ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
‘এআই ইন জার্নালিজম: ইমপ্যাক্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে কর্মশালায় অংশ নেন সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলেন, এআই কোনো জাদুর চেরাগ নয়। আলাদিনের চেরাগের মতো এআই যত ভালোভাবে ঘষবেন, ততই ভালো ফল দেবে। এক টুল দিয়ে সব কাজ না করে, প্রয়োজনভেদে টুল ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের সব বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিকে নিউজরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এখনই, এমনটি না হলে শঙ্কা রয়েছে পিছিয়ে পড়ার।
কর্মশালায় ব্যবহারিক কয়েকটি দিক উপস্থাপন করেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর আজাদ বেগ। পিন পয়েন্ট এআই ও নোটবুক এলএমের মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ও মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তা দেখান। এআই ভুল ওয়েবসাইট বা পুরোনো তথ্য থেকে উত্তর দিতে পারে। তাই সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব তথ্য যাচাই করা। এটা কখনোই এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি হিটলার এ. হালিম। স্বাগত বক্তব্যে সহসভাপতি ভূঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘আগে ফটোশপ এসেছিল, এখন এআই। প্রযুক্তি বদলেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, সময়ের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ থেকেই এমন বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে এ ধরনের কর্মশালার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং বিসিএস মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী তুহিন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হার্ডওয়্যার বাজারে নকল ও রিফারবিশড গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। আইসিটি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘বিসিএস ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’ আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহযোগিতায় ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
‘এআই ইন জার্নালিজম: ইমপ্যাক্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে কর্মশালায় অংশ নেন সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলেন, এআই কোনো জাদুর চেরাগ নয়। আলাদিনের চেরাগের মতো এআই যত ভালোভাবে ঘষবেন, ততই ভালো ফল দেবে। এক টুল দিয়ে সব কাজ না করে, প্রয়োজনভেদে টুল ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের সব বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিকে নিউজরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এখনই, এমনটি না হলে শঙ্কা রয়েছে পিছিয়ে পড়ার।
কর্মশালায় ব্যবহারিক কয়েকটি দিক উপস্থাপন করেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর আজাদ বেগ। পিন পয়েন্ট এআই ও নোটবুক এলএমের মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ও মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তা দেখান। এআই ভুল ওয়েবসাইট বা পুরোনো তথ্য থেকে উত্তর দিতে পারে। তাই সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব তথ্য যাচাই করা। এটা কখনোই এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি হিটলার এ. হালিম। স্বাগত বক্তব্যে সহসভাপতি ভূঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘আগে ফটোশপ এসেছিল, এখন এআই। প্রযুক্তি বদলেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, সময়ের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ থেকেই এমন বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে এ ধরনের কর্মশালার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং বিসিএস মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী তুহিন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হার্ডওয়্যার বাজারে নকল ও রিফারবিশড গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। আইসিটি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘বিসিএস ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’ আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহযোগিতায় ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
‘এআই ইন জার্নালিজম: ইমপ্যাক্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে কর্মশালায় অংশ নেন সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলেন, এআই কোনো জাদুর চেরাগ নয়। আলাদিনের চেরাগের মতো এআই যত ভালোভাবে ঘষবেন, ততই ভালো ফল দেবে। এক টুল দিয়ে সব কাজ না করে, প্রয়োজনভেদে টুল ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের সব বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিকে নিউজরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এখনই, এমনটি না হলে শঙ্কা রয়েছে পিছিয়ে পড়ার।
কর্মশালায় ব্যবহারিক কয়েকটি দিক উপস্থাপন করেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর আজাদ বেগ। পিন পয়েন্ট এআই ও নোটবুক এলএমের মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ও মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তা দেখান। এআই ভুল ওয়েবসাইট বা পুরোনো তথ্য থেকে উত্তর দিতে পারে। তাই সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব তথ্য যাচাই করা। এটা কখনোই এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি হিটলার এ. হালিম। স্বাগত বক্তব্যে সহসভাপতি ভূঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘আগে ফটোশপ এসেছিল, এখন এআই। প্রযুক্তি বদলেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, সময়ের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ থেকেই এমন বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে এ ধরনের কর্মশালার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং বিসিএস মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী তুহিন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হার্ডওয়্যার বাজারে নকল ও রিফারবিশড গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। আইসিটি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘বিসিএস ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’ আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহযোগিতায় ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
