‘আব্বুর পছন্দ হালকা ঘ্রাণের আতর আর ইরানি বর্ডার টুপি। এ দুটো কেনা হলেই আমার ঈদ শপিং শেষ। এরপর আজ রাতেই ঢাকা ছাড়ব।’ বলছিলেন রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় আতর-টুপি কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মুমতাহিনা তামান্না। তিনি বলেন, নিজের জন্য কিছুই কেনেননি এবার। তবে টিউশনি করে...
কম্বোগুলোতে বাবার সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের পাঞ্জাবি, মেয়ের সঙ্গে মায়ের কুর্তি কিংবা পরিবারের সবার একই রকম পোশাক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফ্যাশন হাউসগুলো এমন তথ্যই জানাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি ‘মেলানো পোশাক’ বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালোই। যদিও এবারের ঈদের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনেক ফ্যাশন হাউস। ত
মসলিন, জামদানি, তাঁত, বুটিক, বাটিক, ব্লক, সুতি কিংবা সিল্ক—সব ধরনের শাড়ির সম্মিলনস্থল হিসেবে বেইলি রোডের পরিচিতি অনেক দিনের। যাঁরা শাড়ি পরতে এবং কিনতে ভালোবাসেন, বেইলি রোডের শাড়ির দোকানগুলো তাঁদের কাছে বেশ প্রিয়। দেশের কারিগরদের তাঁতে বোনা হালকা শাড়ির পাশাপাশি ভারতীয় জমকালো শাড়িও মেলে এসব দোকানে।
চট্টগ্রামে থান কাপড়ের শত বছরের পুরোনো মার্কেট টেরিবাজার। এটি কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে বিখ্যাত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে থান কাপড়ের সঙ্গে বাজারটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ‘ওয়ান-স্টপ শপিং মল’।
‘যেই শার্টটা ৩০০ টাকায় কিনলাম, এইটা শোরুমে গেলে হাজারের নিচে পাইতাম না। শার্টের গায়ে তো ফুটপাত বা শোরুম লেখা নাই। তাইলে বেশি দাম দিয়া শোরুম হাঁকানোর দরকার কী?’ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে গতকাল শুক্রবার ঈদের কেনাকাটা করতে আসা তরুণ আসাদুর রহমান এভাবেই জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
বাঙালি মোটিফ, ভিন্ন ধরনের নকশা, ব্যতিক্রমী কাপড় আর সাশ্রয়ী দামে আজিজ সুপার মার্কেটের কাপড়ের ব্র্যান্ডগুলো হয়ে উঠেছিল বেশ পরিচিত। ঈদ, বৈশাখ, বর্ষা, বসন্ত উৎসবকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট নকশা করা কাপড়ের খোঁজে এসব ব্র্যান্ডে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যেত। কিন্তু এবার ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতাদের সেই আগ্রহ খুব একটা নেই।
পবিত্র রমজান মাসে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা।
‘কয়েক বছর আগেও ঈদবাজারে সবাই জমকালো কাপড় খুঁজত। কিন্তু আজকাল দেখতেছি, মানুষ হালকা কাজের আরামদায়ক কাপড় বেশি কিনে।’ বলছিলেন রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের জেসমিন শাড়িজ-এর কর্ণধার জাকির হোসেন। একই রকম কথা জানান রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের রুচি এখন অনেক বদলে গেছে।
‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
মা-মেয়ের দুই সদস্যের পরিবারে মাছ-মাংস সবসময় খাওয়া হয় না। কিন্তু ঈদের দিন বাসায় মেহমান আসায় এসব না হলে চলেও না। তাই মেয়ে তিশাকে নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসেছিলেন শাহনাজ আক্তার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ঈদের দিন দরকার হয়, এমন প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। সেমাই, মাছ-মাংস আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিন
সামনে ঈদ। কেনাকাটা সারতে প্রতিদিন ঘরের বাইরে যাচ্ছে রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ। ঘরমুখী মানুষেরা ছুটছে রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস কাউন্টারের দিকে। এতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে সড়কে। গাড়ির হর্নে বেড়েছে শব্দদূষণ।
রংপুরে ঈদের বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী নৈশকোচ ও ব্যাটারিচালিত অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও আটজন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
ঈদের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এই উৎসব ঘিরে পোশাক কেনাকাটা জমে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর মার্কেটগুলোতে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, দুয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা আরও বাড়বে। তবে এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
লাল, সাদা আর জলপাইরঙা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাটির গয়না খুঁজছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মেহনাজ করিম। কিন্তু বিভিন্ন ধাতব অলংকারের ভিড়ে মাটির গয়না কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। অথচ ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া ভাগনির আবদার—মাটির গয়নাই লাগবে।
নীলফামারীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সেই সঙ্গে ফুটপাতের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। কেনাকাটায় তুলনামূলকভাবে নারী ক্রেতাদের সমাগম বেশি লক্ষ করা গেছে।
রোজা সবে অর্ধেক হলো। ঈদের কেনাকাটার সময় তাই এখনো যা আছে, কম না। তবে স্বাধীনতা দিবসে গতকাল মঙ্গলবার ছিল বেশির ভাগ কর্মজীবী মানুষের ছুটি। এই অবসরে ঈদের কেনাকাটাটা আরও একটু এগিয়ে রাখতে শপিং মল-বিপণিবিতানে ঘুরেছেন অনেকেই।
ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে অনেক বিনিয়োগকারীই পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। এমন পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মুনাফা দূরের কথা, ঈদের আগে শেয়ার বিক্রি করে মূল পুঁজি উত্তোলন করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে দ