শাহরিয়ার ফারদিন
বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম উৎস সৌরবিদ্যুৎ বা সোলার প্যানেল। ইট-কাঠের শহরে সবুজায়নের অন্যতম উপায় ছাদবাগান। এই দুটি বিষয়কে একই সঙ্গে আনা যায় কি না, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে; বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোয়।
ইউরোপের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন শহরের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেলের পাশাপাশি ছাদবাগান গড়তে হাতে-কলমের গবেষণায় পেয়েছে আশানুরূপ ফল। সেসব গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু সমস্যা থাকলেও ছাদে বাগানের পাশাপাশি ৬০ বর্গমিটারের সোলার প্যানেল স্থাপন করলে তা থেকে বিদ্যুৎ এবং একটি পরিবারের প্রয়োজনীয় সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব। সেই সঙ্গে তৈরি করা যাবে ফুলের বাগানও। ছাদবাগান ও সোলার প্যানেল পাশাপাশি করার উপায় হতে পারে দুটি। প্রথমটি হলো পারগোলা স্টাইল আর দ্বিতীয়টি সোলার প্যানেলের পাশাপাশি উদ্ভিদের চাষ। একটু বিস্তারিত বলা যাক।
পারগোলা স্টাইল
এ ব্যবস্থায় সাধারণত ছাদে বেশ উচ্চতায়, মানুষের নাগালের বাইরে এমন একটি কাঠামো নির্মাণ করা হয়, যার চারপাশে খোলা থাকে এবং ওপরে ছায়ার জন্য দেওয়া থাকে ছাউনি। কোনো ছাদে এক বা একাধিক সোলার প্যানেল বসানোর উপযোগী করে একাধিক পারগোলা তৈরি করা যেতে পারে। এসব কাঠামোর ওপরে থাকে সোলার প্যানেল এবং নিচে থাকবে বিভিন্ন কৃষিজ গুল্ম ও সবজিজাতীয় উদ্ভিদ।
এ ক্ষেত্রে পারগোলাকাঠামো এতটা উঁচুতে নির্মাণ করা হয়, যাতে নিচের উদ্ভিদগুলোতে খুব সহজেই আলো-বাতাস লাগতে পারে। এই স্টাইলের একটি সমস্যা হলো, অনেক সময় কিছু উদ্ভিদের উচ্চতা এতটা বেশি হয়ে যায় যে সেগুলোর কারণে সোলার প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণ অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। আবার বিপরীত ক্রমে প্যানেলের কারণে নিচে থাকা উদ্ভিদের গায়ে বৃষ্টি ও আলো পড়ার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নানান জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত এই স্টাইল খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।
সোলার প্যানেলের পাশাপাশি উদ্ভিদের চাষ
ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করে তার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন উদ্ভিদের চাষাবাদ করা হয়। এই পদ্ধতি এখনো বেশ জনপ্রিয়। আলাদা করে কাঠামো তৈরি করার দরকার হয় না বলে এই পদ্ধতি তুলনামূলক সাশ্রয়ীও। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ছাদে সবুজের উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে সোলার প্যানেলের ফটোভোল্টেইক টেকনোলজির কার্যকারিতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছাদে সরাসরি স্থাপন করার কারণে সোলার প্যানেল অনেকটাই মজবুত হয়।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পেতে সোলার প্যানেলগুলো এমনভাবে বসাতে হবে, যাতে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়।ছাদে এমন সব উদ্ভিদের চাষ করতে হবে, যেগুলো তুলনামূলক কম উচ্চতাসম্পন্ন এবং যেগুলোর শিকড় মাটির কম গভীরে যায়।
ছাদবাগানের সোলার প্যানেল পরিবেশবান্ধব
জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেশ উপকারী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থানীয় পরিবেশে আশপাশের তুলনায় বেশি আর্দ্রতা নিশ্চিত করে। তাতে বেশ কয়েকটি উপকারী প্রজাতির পোকামাকড়ের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। এই পোকামাকড়গুলো উদ্ভিদের পরাগায়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেডএইচএডব্লিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক স্তেফান ব্রেনেইসেন জানান, সবুজ ছাদ সাধারণত গুবরেপোকার বিভিন্ন প্রজাতি এবং ঘাসফড়িংয়ের মতো বিভিন্ন কীটপতঙ্গের ভালো আবাসস্থল হতে পারে। এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া কিংবা সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থাপন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বিষয়টি এখনো খুব বেশি সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। গবেষকেরা বলছেন, সোলার প্যানেল তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন, সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে যাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