‘এআই ইন জার্নালিজম: ইমপ্যাক্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে কর্মশালায় অংশ নেন সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলেন, এআই কোনো জাদুর চেরাগ নয়। আলাদিনের চেরাগের মতো এআই যত ভালোভাবে ঘষবেন, ততই ভালো ফল দেবে। এক টুল দিয়ে সব কাজ না করে, প্রয়োজনভেদে টুল ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের সব বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিকে নিউজরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এখনই, এমনটি না হলে শঙ্কা রয়েছে পিছিয়ে পড়ার।
কর্মশালায় ব্যবহারিক কয়েকটি দিক উপস্থাপন করেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর আজাদ বেগ। পিন পয়েন্ট এআই ও নোটবুক এলএমের মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ও মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তা দেখান। এআই ভুল ওয়েবসাইট বা পুরোনো তথ্য থেকে উত্তর দিতে পারে। তাই সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব তথ্য যাচাই করা। এটা কখনোই এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি হিটলার এ. হালিম। স্বাগত বক্তব্যে সহসভাপতি ভূঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘আগে ফটোশপ এসেছিল, এখন এআই। প্রযুক্তি বদলেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, সময়ের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ থেকেই এমন বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে এ ধরনের কর্মশালার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং বিসিএস মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী তুহিন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হার্ডওয়্যার বাজারে নকল ও রিফারবিশড গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। আইসিটি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘বিসিএস ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’ আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহযোগিতায় ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েড-এর সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
১ দিন আগে
গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি
২ দিন আগে
গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার বিষয়।
দুই সন্তানের বাবা স্টিভেন মেডওয়ে। ৫৩ বছর বয়সী এই বাবা তাঁর পুরো পরিবারকে একটি ট্র্যাকিং অ্যাপে যুক্ত করেছেন। তিনি এই বিষয়টিকে যুক্তিযুক্তই মনে করেন এবং বলেন এটা কেন এত বিতর্কিত হবে।
তিনি জানান, তাঁর মেয়ে মার্থার বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ি থেকে ১০০ মাইল দূরে। মার্থা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তখন এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
স্টিভেন বলেন, ‘এই অ্যাপের কারণে সে কিছুটা কম দূরত্ব অনুভব করে এবং নিরাপদ বোধ করে।’
যুক্তরাজ্যের ইউনাইট স্টুডেন্টসের একটি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ১০২৭ শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে মাত্র ১৭ শতাংশ অভিভাবক প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করেন জেনারেল প্র্যাকটিশনার ও লেখক ডা. মার্টিন ব্রুনেট। তিনি বলেছেন, যদিও এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ, তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন সন্তানদের স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়ার জন্য, যাতে তাদের মঙ্গল হয়।
তিনি বলেন, ‘পিতামাতার সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি হলো ছেড়ে দেওয়া, আর আমাদের আধুনিক জীবন আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমি জানি না এটা ভালো বিষয় কি না।’
মাইকেলস্টন-ওয়াই-ফেডও এলাকার বাসিন্দা স্টিভেন বছরখানেক ধরে ‘লাইফ ৩৬০ অ্যাপ’ ব্যবহার করছেন। ১৯ বছর বয়সী মেয়ে মার্থা যখন গ্রামের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেছিল তখন থেকে তিনি এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাম এলাকায় বাস করি। আমি মনে করি, এটা ভালো। যদি মার্থাকে কেউ নিয়ে আসতে বা নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে মার্থা যেখানেই থাকুক, এটা দিকনির্দেশনা দেবে।’
গত সেপ্টেম্বর মাসে মার্থা রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সে সময় এই অ্যাপটি আরও বেশি কাজে লাগতে থাকে। স্টিভেন বলেন, ‘সে পার্টিতে যায়, সাড়ে ৩টা বেজে গেলেও দেখা যায় সে হলে যায়নি। তবে এটা এখন আর সমস্যা নয়। আমিও ফোন করি না যে কী হচ্ছে। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি, তখন দেখতে পাই সে হলে ফিরে এসেছে। যদি না ফেরত এসে থাকত, যদি সে তখনো বাইরে থাকত, হয়তো আমি তাকে ফোন দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এটা না চাওয়া নয় যে সে কিছু করবে না, আমি শুধু জানতেই চাই যে সে ঠিকভাবে ফিরে এসেছে।’
স্টিভেন আরও যোগ করেন, মার্থা অনেক স্বাধীনমনা মেয়ে। একা জাপান ভ্রমণ করেছে এক মাস আগে। বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপেও গিয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে থাকতে পারে সে। কিন্তু মার্থা একবারও অ্যাপটি বন্ধ করেনি। স্টিভেন বলেন, ‘মার্থা যদি চায় তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাব। অনেকেই ভুল ভাবে, আমি তাকে ট্র্যাক করতে বাধ্য করছি। যেকোনো সময়, যদি মার্থা না চায়, সে এটি বন্ধ করে দিতে পারে। আমি তাকে কিছুই বলব না।’
সোয়ানসি থেকে হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে এসেছেন পাবল্যান্ডলেডি মারিয়া কনলির ১৯ বছর বয়সী ছেলে ওয়েইন।
ওয়েইন অটিস্টিক হওয়ায় ৫৬ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, সে অনেকটা সরলমনা। কখনো কখনো তাঁর সমবয়সীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে কষ্ট হয়। তাই এই অ্যাপটি তাকে নিশ্চিন্ত রাখে।
মারিয়া জানান, তিনি দিনে দুবার অ্যাপটি চেক করেন, যাতে নিশ্চিত হতে পারেন ওয়েইন বাইরে যাচ্ছে এবং তাঁর ফোনের ব্যাটারি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, প্রয়োজনে তাঁকে চার্জ করতে মনে করাতে পারেন।
মারিয়া বলেন, ‘প্রথমে সে একটু অনিচ্ছুক ছিল। তখন আমি বলেছিলাম, আমি তোমার মোবাইল ফোন বিল দিই, তাই যদি চাও আমি বিল দিতে থাকি, তাহলে তোমার ফোনে এই অ্যাপটি রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো রেস্টুরেন্টে আছে দেখতে পাই তখন তাঁকে বলি তুমি কোন টেবিলে আছো? আমি কি কোনো ড্রিংক পাঠাব?’
ওয়েইনের মা আরও বলেন, ‘এই অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি যেন কঠোর মনে না হয় তাই এরকম মজার আলাপ রাখি। তবে মনের এক কোণে সবসময় থাকে যে এটি নিরাপত্তার জন্য।’
তিনি জানান, ওয়েইন যদি আর অ্যাপটি ব্যবহার করতে না চায়, তবে তিনি নিরাশ হবেন, কিন্তু সে সময়ও এটি মেনে নেবেন। তবে তাঁকে আরও বেশি মেসেজ ও ফোন করবেন এটা নিশ্চিত।
মারিয়া বলেন, ‘আমি তাকে ছাড়তে শিখেছি, সে তার স্বাধীনতা পেয়েছে। আমি সারাক্ষণ অ্যাপ দেখছি না। শুধু এটাই জানি, একটা ছোট্ট নিরাপত্তার জাল আছে। সে আর শিশু নয়, কিন্তু সে আমার সন্তান। সে আমার সোনা।’
স্টিভেনের জন্যও নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে সেন্ট মেলন্সে ট্রিপল ডেথ-দুর্ঘটনা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট গাড়িটি খুঁজে পেতে পুলিশের দুদিন লেগেছিল।
তিনি বলেন, ‘সেসব পরিস্থিতিতে দ্রুততা ও যথার্থতা খুব জরুরি। আর একটি ট্র্যাকিং অ্যাপ আমাদের সেটা দেয়। আমার কাছে এর মূল্য অপরিমেয়।’
স্টিভেন জানান, যদিও মেয়ের প্রতি বিশ্বাসহীন হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাস্তবে তার উল্টো। কারণ, যদি আপনি আপনার পরিবারকে ২৪ ঘণ্টা তাদের অবস্থানের তথ্য জানার অনুমতি দিচ্ছেন, তবে আপনাকে তাদের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।
ইউনাইট স্টুডেন্টসের জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত সন্তানের জন্য ৭১ শতাংশ বাবা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে ৫৯ শতাংশ মা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।
কার্ডিফের লিয়ান হ্যানামও লাইফ ৩৬০ ব্যবহার করেন তাঁর ২১ বছর বয়সী মেয়ে এরিন মে এবং ১৫ বছর বয়সী ছেলে অস্টিন লির জন্য।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে, বিশ্বের যে পরিস্থিতি, আমি জানতেই চাই আমার সন্তানেরা কোথায় আছে।’
লিয়ান জানান, প্রায় এক বছর আগে তাঁর মেয়ে এরিন মেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পরামর্শ দিয়েছিল। সে ও তার বন্ধুরা এটি ব্যবহার করছিল।
৪৫ বছর বয়সী লিয়ান মনে করেছিলেন, এটি একটি ভালো ধারণা, বিশেষ করে তার মেয়ে নতুন গাড়ি চালানো শিখেছিল। আর চাকরি শুরু করেছিল যেখানে নাইট ডিউটি ছিল।
লিয়ান বলেন, ‘এটি আমাকে শান্তি দেয়, কারণ আমি অত্যন্ত চিন্তিত থাকি। তবে আমি তাকে স্বাধীনতা দিতে পারি, কারণ আমি জানি সে কোথায় আছে, আমি সারাক্ষণ তার সঙ্গে যুক্ত থাকি না। আমার সন্তানেরা বড় হওয়ায় আমি তাদের ছাড়তে কষ্ট পাই এমনটা নয়, আমি বাইরের বিশ্ব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। এই বিশ্বটা আমাকে ভয় দেখায়।’
ডা. ব্রুনেট বলেন, তিনি মনে করেন না যে আগে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে বেশি উদ্বিগ্ন হতেন।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ট্র্যাক করেন, তাহলে কি পাঁচ বছর পরও তাদের ট্র্যাক করবেন? এটা কখন থামবে? আমি মনে করি না ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলো খারাপ, তবে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায় এবং সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণাটিও বিক্রি করে যে, যদি আপনি আপনার সন্তানকে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি তাদের ট্র্যাক করতে চাইবেন, আর এতে আপনি শান্ত বোধ করবেন।’
ব্রুনেট বলেন, ‘স্বল্প সময়ের জন্য মনে হতে পারে এটি আপনার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেছে, কিন্তু আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদেও ভাবতে হবে। আপনি যদি কোনো গাছকে ঘরের ভেতরে চাষ করেন যেখানে কোনো বাতাস নেই, তা লম্বা হয় কিন্তু শক্ত হয় না। আপনার সন্তানেরাও, নিরাপদ পরিবেশে থাকলেও, কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’
সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার বিষয়।
দুই সন্তানের বাবা স্টিভেন মেডওয়ে। ৫৩ বছর বয়সী এই বাবা তাঁর পুরো পরিবারকে একটি ট্র্যাকিং অ্যাপে যুক্ত করেছেন। তিনি এই বিষয়টিকে যুক্তিযুক্তই মনে করেন এবং বলেন এটা কেন এত বিতর্কিত হবে।
তিনি জানান, তাঁর মেয়ে মার্থার বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ি থেকে ১০০ মাইল দূরে। মার্থা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তখন এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
স্টিভেন বলেন, ‘এই অ্যাপের কারণে সে কিছুটা কম দূরত্ব অনুভব করে এবং নিরাপদ বোধ করে।’
যুক্তরাজ্যের ইউনাইট স্টুডেন্টসের একটি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ১০২৭ শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে মাত্র ১৭ শতাংশ অভিভাবক প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করেন জেনারেল প্র্যাকটিশনার ও লেখক ডা. মার্টিন ব্রুনেট। তিনি বলেছেন, যদিও এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ, তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন সন্তানদের স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়ার জন্য, যাতে তাদের মঙ্গল হয়।
তিনি বলেন, ‘পিতামাতার সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি হলো ছেড়ে দেওয়া, আর আমাদের আধুনিক জীবন আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমি জানি না এটা ভালো বিষয় কি না।’
মাইকেলস্টন-ওয়াই-ফেডও এলাকার বাসিন্দা স্টিভেন বছরখানেক ধরে ‘লাইফ ৩৬০ অ্যাপ’ ব্যবহার করছেন। ১৯ বছর বয়সী মেয়ে মার্থা যখন গ্রামের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেছিল তখন থেকে তিনি এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাম এলাকায় বাস করি। আমি মনে করি, এটা ভালো। যদি মার্থাকে কেউ নিয়ে আসতে বা নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে মার্থা যেখানেই থাকুক, এটা দিকনির্দেশনা দেবে।’
গত সেপ্টেম্বর মাসে মার্থা রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সে সময় এই অ্যাপটি আরও বেশি কাজে লাগতে থাকে। স্টিভেন বলেন, ‘সে পার্টিতে যায়, সাড়ে ৩টা বেজে গেলেও দেখা যায় সে হলে যায়নি। তবে এটা এখন আর সমস্যা নয়। আমিও ফোন করি না যে কী হচ্ছে। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি, তখন দেখতে পাই সে হলে ফিরে এসেছে। যদি না ফেরত এসে থাকত, যদি সে তখনো বাইরে থাকত, হয়তো আমি তাকে ফোন দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এটা না চাওয়া নয় যে সে কিছু করবে না, আমি শুধু জানতেই চাই যে সে ঠিকভাবে ফিরে এসেছে।’
স্টিভেন আরও যোগ করেন, মার্থা অনেক স্বাধীনমনা মেয়ে। একা জাপান ভ্রমণ করেছে এক মাস আগে। বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপেও গিয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে থাকতে পারে সে। কিন্তু মার্থা একবারও অ্যাপটি বন্ধ করেনি। স্টিভেন বলেন, ‘মার্থা যদি চায় তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাব। অনেকেই ভুল ভাবে, আমি তাকে ট্র্যাক করতে বাধ্য করছি। যেকোনো সময়, যদি মার্থা না চায়, সে এটি বন্ধ করে দিতে পারে। আমি তাকে কিছুই বলব না।’
সোয়ানসি থেকে হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে এসেছেন পাবল্যান্ডলেডি মারিয়া কনলির ১৯ বছর বয়সী ছেলে ওয়েইন।
ওয়েইন অটিস্টিক হওয়ায় ৫৬ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, সে অনেকটা সরলমনা। কখনো কখনো তাঁর সমবয়সীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে কষ্ট হয়। তাই এই অ্যাপটি তাকে নিশ্চিন্ত রাখে।
মারিয়া জানান, তিনি দিনে দুবার অ্যাপটি চেক করেন, যাতে নিশ্চিত হতে পারেন ওয়েইন বাইরে যাচ্ছে এবং তাঁর ফোনের ব্যাটারি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, প্রয়োজনে তাঁকে চার্জ করতে মনে করাতে পারেন।
মারিয়া বলেন, ‘প্রথমে সে একটু অনিচ্ছুক ছিল। তখন আমি বলেছিলাম, আমি তোমার মোবাইল ফোন বিল দিই, তাই যদি চাও আমি বিল দিতে থাকি, তাহলে তোমার ফোনে এই অ্যাপটি রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো রেস্টুরেন্টে আছে দেখতে পাই তখন তাঁকে বলি তুমি কোন টেবিলে আছো? আমি কি কোনো ড্রিংক পাঠাব?’
ওয়েইনের মা আরও বলেন, ‘এই অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি যেন কঠোর মনে না হয় তাই এরকম মজার আলাপ রাখি। তবে মনের এক কোণে সবসময় থাকে যে এটি নিরাপত্তার জন্য।’
তিনি জানান, ওয়েইন যদি আর অ্যাপটি ব্যবহার করতে না চায়, তবে তিনি নিরাশ হবেন, কিন্তু সে সময়ও এটি মেনে নেবেন। তবে তাঁকে আরও বেশি মেসেজ ও ফোন করবেন এটা নিশ্চিত।
মারিয়া বলেন, ‘আমি তাকে ছাড়তে শিখেছি, সে তার স্বাধীনতা পেয়েছে। আমি সারাক্ষণ অ্যাপ দেখছি না। শুধু এটাই জানি, একটা ছোট্ট নিরাপত্তার জাল আছে। সে আর শিশু নয়, কিন্তু সে আমার সন্তান। সে আমার সোনা।’
স্টিভেনের জন্যও নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে সেন্ট মেলন্সে ট্রিপল ডেথ-দুর্ঘটনা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট গাড়িটি খুঁজে পেতে পুলিশের দুদিন লেগেছিল।
তিনি বলেন, ‘সেসব পরিস্থিতিতে দ্রুততা ও যথার্থতা খুব জরুরি। আর একটি ট্র্যাকিং অ্যাপ আমাদের সেটা দেয়। আমার কাছে এর মূল্য অপরিমেয়।’
স্টিভেন জানান, যদিও মেয়ের প্রতি বিশ্বাসহীন হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাস্তবে তার উল্টো। কারণ, যদি আপনি আপনার পরিবারকে ২৪ ঘণ্টা তাদের অবস্থানের তথ্য জানার অনুমতি দিচ্ছেন, তবে আপনাকে তাদের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।
ইউনাইট স্টুডেন্টসের জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত সন্তানের জন্য ৭১ শতাংশ বাবা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে ৫৯ শতাংশ মা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।
কার্ডিফের লিয়ান হ্যানামও লাইফ ৩৬০ ব্যবহার করেন তাঁর ২১ বছর বয়সী মেয়ে এরিন মে এবং ১৫ বছর বয়সী ছেলে অস্টিন লির জন্য।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে, বিশ্বের যে পরিস্থিতি, আমি জানতেই চাই আমার সন্তানেরা কোথায় আছে।’
লিয়ান জানান, প্রায় এক বছর আগে তাঁর মেয়ে এরিন মেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পরামর্শ দিয়েছিল। সে ও তার বন্ধুরা এটি ব্যবহার করছিল।
৪৫ বছর বয়সী লিয়ান মনে করেছিলেন, এটি একটি ভালো ধারণা, বিশেষ করে তার মেয়ে নতুন গাড়ি চালানো শিখেছিল। আর চাকরি শুরু করেছিল যেখানে নাইট ডিউটি ছিল।
লিয়ান বলেন, ‘এটি আমাকে শান্তি দেয়, কারণ আমি অত্যন্ত চিন্তিত থাকি। তবে আমি তাকে স্বাধীনতা দিতে পারি, কারণ আমি জানি সে কোথায় আছে, আমি সারাক্ষণ তার সঙ্গে যুক্ত থাকি না। আমার সন্তানেরা বড় হওয়ায় আমি তাদের ছাড়তে কষ্ট পাই এমনটা নয়, আমি বাইরের বিশ্ব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। এই বিশ্বটা আমাকে ভয় দেখায়।’
ডা. ব্রুনেট বলেন, তিনি মনে করেন না যে আগে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে বেশি উদ্বিগ্ন হতেন।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ট্র্যাক করেন, তাহলে কি পাঁচ বছর পরও তাদের ট্র্যাক করবেন? এটা কখন থামবে? আমি মনে করি না ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলো খারাপ, তবে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায় এবং সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণাটিও বিক্রি করে যে, যদি আপনি আপনার সন্তানকে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি তাদের ট্র্যাক করতে চাইবেন, আর এতে আপনি শান্ত বোধ করবেন।’
