ইসলাম ডেস্ক
মহানবী (সা.) মৃত্যুর আগমুহূর্তে যে কয়েকটি উপদেশ দিয়েছেন, তার একটি হলো, তোমরা অধীনদের ব্যাপারে সাবধানে থেকো। অর্থাৎ, তোমাদের অধীনে যারা দাস, শ্রমিক কিংবা চাকরিজীবী হিসেবে কাজ করে, তাদের অধিকারের ব্যাপারে সব সময় সচেতন থাকবে। তাদের প্রতি কোনো প্রকারের জুলুম করবে না।
সহিহ বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন, তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
সহিহ মুসলিমে বিবৃত হয়েছে, সাহাবি আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ ক্রীতদাসকে মুক্ত করে দিলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, শ্রমিক কোনো অপরাধ করলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
মহানবী (সা.) মৃত্যুর আগমুহূর্তে যে কয়েকটি উপদেশ দিয়েছেন, তার একটি হলো, তোমরা অধীনদের ব্যাপারে সাবধানে থেকো। অর্থাৎ, তোমাদের অধীনে যারা দাস, শ্রমিক কিংবা চাকরিজীবী হিসেবে কাজ করে, তাদের অধিকারের ব্যাপারে সব সময় সচেতন থাকবে। তাদের প্রতি কোনো প্রকারের জুলুম করবে না।
সহিহ বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন, তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
সহিহ মুসলিমে বিবৃত হয়েছে, সাহাবি আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ ক্রীতদাসকে মুক্ত করে দিলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, শ্রমিক কোনো অপরাধ করলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
৩ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রিয় নবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর সাহাবি-যুগ ও তাবেয়ি-যুগেও ব্যাপক আকারে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু হয়। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিকসহ অনেক বড় বড় ইমামরা এ কাজ করেন। তবে সর্বাগ্রে যিনি নবীজির হাদিসসমূহকে বিশুদ্ধ সূত্রে সংকলন করার বিশাল
২১ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.)-এর হাদিসে এমন তিনজন শিশুর কথা উল্লেখ রয়েছে, যারা শৈশবে দোলনায় থাকা অবস্থায় কথা বলেছিল। প্রথমজন আল্লাহর নবী হজরত ইসা (আ.), দ্বিতীয়জন জুরাইজ নামক এক ব্যক্তি, আর তৃতীয়জন ছিল নাম না জানা এক শিশু। সেই শিশুর মুখে বোল ফোটার আগেই মায়ের সঙ্গে তার কথোপকথন হয়েছিল এবং সে তার মায়ের বিরোধিতা করেছিল। র
১ দিন আগে