ধর্ম ও জীবন

প্রত্যেক মুসলমান বিশ্বাস করে, সবার শেষ ঠিকানা কবর। সাড়ে তিন হাত মাটির বাড়িই আসল গন্তব্য। কার কখন ডাক আসে বলা যায় না। তাই সব সময় কবরের প্রস্তুতি নিয়ে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো ব্যক্তির ইন্তেকাল হলে দ্রুত তার কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মরদেহের (দাফন

মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। ইসলামের বিশ্বাসমতে, মৃত্যুর পরে রয়েছে এক অনন্ত জীবন। এই জীবন রাঙাতে হলে প্রয়োজন পরকালে বিশ্বাস এবং সেই জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। মহান আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করতে পারলেই পরকাল সাফল্যমণ্ডিত হবে। তাই মৃত্যুর আগেই মানুষের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা উচিত। মৃত্যু যাদের জন্য

নামাজে ইমামতি করার কিছু প্রাথমিক শর্ত রয়েছে, কিছু যোগ্যতার মাপকাঠি রয়েছে। কিছু কারণে ইমামতি করা মাকরুহ হয়ে যায়। প্রাথমিক শর্তগুলো পাওয়া গেলে যেকোনো ব্যক্তির জন্য নামাজে ইমামতি করা বৈধ। অধিকতর যোগ্যতার মাপকাঠিগুলো উত্তম হওয়ার আলামত। মাকরুহ মানে, এসব পাওয়া গেলে নামাজে ইমামতি না করাই উত্তম।

আমরা যারা জন্মগ্রহণ করেছি, পৃথিবীর আলো-বাতাস পেয়েছি; আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘প্রতিটি জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আনকাবুত: ৫৭)

ভালো ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা একটি মহৎ গুণ। অপরের সহযোগিতা করা মুমিনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। অপরকে সাহায্য করলে মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করা যায়। সৎ কাজের সহযোগী সৎ কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করে।

পানি মৌলিকভাবে পবিত্র ও পবিত্রকারী। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত পানি নাপাক হওয়ার প্রমাণ না পাওয়া যাবে, ততক্ষণ তা পবিত্র বলে গণ্য হবে। যদি পানির সঙ্গে কোনো পবিত্র জিনিস মেশার ফলে পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ বদলে যায়। যেমন বন্যার পানির সঙ্গে বালু মিশে গেল, অথবা জাফরান বা সাবান পড়ে পানিতে

প্রকৃত অভাবীদের খুঁজে বের করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তবে অসম্ভব নয়। আমরা যাদের পথেঘাটে ভিক্ষা করতে বা নিজেদের অভাবী হিসেবে প্রকাশ করতে দেখি, তারা বাস্তবজীবনে অভাবী নাও হতে পারে। তাই বাহ্যিক অবস্থা দেখে অভাবী ভাবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে প্রকৃত অভাবীকে চিহ্নিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মানুষের কাছে হাত প

জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র জন্মতিথি। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্‌যাপন করে থাকে

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যক্তি-অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। ব্যক্তির এই অধিকার ইসলাম সর্বতোভাবে স্বীকার করে। ভিন্ন কিছু চিন্তা করে তা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং নিজস্ব অনুভব-অনুভূতি ও মতামত প্রকাশে গুরুত্বারোপ করে ইসলাম। তবে তা যেন অন্যের প্রতি জুলুম হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল র

নামাজে কাতার সাজানো বা বিন্যাস যথাযথভাবে হওয়া জরুরি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা হলো—

ইসলামের বিধান অনুযায়ী অজু বা পবিত্রতা অর্জন হলো ঈমানের অর্ধেক। অজুর মাধ্যমে যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি অর্জন হয় আন্তরিক পবিত্রতাও। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করা নবীজির সুন্নত। হাদিসে অজুর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

তরুণ-যুবকদের শক্তি, কর্মক্ষমতা ও উদ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহারে গুরুত্ব দেয় ইসলাম। কারণ সুস্থ-সবল তরুণ-যুবারা যেমন পারে রাত জেগে দীর্ঘ সময় ইবাদতে মগ্ন থাকতে, তেমনি পারে দেশ, জাতি ও সমাজের সেবায় নিজেকে পূর্ণ সঁপে দিতে। মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের মানস তরুণেরাই সাহসের সঙ্গে লালন করতে জানে।

‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ নামের দেয়াললিখনটি করেছেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী উসাইদ মুহাম্মাদ, সঙ্গে ছিলেন মুহাম্মাদ ওমর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো এক জরাজীর্ণ দেয়ালে উসাইদরা এটি উৎকীর্ণ করেন। ওপরে শেওলা ধরা এবং নিচে পলেস্তারা খসে পড়া এই দেয়ালে উসাইদদের রংতুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার বিজয়। লাল দালান ভেদ

রাসুলুল্লাহ (সা.) শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের মূর্ত প্রতীক ছিলেন। তিনি মানুষকে সরল, সঠিক ও শান্তির পথে পরিচালিত করেছেন, যেন তারা ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি লাভ করে সফল হতে পারে। এ কারণেই তাঁকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাঁর জীবনজুড়ে রয়েছে নানামুখী শান্তির ভাবনা ও কর্মপদ্ধতি।

পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই তো ফেরাউনের ধ্বংসের খবরের সঙ্গে ইনসাফ

ইসলাম কারাবন্দীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলে। বন্দীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধে এবং কারাগারে তাদের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে ইসলামের নির্দেশনা সংক্ষেপে

আল্লাহ তাআলার কাছে জুলুম এক অমার্জনীয় অপরাধ। আর এই অপরাধের শাস্তি ও পরিণতি সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে কয়েকটি সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হবে।’ (বুখারি: ২৪৪৭)