ব্রুনেট বলেন, ‘স্বল্প সময়ের জন্য মনে হতে পারে এটি আপনার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেছে, কিন্তু আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদেও ভাবতে হবে। আপনি যদি কোনো গাছকে ঘরের ভেতরে চাষ করেন যেখানে কোনো বাতাস নেই, তা লম্বা হয় কিন্তু শক্ত হয় না। আপনার সন্তানেরাও, নিরাপদ পরিবেশে থাকলেও, কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গত শনিবার রাজধানীর...
২১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েড-এর সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
১ দিন আগে
গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি
২ দিন আগে
গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
গত সেপ্টেম্বরে কোয়ালকমের সিইও ক্রিশ্চিয়ানো অ্যামন গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক অস্টারলো-কে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। এই নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুগল সরাসরি পিসি বাজারকে টার্গেট করছে। এর মূল আকর্ষণ থাকবে জেমিনি, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইকোসিস্টেম এবং একটি শক্তিশালী ডেভেলপার কমিউনিটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ নাম ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’ বা ‘এএলওএস’ সামনে এসেছে। এটি সম্ভবত ক্রোমিয়াম-এর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। এই চাকরির বিজ্ঞাপনটি ছিল ‘অ্যান্ড্রয়েড ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট’-এর জন্য একজন সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজারের। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ওএস হলো ‘অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক’ এবং এটির ‘মূলে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি শুধু প্রথাগত ল্যাপটপেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অ্যালুমিনিয়াম ওএস বাণিজ্যিক বাজারে ল্যাপটপ, ডিটাচেবল, ট্যাবলেট এবং ক্রোমবক্সসহ বিভিন্ন ফর্ম ফ্যাক্টরে প্রবেশ করবে। বাজার ধরার জন্য এটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমন এএল এন্ট্রি, এএল ম্যাস প্রিমিয়াম এবং এএল প্রিমিয়াম।
তবে আপাতত অ্যালুমিনিয়াম ওএস এবং ক্রোমওএস প্ল্যাটফর্ম দুটি সমান্তরালভাবে চলতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ বিদ্যমান ডিভাইসগুলোর সাপোর্ট লাইফ সাইকেল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রিমিয়াম বাজারে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গুগল সম্ভবত এই নতুন সিস্টেমটির জন্য ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনতে পারে অথবা এটিকে ক্রোমওএস নামেই নতুনভাবে বাজারজাত করতে পারে।
হার্ডওয়্যার ফ্রন্টে, কোয়ালকমের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন এক্স২ এলিট চিপ অ্যালুমিনিয়াম ওএস-ভিত্তিক পিসিগুলোতে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। কোয়ালকমের সিইওর মন্তব্যের কারণে এই অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। এই নতুন প্ল্যাটফর্ম পিসি বাজারে উইন্ডোজের জন্য তৈরি স্ন্যাপড্রাগন চিপগুলোর চেয়েও বেশি সুবিধা ক্রোমওএসের জন্য নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি

দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
গত সেপ্টেম্বরে কোয়ালকমের সিইও ক্রিশ্চিয়ানো অ্যামন গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক অস্টারলো-কে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। এই নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুগল সরাসরি পিসি বাজারকে টার্গেট করছে। এর মূল আকর্ষণ থাকবে জেমিনি, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইকোসিস্টেম এবং একটি শক্তিশালী ডেভেলপার কমিউনিটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ নাম ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’ বা ‘এএলওএস’ সামনে এসেছে। এটি সম্ভবত ক্রোমিয়াম-এর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। এই চাকরির বিজ্ঞাপনটি ছিল ‘অ্যান্ড্রয়েড ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট’-এর জন্য একজন সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজারের। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ওএস হলো ‘অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক’ এবং এটির ‘মূলে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি শুধু প্রথাগত ল্যাপটপেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অ্যালুমিনিয়াম ওএস বাণিজ্যিক বাজারে ল্যাপটপ, ডিটাচেবল, ট্যাবলেট এবং ক্রোমবক্সসহ বিভিন্ন ফর্ম ফ্যাক্টরে প্রবেশ করবে। বাজার ধরার জন্য এটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমন এএল এন্ট্রি, এএল ম্যাস প্রিমিয়াম এবং এএল প্রিমিয়াম।
তবে আপাতত অ্যালুমিনিয়াম ওএস এবং ক্রোমওএস প্ল্যাটফর্ম দুটি সমান্তরালভাবে চলতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ বিদ্যমান ডিভাইসগুলোর সাপোর্ট লাইফ সাইকেল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রিমিয়াম বাজারে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গুগল সম্ভবত এই নতুন সিস্টেমটির জন্য ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনতে পারে অথবা এটিকে ক্রোমওএস নামেই নতুনভাবে বাজারজাত করতে পারে।
হার্ডওয়্যার ফ্রন্টে, কোয়ালকমের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন এক্স২ এলিট চিপ অ্যালুমিনিয়াম ওএস-ভিত্তিক পিসিগুলোতে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। কোয়ালকমের সিইওর মন্তব্যের কারণে এই অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। এই নতুন প্ল্যাটফর্ম পিসি বাজারে উইন্ডোজের জন্য তৈরি স্ন্যাপড্রাগন চিপগুলোর চেয়েও বেশি সুবিধা ক্রোমওএসের জন্য নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গত শনিবার রাজধানীর...
২১ ঘণ্টা আগেসন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার
১ দিন আগে
গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি
২ দিন আগে
গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি গ্রুপ।
চলতি বছরের অক্টোবরেই গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে একটি বৃহৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে। এই প্রকল্প এখন পর্যন্ত ভারতে গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।
এআই প্রযুক্তিতে বিপুল পরিমাণ কম্পিউটিং শক্তি বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হয়। যেহেতু এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। তাই হাজার হাজার চিপ একসঙ্গে যুক্ত করে বিশেষায়িত ডেটা সেন্টারের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।
আদানি গ্রুপের সিএফও জুগেশিন্দার সিং জানান, গুগলের এ প্রকল্প আদানি কনেক্সকে (আদানি এন্টারপ্রাইজেস ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটা সেন্টার অপারেটর এজকনেক্সের যৌথ উদ্যোগ) সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘শুধু গুগল নয়, অনেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
গুগল চলতি বছরই বিশ্বব্যাপী ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াতে ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এআইয়ের ব্যবহার বাড়ায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে বড় ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকছে।
ভারতের দুই শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিও দেশের ভেতরে বিশাল আকারের ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
জানা গেছে, গুগলের এআই ডেটা সেন্টারটি অন্ধ্র প্রদেশের বন্দরনগর বিশাখাপট্টনমে নির্মিত হবে। প্রকল্পের প্রাথমিক ক্ষমতা থাকবে ১ গিগাওয়াট, যা ভারতের ডেটা সেন্টার শিল্পে একটি বিশাল মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি গ্রুপ।
চলতি বছরের অক্টোবরেই গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে একটি বৃহৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে। এই প্রকল্প এখন পর্যন্ত ভারতে গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।
এআই প্রযুক্তিতে বিপুল পরিমাণ কম্পিউটিং শক্তি বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হয়। যেহেতু এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। তাই হাজার হাজার চিপ একসঙ্গে যুক্ত করে বিশেষায়িত ডেটা সেন্টারের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।
আদানি গ্রুপের সিএফও জুগেশিন্দার সিং জানান, গুগলের এ প্রকল্প আদানি কনেক্সকে (আদানি এন্টারপ্রাইজেস ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটা সেন্টার অপারেটর এজকনেক্সের যৌথ উদ্যোগ) সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘শুধু গুগল নয়, অনেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
গুগল চলতি বছরই বিশ্বব্যাপী ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াতে ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এআইয়ের ব্যবহার বাড়ায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে বড় ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকছে।
ভারতের দুই শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিও দেশের ভেতরে বিশাল আকারের ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
জানা গেছে, গুগলের এআই ডেটা সেন্টারটি অন্ধ্র প্রদেশের বন্দরনগর বিশাখাপট্টনমে নির্মিত হবে। প্রকল্পের প্রাথমিক ক্ষমতা থাকবে ১ গিগাওয়াট, যা ভারতের ডেটা সেন্টার শিল্পে একটি বিশাল মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গত শনিবার রাজধানীর...
