নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় আসা মা-মেয়ের কথোপকথন চলছিল এভাবেই। ঈদের এখনো বাকি তিন সপ্তাহ। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে জমতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা। এ সময় বাজারে আসা অনেক ক্রেতারই মনোভাব তাসলিমা আক্তারের মতো। বাজার ঘুরে আবার কিন্তু এমনও দেখা গেল, কারও কারও কেনাকাটা শেষের পথে!
আজকের পত্রিকাকে তাসলিমা আক্তার জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তাঁরা। মেয়ের জন্য কিনবেন ঘারারা। কলেজপড়ুয়া ছেলের জন্য আফগান পাঞ্জাবি; শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবরের জন্যও ঈদের পোশাক কিনবেন। শুধু স্বামী আর তাঁর নিজের জন্যই কেনা হবে না কিছু। সাধ আর সাধ্যের হিসাব মেলাতে কেনাকাটার তালিকা থেকে নিজেদের নাম দুটো বাদ দিয়েছেন এই দম্পতি। বাজেটের মধ্যে বাজার সারতে রমজানের শুরুর দিকেই মার্কেটে এসেছেন। যাতে কম ভিড়ে সময় নিয়ে আগে দেখেশুনে দাম যাচাই করা যায়।
শপিং মলে ক্রেতা আর বিক্রেতা—দুপক্ষই জানাল, কয়েক বছর ধরে ঈদের কেনাকাটার ধরন কিছুটা বদলেছে। রাস্তার যানজট, মার্কেটের ঠাসাঠাসি ভিড় এবং দরজির দোকানের বাড়তি মজুরি এড়াতে অনেকে কার্যত রমজান শুরু হতে না হতেই শেষ করছেন ঈদের কেনাকাটার মূল পর্ব।
নিউমার্কেটে ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি কিনতে আসা তাসনুভা ইয়াসমিন বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রিপিস আরও আগেই কেনা শেষ। টেইলারে আছে কিছু। ছোটখাটো কিছু জিনিস কেনা শুধু বাকি। সেগুলোও দু-এক দিনে শেষ করে ফেলব।’
চাঁদনী চকের আল্লাহর দান ফ্যাব্রিকসের কর্মী রায়হান মিয়া বলেন, ‘এখন ঈদের কেনাকাটা শুরু হয় শবে বরাতের পর থিকাই। থান কাপড় বা আনস্টিচ থ্রিপিস যাঁরা কেনেন, তাঁদের দরজির কাছে বানাইতে দিতে হয়। দেরি কইরা দিলে সেইখানে ঝামেলা লাইগা যায়। তাই যাগো টাকাপয়সার ঝামেলা নাই, তারা আগে আগে কেনা শেষ করে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেল, বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্রেতারা পোশাক দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন বেশির ভাগ লোক। চাঁদনী চকের থ্রিপিস বিক্রেতা মোল্লা হালিম বলেন, ‘আজকে ছুটির দিন। বেলা তিনটা বাজল, এখনো বউনি করতে পারলাম না। কাস্টমার দামদর কইরা চইলা যায়। কিনে না।’
নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনী চকের ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবরের মতো এবারও ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাকের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এ জন্য বেশির ভাগ দোকানে ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকই বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউছিয়া মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সব কোয়ালিটির জামাকাপড় পাওয়া যায়। আমরাই বিদেশে পোশাক তৈরি করে পাঠাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি বললে কাস্টমার আগ্রহী হয়, তাই ওই সব বইলা বেচতে হয়।’
ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত কয়েকটি ঈদের মতো এবারেও মেয়েদের পোশাকে শারারা, ঘারারা ও গাউনের চাহিদা বেশি। ঈদের সময় বেশ গরম থাকায় নরম, সুতির আরামদায়ক কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। যাঁরা থান কাপড় কিনে পোশাক বানান, তাঁরা বেশি আগ্রহী অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থান কাপড়ে।
নকশা ও ধরনভেদে শারারা ও ঘারারা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। অরগাঞ্জা কাপড়ের গজ রাখা হচ্ছে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বারিশ থান কাপড় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আর পাকিস্তানি সেহেলি কটনের গজ ৩৫০-৫০০ টাকা।
‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় আসা মা-মেয়ের কথোপকথন চলছিল এভাবেই। ঈদের এখনো বাকি তিন সপ্তাহ। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে জমতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা। এ সময় বাজারে আসা অনেক ক্রেতারই মনোভাব তাসলিমা আক্তারের মতো। বাজার ঘুরে আবার কিন্তু এমনও দেখা গেল, কারও কারও কেনাকাটা শেষের পথে!
