Ajker Patrika

দেশে জুয়ার বিজ্ঞাপনে শীর্ষে ক্রিকইনফো, ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত ফয়েজ আহমদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৭
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি

জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।

ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।

বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।

অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইয়ের যুগে সাংবাদিকতা: প্রভাব, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে বিআইজেএফের কর্মশালা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ে গত শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এর আয়োজনে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ে গত শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এর আয়োজনে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।

‘এআই ইন জার্নালিজম: ইমপ্যাক্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে কর্মশালায় অংশ নেন সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলেন, এআই কোনো জাদুর চেরাগ নয়। আলাদিনের চেরাগের মতো এআই যত ভালোভাবে ঘষবেন, ততই ভালো ফল দেবে। এক টুল দিয়ে সব কাজ না করে, প্রয়োজনভেদে টুল ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের সব বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিকে নিউজরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এখনই, এমনটি না হলে শঙ্কা রয়েছে পিছিয়ে পড়ার।

কর্মশালায় ব্যবহারিক কয়েকটি দিক উপস্থাপন করেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর আজাদ বেগ। পিন পয়েন্ট এআই ও নোটবুক এলএমের মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ও মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তা দেখান। এআই ভুল ওয়েবসাইট বা পুরোনো তথ্য থেকে উত্তর দিতে পারে। তাই সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব তথ্য যাচাই করা। এটা কখনোই এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি হিটলার এ. হালিম। স্বাগত বক্তব্যে সহসভাপতি ভূঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘আগে ফটোশপ এসেছিল, এখন এআই। প্রযুক্তি বদলেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’

সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, সময়ের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ থেকেই এমন বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে এ ধরনের কর্মশালার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং বিসিএস মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী তুহিন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, হার্ডওয়্যার বাজারে নকল ও রিফারবিশড গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। আইসিটি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘বিসিএস ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’ আয়োজন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহযোগিতায় ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাবা-মায়ের কি প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের ফোন ট্র্যাকিং করা উচিত, তরুণেরা কী ভাবছেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১০
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭% অভিভাবক সন্তানের অবস্থান দেখতে ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। ছবি: সংগৃহীত
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭% অভিভাবক সন্তানের অবস্থান দেখতে ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। ছবি: সংগৃহীত

সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার বিষয়।

দুই সন্তানের বাবা স্টিভেন মেডওয়ে। ৫৩ বছর বয়সী এই বাবা তাঁর পুরো পরিবারকে একটি ট্র্যাকিং অ্যাপে যুক্ত করেছেন। তিনি এই বিষয়টিকে যুক্তিযুক্তই মনে করেন এবং বলেন এটা কেন এত বিতর্কিত হবে।

তিনি জানান, তাঁর মেয়ে মার্থার বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ি থেকে ১০০ মাইল দূরে। মার্থা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তখন এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

স্টিভেন বলেন, ‘এই অ্যাপের কারণে সে কিছুটা কম দূরত্ব অনুভব করে এবং নিরাপদ বোধ করে।’

যুক্তরাজ্যের ইউনাইট স্টুডেন্টসের একটি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ১০২৭ শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে মাত্র ১৭ শতাংশ অভিভাবক প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করেন জেনারেল প্র্যাকটিশনার ও লেখক ডা. মার্টিন ব্রুনেট। তিনি বলেছেন, যদিও এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ, তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন সন্তানদের স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়ার জন্য, যাতে তাদের মঙ্গল হয়।

তিনি বলেন, ‘পিতামাতার সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি হলো ছেড়ে দেওয়া, আর আমাদের আধুনিক জীবন আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমি জানি না এটা ভালো বিষয় কি না।’

মাইকেলস্টন-ওয়াই-ফেডও এলাকার বাসিন্দা স্টিভেন বছরখানেক ধরে ‘লাইফ ৩৬০ অ্যাপ’ ব্যবহার করছেন। ১৯ বছর বয়সী মেয়ে মার্থা যখন গ্রামের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেছিল তখন থেকে তিনি এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাম এলাকায় বাস করি। আমি মনে করি, এটা ভালো। যদি মার্থাকে কেউ নিয়ে আসতে বা নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে মার্থা যেখানেই থাকুক, এটা দিকনির্দেশনা দেবে।’

গত সেপ্টেম্বর মাসে মার্থা রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সে সময় এই অ্যাপটি আরও বেশি কাজে লাগতে থাকে। স্টিভেন বলেন, ‘সে পার্টিতে যায়, সাড়ে ৩টা বেজে গেলেও দেখা যায় সে হলে যায়নি। তবে এটা এখন আর সমস্যা নয়। আমিও ফোন করি না যে কী হচ্ছে। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি, তখন দেখতে পাই সে হলে ফিরে এসেছে। যদি না ফেরত এসে থাকত, যদি সে তখনো বাইরে থাকত, হয়তো আমি তাকে ফোন দিতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এটা না চাওয়া নয় যে সে কিছু করবে না, আমি শুধু জানতেই চাই যে সে ঠিকভাবে ফিরে এসেছে।’

স্টিভেন আরও যোগ করেন, মার্থা অনেক স্বাধীনমনা মেয়ে। একা জাপান ভ্রমণ করেছে এক মাস আগে। বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপেও গিয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে থাকতে পারে সে। কিন্তু মার্থা একবারও অ্যাপটি বন্ধ করেনি। স্টিভেন বলেন, ‘মার্থা যদি চায় তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাব। অনেকেই ভুল ভাবে, আমি তাকে ট্র্যাক করতে বাধ্য করছি। যেকোনো সময়, যদি মার্থা না চায়, সে এটি বন্ধ করে দিতে পারে। আমি তাকে কিছুই বলব না।’

সোয়ানসি থেকে হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে এসেছেন পাবল্যান্ডলেডি মারিয়া কনলির ১৯ বছর বয়সী ছেলে ওয়েইন।

ওয়েইন অটিস্টিক হওয়ায় ৫৬ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, সে অনেকটা সরলমনা। কখনো কখনো তাঁর সমবয়সীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে কষ্ট হয়। তাই এই অ্যাপটি তাকে নিশ্চিন্ত রাখে।

মারিয়া জানান, তিনি দিনে দুবার অ্যাপটি চেক করেন, যাতে নিশ্চিত হতে পারেন ওয়েইন বাইরে যাচ্ছে এবং তাঁর ফোনের ব্যাটারি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, প্রয়োজনে তাঁকে চার্জ করতে মনে করাতে পারেন।

মারিয়া বলেন, ‘প্রথমে সে একটু অনিচ্ছুক ছিল। তখন আমি বলেছিলাম, আমি তোমার মোবাইল ফোন বিল দিই, তাই যদি চাও আমি বিল দিতে থাকি, তাহলে তোমার ফোনে এই অ্যাপটি রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো রেস্টুরেন্টে আছে দেখতে পাই তখন তাঁকে বলি তুমি কোন টেবিলে আছো? আমি কি কোনো ড্রিংক পাঠাব?’

ওয়েইনের মা আরও বলেন, ‘এই অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি যেন কঠোর মনে না হয় তাই এরকম মজার আলাপ রাখি। তবে মনের এক কোণে সবসময় থাকে যে এটি নিরাপত্তার জন্য।’

তিনি জানান, ওয়েইন যদি আর অ্যাপটি ব্যবহার করতে না চায়, তবে তিনি নিরাশ হবেন, কিন্তু সে সময়ও এটি মেনে নেবেন। তবে তাঁকে আরও বেশি মেসেজ ও ফোন করবেন এটা নিশ্চিত।

মারিয়া বলেন, ‘আমি তাকে ছাড়তে শিখেছি, সে তার স্বাধীনতা পেয়েছে। আমি সারাক্ষণ অ্যাপ দেখছি না। শুধু এটাই জানি, একটা ছোট্ট নিরাপত্তার জাল আছে। সে আর শিশু নয়, কিন্তু সে আমার সন্তান। সে আমার সোনা।’

স্টিভেনের জন্যও নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে সেন্ট মেলন্সে ট্রিপল ডেথ-দুর্ঘটনা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট গাড়িটি খুঁজে পেতে পুলিশের দুদিন লেগেছিল।

তিনি বলেন, ‘সেসব পরিস্থিতিতে দ্রুততা ও যথার্থতা খুব জরুরি। আর একটি ট্র্যাকিং অ্যাপ আমাদের সেটা দেয়। আমার কাছে এর মূল্য অপরিমেয়।’

স্টিভেন জানান, যদিও মেয়ের প্রতি বিশ্বাসহীন হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাস্তবে তার উল্টো। কারণ, যদি আপনি আপনার পরিবারকে ২৪ ঘণ্টা তাদের অবস্থানের তথ্য জানার অনুমতি দিচ্ছেন, তবে আপনাকে তাদের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।

ইউনাইট স্টুডেন্টসের জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত সন্তানের জন্য ৭১ শতাংশ বাবা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে ৫৯ শতাংশ মা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।

কার্ডিফের লিয়ান হ্যানামও লাইফ ৩৬০ ব্যবহার করেন তাঁর ২১ বছর বয়সী মেয়ে এরিন মে এবং ১৫ বছর বয়সী ছেলে অস্টিন লির জন্য।

তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে, বিশ্বের যে পরিস্থিতি, আমি জানতেই চাই আমার সন্তানেরা কোথায় আছে।’

লিয়ান জানান, প্রায় এক বছর আগে তাঁর মেয়ে এরিন মেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পরামর্শ দিয়েছিল। সে ও তার বন্ধুরা এটি ব্যবহার করছিল।

৪৫ বছর বয়সী লিয়ান মনে করেছিলেন, এটি একটি ভালো ধারণা, বিশেষ করে তার মেয়ে নতুন গাড়ি চালানো শিখেছিল। আর চাকরি শুরু করেছিল যেখানে নাইট ডিউটি ছিল।

লিয়ান বলেন, ‘এটি আমাকে শান্তি দেয়, কারণ আমি অত্যন্ত চিন্তিত থাকি। তবে আমি তাকে স্বাধীনতা দিতে পারি, কারণ আমি জানি সে কোথায় আছে, আমি সারাক্ষণ তার সঙ্গে যুক্ত থাকি না। আমার সন্তানেরা বড় হওয়ায় আমি তাদের ছাড়তে কষ্ট পাই এমনটা নয়, আমি বাইরের বিশ্ব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। এই বিশ্বটা আমাকে ভয় দেখায়।’

ডা. ব্রুনেট বলেন, তিনি মনে করেন না যে আগে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে বেশি উদ্বিগ্ন হতেন।

তিনি বলেন, ‘যদি আপনি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ট্র্যাক করেন, তাহলে কি পাঁচ বছর পরও তাদের ট্র্যাক করবেন? এটা কখন থামবে? আমি মনে করি না ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলো খারাপ, তবে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায় এবং সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণাটিও বিক্রি করে যে, যদি আপনি আপনার সন্তানকে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি তাদের ট্র্যাক করতে চাইবেন, আর এতে আপনি শান্ত বোধ করবেন।’

ব্রুনেট বলেন, ‘স্বল্প সময়ের জন্য মনে হতে পারে এটি আপনার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেছে, কিন্তু আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদেও ভাবতে হবে। আপনি যদি কোনো গাছকে ঘরের ভেতরে চাষ করেন যেখানে কোনো বাতাস নেই, তা লম্বা হয় কিন্তু শক্ত হয় না। আপনার সন্তানেরাও, নিরাপদ পরিবেশে থাকলেও, কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৩
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো যাবে কম্পিউটারে। ছবি: অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো যাবে কম্পিউটারে। ছবি: অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।

গত সেপ্টেম্বরে কোয়ালকমের সিইও ক্রিশ্চিয়ানো অ্যামন গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক অস্টারলো-কে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। এই নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুগল সরাসরি পিসি বাজারকে টার্গেট করছে। এর মূল আকর্ষণ থাকবে জেমিনি, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইকোসিস্টেম এবং একটি শক্তিশালী ডেভেলপার কমিউনিটি।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ নাম ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’ বা ‘এএলওএস’ সামনে এসেছে। এটি সম্ভবত ক্রোমিয়াম-এর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। এই চাকরির বিজ্ঞাপনটি ছিল ‘অ্যান্ড্রয়েড ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট’-এর জন্য একজন সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজারের। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ওএস হলো ‘অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক’ এবং এটির ‘মূলে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি শুধু প্রথাগত ল্যাপটপেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অ্যালুমিনিয়াম ওএস বাণিজ্যিক বাজারে ল্যাপটপ, ডিটাচেবল, ট্যাবলেট এবং ক্রোমবক্সসহ বিভিন্ন ফর্ম ফ্যাক্টরে প্রবেশ করবে। বাজার ধরার জন্য এটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমন এএল এন্ট্রি, এএল ম্যাস প্রিমিয়াম এবং এএল প্রিমিয়াম।

তবে আপাতত অ্যালুমিনিয়াম ওএস এবং ক্রোমওএস প্ল্যাটফর্ম দুটি সমান্তরালভাবে চলতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ বিদ্যমান ডিভাইসগুলোর সাপোর্ট লাইফ সাইকেল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রিমিয়াম বাজারে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গুগল সম্ভবত এই নতুন সিস্টেমটির জন্য ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনতে পারে অথবা এটিকে ক্রোমওএস নামেই নতুনভাবে বাজারজাত করতে পারে।

হার্ডওয়্যার ফ্রন্টে, কোয়ালকমের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন এক্স২ এলিট চিপ অ্যালুমিনিয়াম ওএস-ভিত্তিক পিসিগুলোতে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। কোয়ালকমের সিইওর মন্তব্যের কারণে এই অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। এই নতুন প্ল্যাটফর্ম পিসি বাজারে উইন্ডোজের জন্য তৈরি স্ন্যাপড্রাগন চিপগুলোর চেয়েও বেশি সুবিধা ক্রোমওএসের জন্য নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে গুগলের ডেটা সেন্টারে আদানির ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ চূড়ান্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি গ্রুপ।

চলতি বছরের অক্টোবরেই গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে একটি বৃহৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে। এই প্রকল্প এখন পর্যন্ত ভারতে গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

এআই প্রযুক্তিতে বিপুল পরিমাণ কম্পিউটিং শক্তি বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হয়। যেহেতু এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। তাই হাজার হাজার চিপ একসঙ্গে যুক্ত করে বিশেষায়িত ডেটা সেন্টারের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।

আদানি গ্রুপের সিএফও জুগেশিন্দার সিং জানান, গুগলের এ প্রকল্প আদানি কনেক্সকে (আদানি এন্টারপ্রাইজেস ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটা সেন্টার অপারেটর এজকনেক্সের যৌথ উদ্যোগ) সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘শুধু গুগল নয়, অনেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’

গুগল চলতি বছরই বিশ্বব্যাপী ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াতে ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এআইয়ের ব্যবহার বাড়ায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে বড় ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকছে।

ভারতের দুই শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিও দেশের ভেতরে বিশাল আকারের ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।

জানা গেছে, গুগলের এআই ডেটা সেন্টারটি অন্ধ্র প্রদেশের বন্দরনগর বিশাখাপট্টনমে নির্মিত হবে। প্রকল্পের প্রাথমিক ক্ষমতা থাকবে ১ গিগাওয়াট, যা ভারতের ডেটা সেন্টার শিল্পে একটি বিশাল মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত