অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে একাধিক ফেসবুক পেজ রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে তাদের পেজে লাইক ও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ডিসমিসল্যাব নামে বাংলাদেশের একটি অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ‘আমরা ড. ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় চাই’—এই রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে এসব পেজ মূলত তাদের ব্যবসায়িক কনটেন্ট প্রচার করছে, যার সঙ্গে বাস্তবে রাজনীতির কোনো সম্পর্কই নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রকাশিত ‘‘They want Dr Yunus for five years, but only to farm ’likes’ for their pages’’ শীর্ষক ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্তত ৪৭টি ফেসবুক পেজ ৫৫টি পেইড বিজ্ঞাপনে এই স্লোগান ব্যবহার করেছে।
ডিসমিসল্যাব জানায়, এসব পেজ মূলত খাবার, কসমেটিকস, পোশাক ও ব্লগ-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে। রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিজ্ঞাপনগুলোতে ড. ইউনূসের নাম ও ছবি ব্যবহার করে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং ‘পেজ লাইক করুন’ বা ‘ফলো করুন’, এ ধরনের আহ্বান জানানো হয়।
ডিসমিসল্যাবের গবেষকেরা মেটার অ্যাড লাইব্রেরি ব্যবহার করে বাংলা কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনগুলো শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা প্রতিটি পেজের সর্বশেষ ২০টি পোস্ট বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, প্রায় ৯০ শতাংশ পেজের আগের কোনো পোস্টে রাজনীতি বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ‘The Tasty Apron’ নামের ঢাকাভিত্তিক একটি রেস্টুরেন্টের পেজের বিজ্ঞাপন। তাদের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘যারা চান ডঃ ইউনূস ৫ বছর ক্ষমতায় থাকুক, ডান পাশে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।’ অথচ এই পেজের অন্য কোনো পোস্টে রাজনৈতিক বার্তা নেই।
মেটার নীতিমতে, রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুভিত্তিক বিজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে বিজ্ঞাপনদাতার নাম ও রাজনৈতিক কনটেন্ট-সংক্রান্ত সতর্কবার্তা থাকা উচিত। কিন্তু ডিসমিসল্যাব বলছে, এসব পেজের কোনো বিজ্ঞাপনেই এই ধরনের ডিসক্লেইমার ছিল না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিজ্ঞাপন পরে মেটা সরিয়ে ফেললেও অধিকাংশই তদন্ত চলাকালীন পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং এগুলো মেটার শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এড়িয়ে যেতে পেরেছে।
এই স্লোগান প্রথম আলোচনায় আসে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, যখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম এটি ফেসবুকে ব্যবহার করেন। যদিও তা শুরুতে রাজনৈতিক মতামত হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল, পরে এটি অসংখ্য অরাজনৈতিক পেজের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ফলে এটি একটি ‘ক্লিকবেইট’ স্লোগানে রূপ নেয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকে এই স্লোগানকে ‘অগণতান্ত্রিক ও অবাস্তব’ বলে আখ্যা দিলেও ডিসমিসল্যাবের অনুসন্ধান বলছে, এটি এখন আরও গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাজনৈতিক স্লোগানকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের পরিবেশকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্লোগানটি অরাজনৈতিক পেজে দেখা গেলেও এর রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা অস্বীকার করা যায় না, বিশেষত বাংলাদেশের বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ ও রূপান্তরকালীন রাজনৈতিক পরিবেশে।
ডিসমিসল্যাবের বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক মতকে ক্লিকবেইট বানিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করলে সেটি গণতান্ত্রিক চর্চায় বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশে একাধিক ফেসবুক পেজ রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে তাদের পেজে লাইক ও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ডিসমিসল্যাব নামে বাংলাদেশের একটি অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ‘আমরা ড. ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় চাই’—এই রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে এসব পেজ মূলত তাদের ব্যবসায়িক কনটেন্ট প্রচার করছে, যার সঙ্গে বাস্তবে রাজনীতির কোনো সম্পর্কই নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রকাশিত ‘‘They want Dr Yunus for five years, but only to farm ’likes’ for their pages’’ শীর্ষক ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্তত ৪৭টি ফেসবুক পেজ ৫৫টি পেইড বিজ্ঞাপনে এই স্লোগান ব্যবহার করেছে।
