চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে গতকাল মঙ্গলবার একটি বৈশ্বিক লঞ্চ ইভেন্টে প্রথম ট্রাই-ফোল্ড (তিন ভাঁজের) স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ফোনটিকে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানির একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার মুখেও একের পর এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সামনে আনছে কোম্পানিটি। তবে মূল্য, স্থায়িত্ব, সরবরাহ ও অ্যাপের সমস্যার কারণে ফোনটির সফলতায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
কুয়ালালামপুরে একটি ইভেন্টে হুয়াওয়ে জানিয়েছে, হুয়াওয়ে মেট এক্সটি মডেলের দাম হবে ৩ হাজার ৪৯৯ ইউরো (প্রায় ৩ হাজার ৬৬২ ডলার)। যদিও এটি ট্রাই-ফোল্ড বলে পরিচিত, তবে এতে তিনটি ছোট প্যানেল রয়েছে এবং দুটি ধাপে ভাঁজ হয়। ফোনটি পাঁচ মাস আগে প্রথম চীনের বাজারে উন্মোচন করা হয়েছিল।
হুয়াওয়ে দাবি করছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডেবল ফোন, যা মাত্র ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার (দশমিক ১৪ ইঞ্চি) পুরু এবং এর স্ক্রিনের আকার ১০ দশমিক ২ ইঞ্চি। অর্থাৎ ফোনটির ভাঁজ খুললে এর স্ক্রিনের আকার অ্যাপলের আইপ্যাডের সমান হবে।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম আইডিসির ডিভাইস রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান মা বলেছেন, এখন পর্যন্ত হুয়াওয়ে একমাত্র কোম্পানি, যারা ট্রাই-ফোল্ড ডিজাইনের মতো নতুনত্ব এনেছে।
চীনের প্রথম বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। এটি বর্তমানে মার্কিন-চীন বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে হুয়াওয়ের অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয় মার্কিন সরকার। যেমন: গুগল সার্ভিসেস ও অন্যান্য স্মার্টফোন প্রযুক্তি। এর ফলে হুয়াওয়ের ফোন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবহারকারীদের কাছে কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা হুয়াওয়েকে একটি সুরক্ষা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে হুয়াওয়ে এই দাবি অস্বীকার করেছে। চীনের সরকারের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সতর্কতার অজুহাতে হুয়াওয়েকে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে মেট এক্সটি চীনে উন্মোচন করে হুয়াওয়ে। একই দিন অ্যাপল তাদের আইফোন ১৬ সিরিজ বৈশ্বিক বাজারে ছাড়ে। তবে মেট এক্সটির উচ্চ দাম বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
কুয়ালালামপুরে উন্মোচন অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে আরও কিছু নতুন ডিভাইস প্রকাশ করেছে। যেমন: মেটপ্যাড প্রো ট্যাবলেট, ফ্রি আর্ক, তাদের প্রথম ওপেন-ইয়ার ইয়ারবাডস এবং অন্যান্য পরিধানযোগ্য ডিভাইস।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেন্ডফোর্সের বিশ্লেষক রুবি লু বলেন, যদিও হুয়াওয়ে অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখাচ্ছে, তবুও এর দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন সংকট, চিপের অভাব এবং সফটওয়্যার ইকোসিস্টেমের সীমাবদ্ধতার কারণে।
তিনি বলেন, সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে, গুগল মোবাইল সার্ভিসের অভাব আন্তর্জাতিক বাজারে হুয়াওয়ের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
আইডিসির ব্রায়ান মা বলেন, ২০২৪ সালে চীনে ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে ৪৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে হুয়াওয়ে। তবে বিশ্বব্যাপী বাজারে হুয়াওয়ের ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, যেখানে স্যামসাং ৩৩ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। আইডিসি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বে ফোল্ডেবল ফোনের সরবরাহ ২০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছাবে।
বিশ্লেষক রুবি লু বলেন, যদিও অনেক বড় ব্র্যান্ডের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে প্রবেশ করেছে, তবে এখন পর্যন্ত অ্যাপল ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে প্রবেশ করেনি। অ্যাপল এই বাজারে প্রবেশ করলে, ফোল্ডেবল ফোন সেক্টরের আরও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
লু আরও বলেন, অ্যাপল এই বাজারে প্রবেশ করলে, এটি ফোল্ডেবল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
তথ্যসূত্র: এপি নিউজ
চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে গতকাল মঙ্গলবার একটি বৈশ্বিক লঞ্চ ইভেন্টে প্রথম ট্রাই-ফোল্ড (তিন ভাঁজের) স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ফোনটিকে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানির একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার মুখেও একের পর এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সামনে আনছে কোম্পানিটি। তবে মূল্য, স্থায়িত্ব, সরবরাহ ও অ্যাপের সমস্যার কারণে ফোনটির সফলতায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
কুয়ালালামপুরে একটি ইভেন্টে হুয়াওয়ে জানিয়েছে, হুয়াওয়ে মেট এক্সটি মডেলের দাম হবে ৩ হাজার ৪৯৯ ইউরো (প্রায় ৩ হাজার ৬৬২ ডলার)। যদিও এটি ট্রাই-ফোল্ড বলে পরিচিত, তবে এতে তিনটি ছোট প্যানেল রয়েছে এবং দুটি ধাপে ভাঁজ হয়। ফোনটি পাঁচ মাস আগে প্রথম চীনের বাজারে উন্মোচন করা হয়েছিল।
হুয়াওয়ে দাবি করছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডেবল ফোন, যা মাত্র ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার (দশমিক ১৪ ইঞ্চি) পুরু এবং এর স্ক্রিনের আকার ১০ দশমিক ২ ইঞ্চি। অর্থাৎ ফোনটির ভাঁজ খুললে এর স্ক্রিনের আকার অ্যাপলের আইপ্যাডের সমান হবে।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম আইডিসির ডিভাইস রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান মা বলেছেন, এখন পর্যন্ত হুয়াওয়ে একমাত্র কোম্পানি, যারা ট্রাই-ফোল্ড ডিজাইনের মতো নতুনত্ব এনেছে।
চীনের প্রথম বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। এটি বর্তমানে মার্কিন-চীন বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে হুয়াওয়ের অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয় মার্কিন সরকার। যেমন: গুগল সার্ভিসেস ও অন্যান্য স্মার্টফোন প্রযুক্তি। এর ফলে হুয়াওয়ের ফোন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবহারকারীদের কাছে কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা হুয়াওয়েকে একটি সুরক্ষা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে হুয়াওয়ে এই দাবি অস্বীকার করেছে। চীনের সরকারের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সতর্কতার অজুহাতে হুয়াওয়েকে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে মেট এক্সটি চীনে উন্মোচন করে হুয়াওয়ে। একই দিন অ্যাপল তাদের আইফোন ১৬ সিরিজ বৈশ্বিক বাজারে ছাড়ে। তবে মেট এক্সটির উচ্চ দাম বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
কুয়ালালামপুরে উন্মোচন অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে আরও কিছু নতুন ডিভাইস প্রকাশ করেছে। যেমন: মেটপ্যাড প্রো ট্যাবলেট, ফ্রি আর্ক, তাদের প্রথম ওপেন-ইয়ার ইয়ারবাডস এবং অন্যান্য পরিধানযোগ্য ডিভাইস।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেন্ডফোর্সের বিশ্লেষক রুবি লু বলেন, যদিও হুয়াওয়ে অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখাচ্ছে, তবুও এর দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন সংকট, চিপের অভাব এবং সফটওয়্যার ইকোসিস্টেমের সীমাবদ্ধতার কারণে।
তিনি বলেন, সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে, গুগল মোবাইল সার্ভিসের অভাব আন্তর্জাতিক বাজারে হুয়াওয়ের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
আইডিসির ব্রায়ান মা বলেন, ২০২৪ সালে চীনে ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে ৪৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে হুয়াওয়ে। তবে বিশ্বব্যাপী বাজারে হুয়াওয়ের ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, যেখানে স্যামসাং ৩৩ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। আইডিসি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বে ফোল্ডেবল ফোনের সরবরাহ ২০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছাবে।
বিশ্লেষক রুবি লু বলেন, যদিও অনেক বড় ব্র্যান্ডের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে প্রবেশ করেছে, তবে এখন পর্যন্ত অ্যাপল ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে প্রবেশ করেনি। অ্যাপল এই বাজারে প্রবেশ করলে, ফোল্ডেবল ফোন সেক্টরের আরও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
লু আরও বলেন, অ্যাপল এই বাজারে প্রবেশ করলে, এটি ফোল্ডেবল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
তথ্যসূত্র: এপি নিউজ
রিয়েলমি আবারও নতুন চমক নিয়ে আসছে। রিয়েলমি ‘সি ৭৫’ লাইনআপের আরও আধুনিক একটি ডিভাইস রিয়েলমি ‘সি ৭৫ এক্স’ দেশের বাজারে আসছে শিগগির।
৮ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল—নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস—বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে প্রযুক্তি বিশ্বে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফেসবুকের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা কমছে বলেই মনে করছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। তবে ২০২২ সালে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়াতে তিনি এক ‘উদ্ভট’ ধারণা দিয়েছিলেন—সবার বন্ধুতালিকা মুছে ফেলা!
১১ ঘণ্টা আগেবহুল প্রতীক্ষিত জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৬০ সিরিজের গ্রাফিকস কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া। এই সিরিজে তিনটি আলাদা মডেল আসছে, যার মধ্যে আরটিএক্স ৫০৬০ টিআই-এর ১৬ জিবি ও ৮ জিবি সংস্করণ আজ থেকেই বিক্রি করা হবে। অন্যদিকে তুলনামূলক সস্তা আরটিএক্স ৫০৬০ (নন-টিআই) মডেলটি আগামী মে মাসে বাজারে আসবে
১৩ ঘণ্টা আগে