ছাদবাগান এবং সোলার প্যানেলের ভালো দিক থাকলেও কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন বলছে, ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থাপনের যে সুবিধার কথা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে তাপবিকিরণের মতো সমস্যাগুলো আরও বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তাদের। পরিবেশবাদীদের সমালোচনা থাকলেও একটি শহরের সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের কথা ভাবলে ছাদবাগানের সঙ্গে সোলার প্যানেল স্থাপনকে আপাতদৃষ্টে গুরুত্বহীন ভেবে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম উৎস সৌরবিদ্যুৎ বা সোলার প্যানেল। ইট-কাঠের শহরে সবুজায়নের অন্যতম উপায় ছাদবাগান। এই দুটি বিষয়কে একই সঙ্গে আনা যায় কি না, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে; বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোয়।
ইউরোপের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন শহরের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেলের পাশাপাশি ছাদবাগান গড়তে হাতে-কলমের গবেষণায় পেয়েছে আশানুরূপ ফল। সেসব গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু সমস্যা থাকলেও ছাদে বাগানের পাশাপাশি ৬০ বর্গমিটারের সোলার প্যানেল স্থাপন করলে তা থেকে বিদ্যুৎ এবং একটি পরিবারের প্রয়োজনীয় সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব। সেই সঙ্গে তৈরি করা যাবে ফুলের বাগানও। ছাদবাগান ও সোলার প্যানেল পাশাপাশি করার উপায় হতে পারে দুটি। প্রথমটি হলো পারগোলা স্টাইল আর দ্বিতীয়টি সোলার প্যানেলের পাশাপাশি উদ্ভিদের চাষ। একটু বিস্তারিত বলা যাক।
পারগোলা স্টাইল
এ ব্যবস্থায় সাধারণত ছাদে বেশ উচ্চতায়, মানুষের নাগালের বাইরে এমন একটি কাঠামো নির্মাণ করা হয়, যার চারপাশে খোলা থাকে এবং ওপরে ছায়ার জন্য দেওয়া থাকে ছাউনি। কোনো ছাদে এক বা একাধিক সোলার প্যানেল বসানোর উপযোগী করে একাধিক পারগোলা তৈরি করা যেতে পারে। এসব কাঠামোর ওপরে থাকে সোলার প্যানেল এবং নিচে থাকবে বিভিন্ন কৃষিজ গুল্ম ও সবজিজাতীয় উদ্ভিদ।
এ ক্ষেত্রে পারগোলাকাঠামো এতটা উঁচুতে নির্মাণ করা হয়, যাতে নিচের উদ্ভিদগুলোতে খুব সহজেই আলো-বাতাস লাগতে পারে। এই স্টাইলের একটি সমস্যা হলো, অনেক সময় কিছু উদ্ভিদের উচ্চতা এতটা বেশি হয়ে যায় যে সেগুলোর কারণে সোলার প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণ অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। আবার বিপরীত ক্রমে প্যানেলের কারণে নিচে থাকা উদ্ভিদের গায়ে বৃষ্টি ও আলো পড়ার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নানান জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত এই স্টাইল খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।
সোলার প্যানেলের পাশাপাশি উদ্ভিদের চাষ
ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করে তার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন উদ্ভিদের চাষাবাদ করা হয়। এই পদ্ধতি এখনো বেশ জনপ্রিয়। আলাদা করে কাঠামো তৈরি করার দরকার হয় না বলে এই পদ্ধতি তুলনামূলক সাশ্রয়ীও। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ছাদে সবুজের উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে সোলার প্যানেলের ফটোভোল্টেইক টেকনোলজির কার্যকারিতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছাদে সরাসরি স্থাপন করার কারণে সোলার প্যানেল অনেকটাই মজবুত হয়।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পেতে সোলার প্যানেলগুলো এমনভাবে বসাতে হবে, যাতে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়।ছাদে এমন সব উদ্ভিদের চাষ করতে হবে, যেগুলো তুলনামূলক কম উচ্চতাসম্পন্ন এবং যেগুলোর শিকড় মাটির কম গভীরে যায়।
ছাদবাগানের সোলার প্যানেল পরিবেশবান্ধব
জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেশ উপকারী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থানীয় পরিবেশে আশপাশের তুলনায় বেশি আর্দ্রতা নিশ্চিত করে। তাতে বেশ কয়েকটি উপকারী প্রজাতির পোকামাকড়ের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। এই পোকামাকড়গুলো উদ্ভিদের পরাগায়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেডএইচএডব্লিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক স্তেফান ব্রেনেইসেন জানান, সবুজ ছাদ সাধারণত গুবরেপোকার বিভিন্ন প্রজাতি এবং ঘাসফড়িংয়ের মতো বিভিন্ন কীটপতঙ্গের ভালো আবাসস্থল হতে পারে। এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া কিংবা সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থাপন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বিষয়টি এখনো খুব বেশি সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। গবেষকেরা বলছেন, সোলার প্যানেল তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন, সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে যাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
ছাদবাগান এবং সোলার প্যানেলের ভালো দিক থাকলেও কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন বলছে, ছাদবাগানের পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থাপনের যে সুবিধার কথা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে তাপবিকিরণের মতো সমস্যাগুলো আরও বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তাদের। পরিবেশবাদীদের সমালোচনা থাকলেও একটি শহরের সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের কথা ভাবলে ছাদবাগানের সঙ্গে সোলার প্যানেল স্থাপনকে আপাতদৃষ্টে গুরুত্বহীন ভেবে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাপল তাদের নতুন ও সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন, আইফোন এয়ার, উন্মোচন করেছে। এই নতুন ডিভাইসটিকে ‘ভবিষ্যতের একটি টুকরো’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এর প্রধান শিল্প ডিজাইনার আবিদুর চৌধুরী। সম্পূর্ণ টাইটানিয়াম ধাতুতে মোড়া এই স্মার্টফোনের ২৫৬ জিবি মডেলের দাম নির্ধারণ
৪ ঘণ্টা আগেনতুন প্রজন্মের আইফোন সিরিজ উন্মোচনের পরপরই অ্যাপলকে নিয়ে ব্যঙ্গ করল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত অ্যাপলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে ‘আইফোন ১৭ এয়ার’ মডেল প্রকাশের পর স্যামসাং তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এসব ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করে।
৫ ঘণ্টা আগেআগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আইফোন প্রেমীদের হাতে পৌঁছাবে অ্যাপলের নতুন ফোন আইফোন এয়ার। গতকাল রাতে আইফোন ১৭ এবং আইফোন ১৭ প্রো’র সঙ্গে একসঙ্গে উন্মোচিত হয়েছে ফোনটি। এটি অ্যাপলের তৈরি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা আইফোন। দেখতে অপূর্ব, এক কথায় মন কাড়া। তবে শুধুই সৌন্দর্য নয়, আইফোন এয়ার নিয়ে বিতর্কও চলবে জোরেশোরে
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট তাদের জনপ্রিয় অফিস ৩৬৫ অ্যাপগুলোতে (যেমন ওয়ার্ড, এক্সেল, আউটলুক ও পাওয়ার পয়েন্ট) এআই চালিত নতুন ফিচার আনতে ওপেনএআই-এর পাশাপাশি এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক-এর এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে