কাফির ও মদিনায় বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত প্রথম বড় যুদ্ধ এটি। এ যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। মহান আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানেরা বিজয়ী হন। ১৪ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং ৭০ জন কাফির মারা যায়। ৭০ জন কাফিরকে বন্দী করে মদিনায় নিয়ে আসা হয়। বদরের যুদ্ধে বন্দীদের সঙ্গে মহানবী (সা.) ও সাহাবিদের আচরণ ছিল অত্যন্ত মানবিক।
বন্দীদের মদিনায় আনার পর মহানবী (সা.) সাহাবিদের মধ্যে তাদের ভাগ করে দেন। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার আদেশ দেন। সাহাবিগণ মহানবী (সা.)-এর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। নিজেরা তুলনামূলক কম দামি খাবার খেয়ে দামিটা বন্দীদের খাওয়ালেন। সাহাবিরা আরবের সাধারণ খাদ্য খেজুর খেলেন আর বন্দীদের মূল্যবান রুটি খাওয়ালেন। (ইবনে হিশাম: ১ / ৬৪৪-৪৫)
এরপর মহানবী (সা.) বন্দীদের ব্যাপারে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। আবু বকর (রা.) মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে বললেন। তবে ওমর (রা.) তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করে বললেন, সবাই যার যার আত্মীয়কে হত্যা করুক। মহানবী (সা.) আবু বকর (রা.)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন এবং অধিকাংশ বন্দীকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলেন। বন্দীদের মুক্তিপণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৪ হাজার দিরহাম।
মহানবী (সা.)-এর জামাই আবুল আসসহ কয়েকজন বন্দীকে মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্ত করে দেওয়া হয়। মুক্তিপণ দিতে অক্ষম এমন কয়েকজনকে মদিনার মুসলমানদের ১০ জন সন্তানকে পড়ালেখা শেখানোর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার চুক্তি করেন। ভালোভাবে পড়ালেখা শেখানো পর্যন্ত তাদের মদিনায় থাকতে হবে—এই শর্তে। মক্কায় বন্দী থাকা সাহাবি সাআদ ইবনে নুমানকে (রা.) মুক্তি দেওয়ার শর্তে আবু সুফইয়ানের ছেলে আমরকে মুক্ত করা হয়।
মহান আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে বিপদ-আপদ অন্যতম এক মাধ্যম। দুঃখ-কষ্ট, রোগ-বালাই, অভাব-অনটন, বিরহ-টেনশন বা প্রিয়জনের বিয়োগ—এসবই হতে পারে একেকটি পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন, ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি...
৭ ঘণ্টা আগেতওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
১ দিন আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
২ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৩ দিন আগে