অর্চি হক, ঢাকা
‘কয়েক বছর আগেও ঈদবাজারে সবাই জমকালো কাপড় খুঁজত। কিন্তু আজকাল দেখতেছি, মানুষ হালকা কাজের আরামদায়ক কাপড় বেশি কিনে।’ বলছিলেন রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের জেসমিন শাড়িজ-এর কর্ণধার জাকির হোসেন। একই রকম কথা জানান রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের রুচি এখন অনেক বদলে গেছে। বাজেটও আগের তুলনায় কম। তা ছাড়া এ বছর ঈদুল ফিতর পড়েছে গরমের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের বাজারে এবার হালকা সুতি পোশাকের চাহিদা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি।
তবে বিভিন্ন ধরনের সিল্ক, জর্জেট ও টিস্যু কাপড়ের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশ। বরাবরের মতো এবারও ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের পোশাকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শারারা, ঘারারা ও গাউনের কাটতি বেশি।
মৌচাক মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা উম্মে হালিমা বলেন, ‘৩ হাজার টাকায় গর্জিয়াস গাউন দেখছি। কিন্তু এই গরমে ওই জামা পরলে যে কষ্টটা হবে, সেটা ভেবে হালকা কাজের মিক্সড সুতির মধ্যে কিছু খুঁজতেছি।’
গাউছিয়া মার্কেটের দিল্লী কালেকশনের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এবারও গাউনের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া ডিজাইনে সামান্য কিছু বদল এনে শারারা, ঘারারাও চলতেছে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, উপমহাদেশে শারারা-ঘারারা কয়েক শত বছরের পুরোনো পোশাক। তবে বাংলাদেশের বাজারে ২০১৭-১৮ সালের দিকে নতুন করে আসতে শুরু করে এই পোশাক। ভারত ও পাকিস্তানের টিভি সিরিয়ালের কারণে খুব দ্রুত এই পোশাকগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সারারা ও ঘারারা মূলত থ্রি-পিস। ওপরের অংশে কুর্তি, ওড়না এবং নিচের অংশে ঢিলেঢালা পায়জামা ব্যবহৃত হয়। এই পোশাক দুটোর মূল পার্থক্য হলো নিচের অংশে অর্থাৎ পায়জামায়। সারারার পায়জামা ঢিলেঢালা হয়ে থাকে। আর ঘারারার পায়জামায় হাঁটুর কাছাকাছি একটি শক্ত বর্ডার দেওয়া থাকে। রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই রেডিমেড সারারা, ঘারারা পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার থানকাপড় কিনেও বানিয়ে নিচ্ছেন এই পোশাক।
নকশা ও ধরনভেদে সারারা ও ঘারারা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। গাউনও পাওয়া যাচ্ছে একই রকম দামে।
অনেকে এত দাম দিয়ে রেডিমেড পোশাক না কিনে থানকাপড় দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো ডিজাইনের পোশাক বানিয়ে নিচ্ছেন। থানকাপড়ের ক্ষেত্রে অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থানকাপড়ের বিক্রি বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
অরগাঞ্জা কাপড়ের গজ রাখা হচ্ছে ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। বারিশ থানকাপড় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ৩৫০-৫০০ টাকা করে প্রতি গজ বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদনি চকে থানকাপড় কিনতে আসা নুহা ইসলাম বলেন, ‘একটা রেডিমেড গাউনের যে দাম, সেই দামে আমি কাপড় কিনে দুইটা গাউন বানিয়ে নিতে পারব। মনের মতো ডিজাইন দিতে পারব, খরচও কম হবে।’
ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর ধরে কলার এবং হাতায় নকশা করা একরঙা পাঞ্জাবি বেশি চলেছে। তবে এ বছর এই নকশায় কিছুটা ভিন্নতা এসেছে। কাঁথাস্টিচ, কুরুশকাঁটার কাজ করা বা এমব্রয়ডারি ও জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবির দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ধানমন্ডি আড়ং-এর একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, এবার ঈদের পোশাক এসেছে গ্রীষ্মকেন্দ্রিক। ঈদ উপলক্ষে একরঙা, চেক এবং কাজ করা বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি এসেছে। তবে দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় হালকা কাজের শর্ট পাঞ্জাবিগুলো বেশি চলছে।
প্রতিবার ঈদের বাজারে সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালের চরিত্রগুলোর নামে পোশাকের নামকরণ করা হয়। বিক্রির দৌড়েও সেই পোশাকগুলোই এগিয়ে থাকে। তবে এবার এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো নামকরণ করা হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এই সব নাম নকল। নিজেদের মনমতো সবাই দিত আগে। এবার নতুন সরকার। সবকিছুই নতুন। এবার আমরা ওই সব করি নাই।’
‘কয়েক বছর আগেও ঈদবাজারে সবাই জমকালো কাপড় খুঁজত। কিন্তু আজকাল দেখতেছি, মানুষ হালকা কাজের আরামদায়ক কাপড় বেশি কিনে।’ বলছিলেন রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের জেসমিন শাড়িজ-এর কর্ণধার জাকির হোসেন। একই রকম কথা জানান রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের রুচি এখন অনেক বদলে গেছে। বাজেটও আগের তুলনায় কম। তা ছাড়া এ বছর ঈদুল ফিতর পড়েছে গরমের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের বাজারে এবার হালকা সুতি পোশাকের চাহিদা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি।
তবে বিভিন্ন ধরনের সিল্ক, জর্জেট ও টিস্যু কাপড়ের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশ। বরাবরের মতো এবারও ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের পোশাকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শারারা, ঘারারা ও গাউনের কাটতি বেশি।
মৌচাক মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা উম্মে হালিমা বলেন, ‘৩ হাজার টাকায় গর্জিয়াস গাউন দেখছি। কিন্তু এই গরমে ওই জামা পরলে যে কষ্টটা হবে, সেটা ভেবে হালকা কাজের মিক্সড সুতির মধ্যে কিছু খুঁজতেছি।’
গাউছিয়া মার্কেটের দিল্লী কালেকশনের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এবারও গাউনের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া ডিজাইনে সামান্য কিছু বদল এনে শারারা, ঘারারাও চলতেছে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, উপমহাদেশে শারারা-ঘারারা কয়েক শত বছরের পুরোনো পোশাক। তবে বাংলাদেশের বাজারে ২০১৭-১৮ সালের দিকে নতুন করে আসতে শুরু করে এই পোশাক। ভারত ও পাকিস্তানের টিভি সিরিয়ালের কারণে খুব দ্রুত এই পোশাকগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সারারা ও ঘারারা মূলত থ্রি-পিস। ওপরের অংশে কুর্তি, ওড়না এবং নিচের অংশে ঢিলেঢালা পায়জামা ব্যবহৃত হয়। এই পোশাক দুটোর মূল পার্থক্য হলো নিচের অংশে অর্থাৎ পায়জামায়। সারারার পায়জামা ঢিলেঢালা হয়ে থাকে। আর ঘারারার পায়জামায় হাঁটুর কাছাকাছি একটি শক্ত বর্ডার দেওয়া থাকে। রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই রেডিমেড সারারা, ঘারারা পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার থানকাপড় কিনেও বানিয়ে নিচ্ছেন এই পোশাক।
নকশা ও ধরনভেদে সারারা ও ঘারারা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। গাউনও পাওয়া যাচ্ছে একই রকম দামে।
অনেকে এত দাম দিয়ে রেডিমেড পোশাক না কিনে থানকাপড় দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো ডিজাইনের পোশাক বানিয়ে নিচ্ছেন। থানকাপড়ের ক্ষেত্রে অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থানকাপড়ের বিক্রি বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
অরগাঞ্জা কাপড়ের গজ রাখা হচ্ছে ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। বারিশ থানকাপড় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ৩৫০-৫০০ টাকা করে প্রতি গজ বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদনি চকে থানকাপড় কিনতে আসা নুহা ইসলাম বলেন, ‘একটা রেডিমেড গাউনের যে দাম, সেই দামে আমি কাপড় কিনে দুইটা গাউন বানিয়ে নিতে পারব। মনের মতো ডিজাইন দিতে পারব, খরচও কম হবে।’
ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর ধরে কলার এবং হাতায় নকশা করা একরঙা পাঞ্জাবি বেশি চলেছে। তবে এ বছর এই নকশায় কিছুটা ভিন্নতা এসেছে। কাঁথাস্টিচ, কুরুশকাঁটার কাজ করা বা এমব্রয়ডারি ও জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবির দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ধানমন্ডি আড়ং-এর একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, এবার ঈদের পোশাক এসেছে গ্রীষ্মকেন্দ্রিক। ঈদ উপলক্ষে একরঙা, চেক এবং কাজ করা বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি এসেছে। তবে দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় হালকা কাজের শর্ট পাঞ্জাবিগুলো বেশি চলছে।
প্রতিবার ঈদের বাজারে সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালের চরিত্রগুলোর নামে পোশাকের নামকরণ করা হয়। বিক্রির দৌড়েও সেই পোশাকগুলোই এগিয়ে থাকে। তবে এবার এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো নামকরণ করা হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এই সব নাম নকল। নিজেদের মনমতো সবাই দিত আগে। এবার নতুন সরকার। সবকিছুই নতুন। এবার আমরা ওই সব করি নাই।’
ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খসরু চৌধুরীর ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম অশ্রুকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
৩ মিনিট আগেআখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক অফিস ও ইমিগ্রেশন ভবনের সামনের চত্বরে পানি প্রবেশ করেছে। বন্দরের কাছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
৭ মিনিট আগেসোমবার সকালে হঠাৎ পাবেল নৌকা থেকে পড়ে নদীতে নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ও জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
১৪ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে নিজ শয়নকক্ষে স্ত্রীর আর বাড়ির অদূরে তামাক পোড়ানো ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে