বিশেষ সংখ্যা

স্টিভেন পিংকার তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘এনলাইটমেন্ট টুডে’-তে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বলতে চেয়েছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে মানুষ ভালো আছে। মানুষ ভালো আছে যুক্তি, বিজ্ঞান, মানবতাবোধ ও প্রগতির অগ্রসরতায়। এই অগ্রসরতা অব্যাহত থাকলে মানুষের ভবিষ্যৎ আরও সমুজ্জ্বল। পিংকার দেখিয়েছেন, ২০০ বছর আগেও পৃথিবীর ৯০

প্রতিটি সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। এসব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যত শক্তিশালী হয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিবাচক পরিবর্তন তত দ্রুত ঘটে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আশাবাদের যথেষ্ট কারণ আছে এবং এ

ভারতে ২৮টি রাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে আয়তন ও জনসংখ্যার সঙ্গে জিডিপির তুলনা করলে সর্বভারতীয় পটভূমিতে আসামের অবস্থান সহজে বোঝা যায়। ভারতের জনসংখ্যায় আসামের হিস্যা (২০১১-এর হিসাবে) ২.৫৮ শতাংশ। আয়তনে হিস্যা ২.৩৯ শতাংশ। কিন্তু জিডিপিতে হিস্যা মাত্র ১.৭০ শতাংশ। আয়তন ও জনসংখ্যার সঙ্গে জিডিপির

প্রথমে একটা ঘটনা বলে নিই। বাংলাদেশের ব্যাংকঋণের বর্তমান সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে গেলেই এ ঘটনার কথা মনে আসে। এক যুবক ড্রাইভিং লাইসেন্স নেবে। একটা ভালো ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হয়ে কয়েক মাস খুব নিষ্ঠার সঙ্গে শিখে, ভালোভাবে প্র্যাকটিস করে সে আবেদন করল। যথাসময়ে এবং নিয়ম মেনে সে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। কিন্তু পর

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর অতি দ্রুত বাংলাদেশের সমাজকাঠামো বদলে যেতে থাকে। গ্রামীণ সমাজ অবশ্য বেশ কিছুদিন অপরিবর্তনীয় থেকে যায়। গ্রামীণ অভিজাত ধনীরা ক্রমে শহরে অভিবাসী হয়, গ্রামের সম্পদ নিজ দখলে রেখেই। গ্রামে দারিদ্র্য প্রকটভাবেই বিদ্যমান থাকে। পরিবর্তন আসতে শুরু করে

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপিত হলো দুই বছর আগে। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম বিজয়ের লাল সূর্য। আমাদের স্বাধীনতা শুধু একটি ভূখণ্ডের নয়, নয় একটি মানবগোষ্ঠীর; সে বিজয় একটি চেতনার, একটি সংগ্রামের, একটি ইতিহাসের।

দেশে যথেষ্ট অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে, গণতন্ত্র কিছুটা কম হলেও ক্ষতি নেই—এমন একটি ধারণার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। এই ধারণার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তারা চীনের দৃষ্টান্তও হাজির করছে।

ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ চাই, সে বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে বারো হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশে আমার যাপিত জীবন, সাম্প্রতিক ভৌগোলিক অবস্থান, পরিপার্শ্ব এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতাটা তুলে ধরতে হবে।

শহীদ খোকন পার্ক থেকে গালাপট্টির মোড় পর্যন্ত যে রাস্তা, বগুড়া শহরে সেটি খাতা-কলম ও সাইনবোর্ডে পরিচিত নবাব বাজার রোড হিসেবে। মূলত এ রাস্তার ব্যাপক পরিচিতি হোটেলপট্টি নামে। এই হোটেলপট্টির একটি হোটেলের নাম কাফেলা। হোটেলটির মালিক মো. রাজু মিয়া জানালেন, এর আগের নাম ছিল জশমতিয়া হোটেল। 

কি ধান, কি মাছ, কি ঋতু, কি গাছ, কি মানুষ, কি ভাষা, কি উৎসব এমন বৈচিত্র্য বাংলাদেশের মতো দুনিয়ায় আর কোথাও আছে! নানান রঙের জীবন আর নানান রঙের ঋতু। প্রতিটি ঋতুতেই ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে প্রকৃতি। প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন সাজে মানুষও সাজায়

তখনো দেশে সাদা-কালো টিভির রাজত্ব। কারও কারও বাসায় অবশ্য রঙিন টিভি ঠাঁই করে নিয়েছিল। সবার ঘরে আবার টিভি ছিল না। যাদের বাসায় ছিল, তাদের বেশির ভাগের বাড়ির ছাদে বা চালের ওপর ঝুলত অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ঢাকনা। টিভির অ্যানটেনা

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা পুষে রাখে মানুষ। কেউ কেউ সেই ভুল ধারণাগুলো অন্যের মনে পোক্ত করার জন্য ইন্ধন জোগায়। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একদিকে হয় ব্যক্তিপূজা, অন্যদিকে তাঁকে নিয়ে চলতে থাকে বিষোদ্‌গার।

১৯৭১ সালে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গিয়েছিল ১৯ নভেম্বর। ২০ নভেম্বর ছিল ঈদুল ফিতর। যুদ্ধের সেই ভয়াবহতার মধ্যে কেমন ছিল সেই ঈদ? মুক্তির গান যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, শিল্পীরা ট্রাকে করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে গান করতেন। তাঁদের সাহস দিতেন।  মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের দেশাত্মবোধক ও সংগ্রামী গান শুনিয

নতুন প্রজন্মের অনেকেই নাকি পুরোনো দিনের গান নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। আবার পুরোনো দিনের মানুষ যাঁরা, যাঁরা অগ্রজ, তাঁরা নাকি আনন্দ পান না এ সময়ের গানে। আসলেই কি তাই? একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নূতন আর হালের নায়ক সাইমন সাদিক শুনেছেন একসময়ের জনপ্রিয় গান ‘তুমি আজ কত দূরে’ আর বর্তমানের জনপ্রিয় গান ‘স

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার লেখা ‘গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে’ বইটি আমাদের যুদ্ধ-সাহিত্যে এক মাইলফলক। মুক্তিযুদ্ধটা যে শুধু সেনাসদস্যদের বীরোচিত সংগ্রামের ইতিহাস নয়; বরং এই যুদ্ধ মূলত জনযুদ্ধ, সেটা আপনার বইয়ে বিবৃত হয়েছে নিষ্ঠার

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সত্তরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখার মতলবে ২৫ মার্চ রাতে সেনা অভিযান চালিয়েছিলেন এবং এর জন্য বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

গল্পের প্রয়োজনে সৃষ্টি করা এই ভাষার নাম ক্লিনগন। যা শিখতে শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এমনকি হয়েছে বর্ণান্তকরণ এবং অনুবাদও। সাহিত্য এবং সিনেমার প্রয়োজনে নির্মিত এমন কয়েকটি কৃত্রিম ভাষা নিয়ে চলুন জানা যাক—