ডিসমিসল্যাব জানায়, এসব পেজ মূলত খাবার, কসমেটিকস, পোশাক ও ব্লগ-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে। রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিজ্ঞাপনগুলোতে ড. ইউনূসের নাম ও ছবি ব্যবহার করে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং ‘পেজ লাইক করুন’ বা ‘ফলো করুন’, এ ধরনের আহ্বান জানানো হয়।
ডিসমিসল্যাবের গবেষকেরা মেটার অ্যাড লাইব্রেরি ব্যবহার করে বাংলা কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনগুলো শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা প্রতিটি পেজের সর্বশেষ ২০টি পোস্ট বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, প্রায় ৯০ শতাংশ পেজের আগের কোনো পোস্টে রাজনীতি বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ‘The Tasty Apron’ নামের ঢাকাভিত্তিক একটি রেস্টুরেন্টের পেজের বিজ্ঞাপন। তাদের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘যারা চান ডঃ ইউনূস ৫ বছর ক্ষমতায় থাকুক, ডান পাশে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।’ অথচ এই পেজের অন্য কোনো পোস্টে রাজনৈতিক বার্তা নেই।
মেটার নীতিমতে, রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুভিত্তিক বিজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে বিজ্ঞাপনদাতার নাম ও রাজনৈতিক কনটেন্ট-সংক্রান্ত সতর্কবার্তা থাকা উচিত। কিন্তু ডিসমিসল্যাব বলছে, এসব পেজের কোনো বিজ্ঞাপনেই এই ধরনের ডিসক্লেইমার ছিল না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিজ্ঞাপন পরে মেটা সরিয়ে ফেললেও অধিকাংশই তদন্ত চলাকালীন পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং এগুলো মেটার শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এড়িয়ে যেতে পেরেছে।
এই স্লোগান প্রথম আলোচনায় আসে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, যখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম এটি ফেসবুকে ব্যবহার করেন। যদিও তা শুরুতে রাজনৈতিক মতামত হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল, পরে এটি অসংখ্য অরাজনৈতিক পেজের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ফলে এটি একটি ‘ক্লিকবেইট’ স্লোগানে রূপ নেয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকে এই স্লোগানকে ‘অগণতান্ত্রিক ও অবাস্তব’ বলে আখ্যা দিলেও ডিসমিসল্যাবের অনুসন্ধান বলছে, এটি এখন আরও গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাজনৈতিক স্লোগানকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের পরিবেশকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্লোগানটি অরাজনৈতিক পেজে দেখা গেলেও এর রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা অস্বীকার করা যায় না, বিশেষত বাংলাদেশের বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ ও রূপান্তরকালীন রাজনৈতিক পরিবেশে।
ডিসমিসল্যাবের বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক মতকে ক্লিকবেইট বানিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করলে সেটি গণতান্ত্রিক চর্চায় বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মেটা। সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ২০২৬ সালে মেটার প্রথম এআই সুপারক্লাস্টার ‘প্রোমিথিয়াস’ চালু হবে।
৭ ঘণ্টা আগেশিশুতোষ টেলিভিশন অনুষ্ঠান সেসেমি স্ট্রিট-এর জনপ্রিয় পাপেট চরিত্র ‘এলমোর’ এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হ্যাকিংয়ের পর অ্যাকাউন্টটি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পাপেট’ (হাতের পুতুল) বলাসহ ইহুদি নিধনের ডাক ও জে
৮ ঘণ্টা আগেগত মাসের (জুনে) শুরুতে ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ নামের একটি ব্যান্ড জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে প্রোফাইল তৈরি করে। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের গান। তবে পরে জানা যায়, এই ব্যান্ডটি পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর। গান, প্রচারণার ছবি ও ব্যাকস্টোরি-সহ সবকিছুই তৈরি হয়েছে...
৯ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই-এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রাণালয়টিকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে। কোম্পানিটির গ্রোক চ্যাটবটটি সম্প্রতি নিজেকে ‘মেকাহিটলার’ বলে পরিচয় দেওয়ার পর এবং এক্সের
১৩ ঘণ্টা আগে