Ajker Patrika

টুইটারে আজ থেকে পুরোনো ব্লু টিক থাকছে না

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ৪৪
Thumbnail image

ব্লু টিক সেবা চালুর কিছুদিনের মধ্যেই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল টুইটার। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া আইডি খুলে ব্লু টিক নেওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ নভেম্বর প্ল্যাটফর্মটি ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন সেবা স্থগিত করে। সমস্যা সমাধানে গত ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও পরিচয় যাচাই করে নতুন করে ব্লু টিক দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে টুইটার। আজ থেকে পুরোনো ব্লু টিক যুক্ত অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক মুছে ফেলা শুরু করবে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটার জানিয়েছিল, গত ১ এপ্রিল থেকে ফোন নম্বর ও পরিচয় যাচাই ছাড়া বা ইলন মাস্কের দায়িত্ব নেওয়ার আগে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লু টিক পেয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ব্লু টিক মুছে ফেলা হবে। তবে এ তারিখটি পিছিয়ে ২০ এপ্রিল করা হয়। যাঁরা ব্লু টিক বহাল রাখতে চান, তাঁরা বর্তমান নিয়ম মেনে অর্থের বিনিময়ে অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক রাখতে পারবেন। 

এদিকে গত ২০ মার্চ থেকে টুইটারে বিনা মূল্যে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সুবিধা বন্ধ করেছে প্ল্যাটফর্মটি। ফলে বাড়তি সুরক্ষার এই ফিচার হারিয়েছেন বেশির ভাগ ব্যবহারকারী। তবে এই সুবিধা পাবেন শুধু প্ল্যাটফর্মের ব্লু টিক সাবস্ক্রাইবাররা। কোনো ব্যবহারকারী টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সুবিধা পেতে চাইলে তাঁকে আগে ব্লু টিক সেবায় সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সুবিধার জন্য বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে বলে ঘোষণা দেয় টুইটার। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২০ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন এই নিয়ম। অনলাইনে নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি অপরিহার্য নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোনো অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করলে সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করা যায়।

টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা থাকলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাকার জেনে গেলেও হ্যাকার ওই অ্যাকাউন্টের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ হ্যাকার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলেও টুইটার হ্যাকারকে একটি নতুন ওয়েবপেজে নিয়ে যাবে। যেখানে হ্যাকারকে একটি ‘ভেরিফিকেশন কোড’ দিতে বলা হবে। সেই কোড মূলত ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরে আসবে। যে কোডটি ব্যবহারকারী ছাড়া আর কারও জানার সুযোগ থাকবে না। সেই ভেরিফিকেশন কোডটি হ্যাকার না পেলে সে কোনোভাবেই সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত