পাহাড় ধস

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ইয়াসিন আরাফাত নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী আরও শতাধিক পরিবারকে সরানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর মতিঝরনা ও বাটালি হিল পাহাড় থেকে এ পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।

পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী দুটি সংগঠন। অন্যদিকে কাউন্সিলর ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে একই দিন তাঁর পক্ষে মানববন্ধন করে আরেকটি পক্ষ। 

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটার সময় ধসে পড়ে খোকা (৪৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে আকবর শাহ বেলতলি ঘোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

‘আমার ছেলে কাজে যাইতে চাইছিল না, আমি জোর করে তাকে গাড়ি ভাড়া করে পাঠিয়েছি। সকালে এক মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) খবর দেয় দুর্ঘটনার। ছেলেকে কাজে পাঠিয়ে আমার বুক আমিই খালি করলাম।’ কথাগুলো বলেন কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে নিহত রোহিঙ্গা শ্রমিক ছৈয়দ আকবরের (২০) মা রাবেয়া বসরী। 

কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে। এই পরিবারে এখন বেঁচে আছেন নিহত আজিজুর রহমানের দুই ছেলে মনছুর আলম ও রমজান আলী এবং তার দুই নাতি। মা-বাবা-স্ত্রীকে হারিয়ে হারিয়ে শোকে পাথর হয়েছেন রমজান আলী। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা রমজান আলী। এদিকে মাকে হারানোর কথা এখনো বুঝে

কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ার ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের শুকনা নন্দারাম এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাজেক ও খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা দীঘিনালা সড়কের ১৭ কিলোমিটার অজলচূগ বনবিহার এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতকাল রোববার রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। 

 চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সারা বছর কোথাও না-কোথায় পাহাড় কাটা হয়। বছরের পর বছর ধরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। উপজেলার রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য ৫ ইউনিয়নের পাহাড় নির্বিচারে সাবাড়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাহাড় ধস অব্যাহত থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে যেতে মাইকিং করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো আইইআর ভবনে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। 

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে চারজনের মৃত্যুর পর পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির ১ নম্বর ঝিল এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলমান টানা বর্ষণে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে দ্রুত চলে আসতে নির্দেশ দিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। 

শুক্রবার মধ্যরাত। শাহীনুর বেগম তাঁর সাত মাস বয়সী যমজ শিশুকে বুকে নিয়ে তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ পাহাড়ধসে ঘুম ভাঙে নানা ফয়জুল হকের। শাহীনুরকে ডাকতে ডাকতেই বাসায় আঁচড়ে পড়ে মাটির স্তূপ। মা শাহীনুর বিপদ বুঝতে পেরে বুকের নিচে রাখেন ওই যমজ শিশুকে। পিঠের ওপর বাসার লোহার লম্বা পাত পড়েছে, টিন ভেঙে পড়েছে। এমনকি একপ

আকবরশাহ থানা এলাকায় পাহাড় ধসের পৃথক ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় আরও অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে...

২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটির কাপ্তাইবাসীর জন্য ছিল বিভীষিকাময়। এর আগের দিন (১২ জুন) মধ্যরাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। টানা বর্ষণে তখন ঘরবন্দী মানুষ। অতিবৃষ্টিতে সেদিন কাপ্তাইয়ের সব সড়কপথ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। সেদিনের পাহাড়ধসে কাপ্তাইয়ে প্রাণ হারায় মোট ১৮ জন। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় শত শত এ