ইলিশ

বছর দুই আগে একটি লেখার ভূমিকা হিসেবে হঠাৎ করেই লিখেছিলাম ওপরের ছড়াটি। কবিতা লিখতে পারি না বলে মনে ভীষণ খেদ থাকলেও ছড়াটি লিখে বেশ খানিক আত্মতৃপ্তি পেয়েছিলাম।

কেন ইলিশ নিয়ে আমাদের এত গর্ব, এত আদিখ্যেতা, এত কাব্য-কবিতা? বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে নিশ্চয়ই। আমার শুধুই মনে হয়, বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্নভাবে ইলিশ খাওয়া যায়। তা ছাড়া, এই একটা মাছ, যাকে খুব অল্প মসলায় ভাজা,

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে পদ্মায় নেমেছেন জেলেরা। তবে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। রুপালি ইলিশের পাশাপাশি নদীতে নানা ধরনের মাছ শিকারে জন্য নামেন তারা। তবে কোনো মাছ তাঁদের জালে আটকা পরছে না বলে জানিয়েছেন জেলেরা। 

চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে টানা ২২ দিন প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে আটঘাট বেঁধে ইলিশ শিকারে নামেন জেলেরা। প্রথম দিন বরগুনার নদ-নদীতে কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও এরপর থেকে মাছটির আর দেখা মিলছে না।

মাত্র একদিন বরগুনার নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্ত এরপর থেকে আর ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে যারপরনাই হতাশ উপকূলের প্রান্তিক জেলেরা

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত সোমবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা নৌকা আর জাল নিয়ে পদ্মায় রুপালি ইলিশের খোঁজে নামেন।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনেক আশা নিয়েই নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের সাগরে পাঠিয়েছি। ৭ থেকে ১০ দিন পর ওই সব ট্রলার আসবে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সুখবর পাইনি। তবে ইলিশ গেল কোথায়? 

দীর্ঘ ২২ দিন ধরে ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাড়িতেই হাত-পা গুটিয়ে বসেছিলেন জেলেরা। সোমবার রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, জালে উঠবে রূপালি ইলিশ। এ জন্য মধ্যরাত থেকে নৌকা আর জাল নিয়ে জেলেরাও নেমেছেন পদ্মায়। কিন্তু চারঘাটের পদ্মা নদীতে ইলিশের দেখা নেই। 

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ১২ ঘণ্টাও পার হয়নি। এরই মধ্যে ইলিশে সয়লাব বরিশাল মৎস্য অবতরণকেন্দ্র। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত এখানে এসেছে ২ হাজার মণের বেশি ইলিশ।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম ৪-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি।

প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে সরকারের দেওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় নৌকা-জাল নিয়ে ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।

দীর্ঘ ২২ দিনের অবরোধ শেষে আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ মাছ শিকারে সমুদ্রে ছুটবেন জেলেরা। ইলিশ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য বিভাগ

মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা নদীতে সমন্বিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে বিমানবাহিনীর বিশেষ টিম হেলিকপ্টার নিয়ে এই সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে 

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১৮ হাজার জেলে ইলিশ ধরার জন্য সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। নদ-নদী ও সমুদ্রে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আজ রাত ১২টা থেকেই তাঁরা মাছ ধরতে যাবেন। 

প্রজননের স্বার্থে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রাত ১২টার পর থেকে সাগর-নদীতে যাবেন জেলেরা। এরই মধ্যে বরগুনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা শেষ সময়ের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামত করে প্রস্তুত রেখেছেন। ট্রলারে বাজার-সওদা, বরফ ভর্তি করে অপেক্ষা করছেন জেলেরা। 

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার সুযোগ পাবেন বলে জেলেদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকার ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।

মা-ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন নিশ্চিত করতে চলছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এর মধ্যেও পুলিশ ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে ইলিশ শিকার।