আজকের পত্রিকাকে তাসলিমা আক্তার জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তাঁরা। মেয়ের জন্য কিনবেন ঘারারা। কলেজপড়ুয়া ছেলের জন্য আফগান পাঞ্জাবি; শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবরের জন্যও ঈদের পোশাক কিনবেন। শুধু স্বামী আর তাঁর নিজের জন্যই কেনা হবে না কিছু। সাধ আর সাধ্যের হিসাব মেলাতে কেনাকাটার তালিকা থেকে নিজেদের নাম দুটো বাদ দিয়েছেন এই দম্পতি। বাজেটের মধ্যে বাজার সারতে রমজানের শুরুর দিকেই মার্কেটে এসেছেন। যাতে কম ভিড়ে সময় নিয়ে আগে দেখেশুনে দাম যাচাই করা যায়।
শপিং মলে ক্রেতা আর বিক্রেতা—দুপক্ষই জানাল, কয়েক বছর ধরে ঈদের কেনাকাটার ধরন কিছুটা বদলেছে। রাস্তার যানজট, মার্কেটের ঠাসাঠাসি ভিড় এবং দরজির দোকানের বাড়তি মজুরি এড়াতে অনেকে কার্যত রমজান শুরু হতে না হতেই শেষ করছেন ঈদের কেনাকাটার মূল পর্ব।
নিউমার্কেটে ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি কিনতে আসা তাসনুভা ইয়াসমিন বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রিপিস আরও আগেই কেনা শেষ। টেইলারে আছে কিছু। ছোটখাটো কিছু জিনিস কেনা শুধু বাকি। সেগুলোও দু-এক দিনে শেষ করে ফেলব।’
চাঁদনী চকের আল্লাহর দান ফ্যাব্রিকসের কর্মী রায়হান মিয়া বলেন, ‘এখন ঈদের কেনাকাটা শুরু হয় শবে বরাতের পর থিকাই। থান কাপড় বা আনস্টিচ থ্রিপিস যাঁরা কেনেন, তাঁদের দরজির কাছে বানাইতে দিতে হয়। দেরি কইরা দিলে সেইখানে ঝামেলা লাইগা যায়। তাই যাগো টাকাপয়সার ঝামেলা নাই, তারা আগে আগে কেনা শেষ করে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেল, বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্রেতারা পোশাক দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন বেশির ভাগ লোক। চাঁদনী চকের থ্রিপিস বিক্রেতা মোল্লা হালিম বলেন, ‘আজকে ছুটির দিন। বেলা তিনটা বাজল, এখনো বউনি করতে পারলাম না। কাস্টমার দামদর কইরা চইলা যায়। কিনে না।’
নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনী চকের ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবরের মতো এবারও ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাকের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এ জন্য বেশির ভাগ দোকানে ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকই বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউছিয়া মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সব কোয়ালিটির জামাকাপড় পাওয়া যায়। আমরাই বিদেশে পোশাক তৈরি করে পাঠাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি বললে কাস্টমার আগ্রহী হয়, তাই ওই সব বইলা বেচতে হয়।’
ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত কয়েকটি ঈদের মতো এবারেও মেয়েদের পোশাকে শারারা, ঘারারা ও গাউনের চাহিদা বেশি। ঈদের সময় বেশ গরম থাকায় নরম, সুতির আরামদায়ক কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। যাঁরা থান কাপড় কিনে পোশাক বানান, তাঁরা বেশি আগ্রহী অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থান কাপড়ে।
নকশা ও ধরনভেদে শারারা ও ঘারারা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। অরগাঞ্জা কাপড়ের গজ রাখা হচ্ছে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বারিশ থান কাপড় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আর পাকিস্তানি সেহেলি কটনের গজ ৩৫০-৫০০ টাকা।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মাছে ভাইরাস সংক্রমণ আর বন্যার কারণে মাছচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, ভাইরাসের কারণে মাছ মরছে। সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার অনেক ঘের, পুকুর, খালের মাছ ভেসে যাচ্ছে। মাছচাষিরা দাবি করছেন, তাঁদের অন্তত কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
১০ মিনিট আগেঝিনাইদহের মহেশপুরে বাল্যবিয়ে হওয়া সেই ছাত্রী অবশেষে স্কুলে ফিরতে পেরেছে। আজ বুধবার সকালে স্বরূপপুর-কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করে সে। এতে খুশি তার সহপাঠী ও পরিবার।
২২ মিনিট আগেঅবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে বান্দরবানের লামায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
২৬ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের পরিবারের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মাসখানেক আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন আরও এক এমপির কাছ থেকে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪০ মিনিট আগে