কয়েক ছত্র

বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন হিরো আলম। হিরো আলম নামটাই এই যে এর আর কোনো বিশেষণ লাগে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে নেচে-গেয়ে সিনেমা করে বউ পিটিয়ে তিনি হিরো। হিরো আলম নামটাই খ্যাত। তিনি কী কেন, এসবের বিশদ বিবরণ লাগে না।

সম্প্রতি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমাটি দেখা হলো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রেক্ষাগৃহে নয়, ঢাকার পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রান্তরে। মুহাম্মদ কাইয়ুম প্রযোজিত, রচিত ও পরিচালিত সিনেমাটি বাংলাদেশে প্রথম মুক্তি পেয়েছে গত ৪ নভেম্বর। এটি পরিচালকের

ইনস্ট্রাকশন, রেসিপি, গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনা যা-ই বলি না কেন, এগুলো মূলত আমরা ব্যবহার করি জানা, শেখা, অনুকরণ বা অনুসরণ করার জন্য। যেমন—একটি কম্পিউটার কেনা হলো। এখন সেটাকে কীভাবে সেট করতে হবে, তার জন্য রয়েছে ইনস্ট্রাকশন। একটি চমৎকার ইতালিয়ান খাবার

কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে দুটো প্যারাগ্রাফ ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগে অনেক লেখালেখি হয়েছে। নকল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি নতুন নয়। এর আগেও শুনেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষকের অন্যের গবেষণা কপি করার কথা। শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্

‘পাঠান’ ছবি দিয়ে হইহই রইরই করে ফিরে এসেছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। চার বছর পর ফিরেছেন হলে। একের পর এক রেকর্ড করছে পাঠান। ছুটির দিনে মুক্তি পায়নি, তবু প্রথম দিনে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড, ভারতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫০০ হলে মুক্তি পাওয়ার রেকর্ড।

সেদিন অফিসে যাওয়ার আগে ধানমন্ডির দিকে যাওয়া হয়েছিল একটা জরুরি কাজে। সেখান থেকে অটোরিকশায় (যেটাকে আমরা সাধারণত সিএনজি বলি) করে খানিকটা বেশি ভাড়া দিয়েই অফিসের উদ্দেশে রওনা হই। গন্তব্য বনশ্রী। জানা কথা, ফার্মগেটের ট্রাফিক জ্যামে পড়ব।

নিজের দেহের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি ও চোখের কর্নিয়া মৃত্যুর পর দান করে মানবিকতার এক বড় নজির রেখে গেল মাত্র ২০ বছরের সারা। পৃথিবীকে জানিয়ে গেল, ঠিক কীভাবে মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে হয়। এই যে মহৎ উদ্যোগকে সফল করা

আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত বোর্ড পরীক্ষা, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সব মিলিয়ে ছয়খানা কাগজ পেয়েছিলাম। অর্থাৎ আমার পরিচয়মূলক কিছু সনদ আরকি, যার দ্বারা আমার পরিচয় বহন করা হবে। তাই যদি কিছু ভুল হয়ে যায় তাহলে চাকরি, পাসপোর্ট বা পড়াশোনা কোনো ক্ষেত্রেই আমার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। কিন্তু এই ছয়টি সনদে এখন পর্

সুইডেনে ‘এ’ থেকে ‘ই’ প্রাইমারি স্কুলের পাসের গ্রেড। ‘এ’ সর্বোচ্চ পাসের হার আর ‘ই’ সর্বনিম্ন। ‘এফ’ যারা পায়, তারা ফেলের দলে পড়ে। হাইস্কুলে পাসের গ্রেড এমভিজি (MVG), ভিজি (VG) ও জি (G)।

২০১০ সালে ঐতিহ্য-গোল্লাছুট গল্পলেখা প্রতিযোগিতায় ‘গ’ গ্রুপে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২০ হাজার টাকার বই জিতেছিল আমার ছোট বোন। সেই বইগুলো হয়তো পুরস্কার না পেলে কখনোই কেনা হতো না, পড়া হতো না, জানা হতো না নাম। ঢাউস সাইজ আর দামি সব বইয়ের মধ্যে ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচনাবলী, শামসুর রাহমানসমগ্র, বেহেস্তি জ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনো ক্লাসে গিয়ে যদি জানতে চাওয়া হয়, ‘তোমরা কী হতে চাও,’ বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বলবে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। এর কারণও খুব যথার্থ...

শিশু তার জন্মের শুরুতেই মাকে জানিয়ে দেয় তার চাওয়া-পাওয়ার সংবাদ। সে তার ভূপৃষ্ঠে আগমনে এমনভাবে তৈরি হয়ে আসে যে সে আকারে-ইঙ্গিতে বা সংকেতের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেয় তার কী দরকার। ভূপৃষ্ঠে জন্মের পরপরই কিন্তু একটি শিশু

একটি ডিম বাইরে শক্ত, ভেতরে তরল। একটি আলু বাইরে এবং ভেতরে একই অবস্থা সাধারণ পরিবেশে, কিন্তু ফুটন্ত গরম পানিতে ডিম সেদ্ধ হয়ে হয় শক্ত, আর আলু হয় নরম। আবার সেই একই ডিম বাইরের চাপে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়, অথচ ভেতরের

বাংলাদেশে কয়েক বছরের মধ্যে নতুন এক ব্যবসায়িক শ্রেণির অপতৎপরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। যাদের ক্ষমতা অনেক বিস্তৃত। রাষ্ট্র ও সরকারও যেন তাদের কাছে অসহায়। বিষয়টি আসলে সে রকম নয়। সে বিষয়ে পরে আসছি।

কয়েক দিন ধরে বুঁদ হয়ে আছি জি লি জিয়াংয়ের ‘লোটাস অ্যান্ড ফেদার’ গল্পটির ভেতর। ফেদার নামের একটি সারস ও লোটাস নামের একটি ছোট মেয়ের গল্প। লোটাস তার দাদার সঙ্গে বাস করে প্রাণবন্ত এক হ্রদের ধারে ছায়াঘেরা এক গ্রামে। যেখানে মৃদু বাতাসে হ্রদের জলে...

পত্রিকা বা ফেসবুক নিউজফিড যেখানেই দেখা হোক না কেন, খবরের যে শিরোনামগুলো দেখা যায় তার বেশির ভাগই কাম্য নয়। আর স্বভাবতই আমাদের খারাপ খবরগুলো বেশি আকর্ষণ করে। আমাদের মস্তিষ্কে খারাপ খবরগুলো যতটা জায়গা দখল করে নিতে পারে, ভালোগুলো ততটা পারে না। যেমন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে মানুষ যতটা আলোচনা-সমালোচন

বাজার করতে গিয়ে দেখি সুইডিশ দেশি মুরগি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। তা-ও আবার অরগানিক, বিশাল ব্যাপার। ঘটনাটি জানতে হয়। তাহলে এত বছর কী মুরগি খেলাম? মুরগির গায়ে তার জন্ম থেকে শুরু করে কবে, কোথায়, কখন কী খেয়েছে, কী করেছে, বলতে গেলে সবই তো লেখা!