২১ ঘণ্টা আগেসন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েড-এর সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
১ দিন আগে
গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—
২ দিন আগেবাসস, ঢাকা

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য), প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) ও বেআইনি মানহানিকর তথ্য ছাড়া দেশের কোনো পত্রিকার সংবাদ, অনলাইন নিবন্ধ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, ভিডিও, রিলস বা রাজনৈতিক সমালোচনামূলক কনটেন্ট অপসারণে কখনো কোনো প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ করা হয়নি।
গুগলকে কনটেন্ট সরাতে অনুরোধের বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং মিসইনফরমেশন-কেন্দ্রিক চরিত্র হননের বাইরে দেশের কোনো পত্রিকার নিউজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত পোস্ট, ভিডিও কনটেন্ট, রিলস, অনলাইনে প্রকাশিত আর্টিকেল, অভ্যন্তরীণ কোনো সমালোচকের রাজনৈতিক সমালোচনামূলক কোনো কনটেন্ট সরাতে সরকার কোনো প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ করেনি।
উল্লেখ্য, মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং মিসইনফরমেশন-কেন্দ্রিক বেআইনি মানহানিকর তথ্য দিয়ে কারও চরিত্র হননের চেষ্টা-সংক্রান্ত তথ্য অপসারণের অনুরোধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ এবং জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মাধ্যমে বিটিআরসিতে যায়।
বর্তমান সরকার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগের সিআরআই বা এ-জাতীয় কোনো বট বাহিনী পরিচালনা করে না। বিটিআরসি বা এনটিএমসিসহ বাংলাদেশের কোনো এজেন্সি বা সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট ডাউন করার ক্ষমতা রাখে না, সে জন্য যেকোনো অনুরোধ সোশ্যাল মিডিয়া ও টেক প্ল্যাটফর্মকে জানাতে হয়।
জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অ্যানালাইসিস করে দেখা যায়, ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ২৭৯টি অনুরোধ যায়। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের জুন-ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে পাঠানো ছয় মাসের মোট সংখ্যা ৮৬৭-এর তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম।
তার আগের ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর ’২৪, এই ৬ মাসে, বাংলাদেশ রিকোয়েস্ট করেছে মাত্র ১৫৩টি, যা আওয়ামী আমলের সর্বোচ্চ অনুরোধ সংখ্যার সাড়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগ। এবং আওয়ামী আমলের সর্বনিম্ন রিকোয়েস্ট জুন-ডিসেম্বর ২০২৩ সময়ের ৫৯১টির অর্ধেকেরও কম।
অর্থাৎ স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকার এত কমসংখ্যক রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্য নয়। এখানে আরও উল্লেখ্য যে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট মতে ৬৫ শতাংশ অনুরোধ হচ্ছে ‘Not enough information’ ক্যাটাগরিতে, অর্থাৎ এসব বিষয় বিশেষ উদ্দেশ্যপূর্ণ ছিল না।
সোর্স: https://transparencyreport.google.com/government-removals/government-requests/BD
জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়কালে বাংলাদেশ ভেতর ও বাহির থেকে এক অনাকাঙ্ক্ষিতহারে মিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইনের শিকার হয়। প্রতিবেশী দেশের মিডিয়া থেকে ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিসইনফরমেশন ও প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন শুরু হয়। সরকারকে এসবের বিরুদ্ধে বেশকিছু রিপোর্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুগলকে দিতে হয়েছে।
পাশাপাশি এ সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ হয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানুষ খুনের বিচার শুরু হলে আওয়ামী লীগ সাইবার স্পেসে ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিসইনফো ক্যাম্পেইনসহ সন্ত্রাসের আহ্বান শুরু করে।
দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, ধর্মীয়, জাতিগত এবং নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোকে অনলাইনে ও অফলাইনে সুরক্ষা দান সরকারের দৈনিক দায়িত্বের অংশ। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাইবার স্পেস দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্যতম এলিমেন্ট হয়ে উঠেছে, তাই বিশ্বের সব দেশের মতোই বাংলাদেশ সরকারকে এখানে রেগুলেশনের নিমিত্তে কিছু রিপোর্ট করতে হয়। পাশাপাশি সরকার অনলাইন জুয়া এবং গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত কিছু টেক-ডাউন রিকোয়েস্টও করেছে।
যেহেতু গুগলের স্বচ্ছতা রিপোর্টে মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং ক্যারেক্টার এসাসিনেশন-বিষয়ক আলাদা কোনো ক্যাটাগরি নেই, এসব রিপোর্ট সরকারের সমালোচনা ক্যাটাগরিতে দেখানো হয়েছে। তথাপি এই সংখ্যা আওয়ামী সরকারের তুলনায় সংখ্যায় পাঁচ ভাগের এক ভাগেরও কম।
অত্যন্ত হতাশার বিষয় এই যে বাংলা ও ইংরেজিতে এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পূর্বে সরকারের ব্যাখ্যা কিংবা বক্তব্য চাওয়া হয়নি। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে এ রকম চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশের হীনম্মন্য প্রবণতা, সমাজের স্থিতিশীলতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যাহীন খণ্ডিত সংবাদ প্রকাশ, কোনোভাবেই দায়িত্বশীল মিডিয়ার ভূমিকা হতে পারে না।
উল্লেখযোগ্য যে জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, শতাধিক বড়ো আন্দোলন হয়েছে, বেশকিছু মব হয়েছে, মাজার ভাঙ্গাসহ সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ‘মব লিঞ্চিং’ বা গণপিটুনিতে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে কয়েকটি। বছরের শুরুতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছিল, যার সাথে সরকারের একটি স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ কার্যক্রমও সম্পর্কিত ছিল।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনেও ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা এবং প্রতিশোধের প্রবণতা দেখা গেছে। ফলে সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোশ্যাল হারমনি রক্ষায় সরকার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সরকারি দায়িত্বশীল রিপোর্ট করেছে।
সরকার অত্যন্ত গর্বের সাথে নাগরিকদের জানাতে চায় যে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে প্রকাশিত সূচকে দেশের বাক্স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট সূচকের অসামান্য অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে। বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের বাক্স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট সূচকের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ফ্রিডম হাউসের ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একক দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশটির স্কোর গত বছরের ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫ হয়েছে, যা সাত বছরে সর্বোচ্চ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলে দমনমূলক সরকার অপসারিত হওয়ায় এবং অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ প্রতিরোধে পদক্ষেপ এবং সাইবার সুরক্ষায় ইতিবাচক সংস্কার নেওয়ার ফলে এই উন্নতি হয়েছে।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে করা কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সরকারের ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য), প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) ও বেআইনি মানহানিকর তথ্য ছাড়া দেশের কোনো পত্রিকার সংবাদ, অনলাইন নিবন্ধ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, ভিডিও, রিলস বা রাজনৈতিক সমালোচনামূলক কনটেন্ট অপসারণে কখনো কোনো প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ করা হয়নি।
গুগলকে কনটেন্ট সরাতে অনুরোধের বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং মিসইনফরমেশন-কেন্দ্রিক চরিত্র হননের বাইরে দেশের কোনো পত্রিকার নিউজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত পোস্ট, ভিডিও কনটেন্ট, রিলস, অনলাইনে প্রকাশিত আর্টিকেল, অভ্যন্তরীণ কোনো সমালোচকের রাজনৈতিক সমালোচনামূলক কোনো কনটেন্ট সরাতে সরকার কোনো প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ করেনি।
উল্লেখ্য, মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং মিসইনফরমেশন-কেন্দ্রিক বেআইনি মানহানিকর তথ্য দিয়ে কারও চরিত্র হননের চেষ্টা-সংক্রান্ত তথ্য অপসারণের অনুরোধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ এবং জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মাধ্যমে বিটিআরসিতে যায়।
বর্তমান সরকার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগের সিআরআই বা এ-জাতীয় কোনো বট বাহিনী পরিচালনা করে না। বিটিআরসি বা এনটিএমসিসহ বাংলাদেশের কোনো এজেন্সি বা সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট ডাউন করার ক্ষমতা রাখে না, সে জন্য যেকোনো অনুরোধ সোশ্যাল মিডিয়া ও টেক প্ল্যাটফর্মকে জানাতে হয়।
জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অ্যানালাইসিস করে দেখা যায়, ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ২৭৯টি অনুরোধ যায়। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের জুন-ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে পাঠানো ছয় মাসের মোট সংখ্যা ৮৬৭-এর তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম।
তার আগের ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর ’২৪, এই ৬ মাসে, বাংলাদেশ রিকোয়েস্ট করেছে মাত্র ১৫৩টি, যা আওয়ামী আমলের সর্বোচ্চ অনুরোধ সংখ্যার সাড়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগ। এবং আওয়ামী আমলের সর্বনিম্ন রিকোয়েস্ট জুন-ডিসেম্বর ২০২৩ সময়ের ৫৯১টির অর্ধেকেরও কম।
অর্থাৎ স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকার এত কমসংখ্যক রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্য নয়। এখানে আরও উল্লেখ্য যে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট মতে ৬৫ শতাংশ অনুরোধ হচ্ছে ‘Not enough information’ ক্যাটাগরিতে, অর্থাৎ এসব বিষয় বিশেষ উদ্দেশ্যপূর্ণ ছিল না।
সোর্স: https://transparencyreport.google.com/government-removals/government-requests/BD
জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়কালে বাংলাদেশ ভেতর ও বাহির থেকে এক অনাকাঙ্ক্ষিতহারে মিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইনের শিকার হয়। প্রতিবেশী দেশের মিডিয়া থেকে ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিসইনফরমেশন ও প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন শুরু হয়। সরকারকে এসবের বিরুদ্ধে বেশকিছু রিপোর্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুগলকে দিতে হয়েছে।
পাশাপাশি এ সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ হয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানুষ খুনের বিচার শুরু হলে আওয়ামী লীগ সাইবার স্পেসে ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিসইনফো ক্যাম্পেইনসহ সন্ত্রাসের আহ্বান শুরু করে।
দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, ধর্মীয়, জাতিগত এবং নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোকে অনলাইনে ও অফলাইনে সুরক্ষা দান সরকারের দৈনিক দায়িত্বের অংশ। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাইবার স্পেস দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্যতম এলিমেন্ট হয়ে উঠেছে, তাই বিশ্বের সব দেশের মতোই বাংলাদেশ সরকারকে এখানে রেগুলেশনের নিমিত্তে কিছু রিপোর্ট করতে হয়। পাশাপাশি সরকার অনলাইন জুয়া এবং গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত কিছু টেক-ডাউন রিকোয়েস্টও করেছে।
যেহেতু গুগলের স্বচ্ছতা রিপোর্টে মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা এবং ক্যারেক্টার এসাসিনেশন-বিষয়ক আলাদা কোনো ক্যাটাগরি নেই, এসব রিপোর্ট সরকারের সমালোচনা ক্যাটাগরিতে দেখানো হয়েছে। তথাপি এই সংখ্যা আওয়ামী সরকারের তুলনায় সংখ্যায় পাঁচ ভাগের এক ভাগেরও কম।
অত্যন্ত হতাশার বিষয় এই যে বাংলা ও ইংরেজিতে এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পূর্বে সরকারের ব্যাখ্যা কিংবা বক্তব্য চাওয়া হয়নি। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে এ রকম চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশের হীনম্মন্য প্রবণতা, সমাজের স্থিতিশীলতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যাহীন খণ্ডিত সংবাদ প্রকাশ, কোনোভাবেই দায়িত্বশীল মিডিয়ার ভূমিকা হতে পারে না।
উল্লেখযোগ্য যে জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, শতাধিক বড়ো আন্দোলন হয়েছে, বেশকিছু মব হয়েছে, মাজার ভাঙ্গাসহ সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ‘মব লিঞ্চিং’ বা গণপিটুনিতে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে কয়েকটি। বছরের শুরুতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছিল, যার সাথে সরকারের একটি স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ কার্যক্রমও সম্পর্কিত ছিল।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনেও ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা এবং প্রতিশোধের প্রবণতা দেখা গেছে। ফলে সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোশ্যাল হারমনি রক্ষায় সরকার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সরকারি দায়িত্বশীল রিপোর্ট করেছে।
সরকার অত্যন্ত গর্বের সাথে নাগরিকদের জানাতে চায় যে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে প্রকাশিত সূচকে দেশের বাক্স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট সূচকের অসামান্য অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে। বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের বাক্স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট সূচকের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ফ্রিডম হাউসের ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একক দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশটির স্কোর গত বছরের ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫ হয়েছে, যা সাত বছরে সর্বোচ্চ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলে দমনমূলক সরকার অপসারিত হওয়ায় এবং অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ প্রতিরোধে পদক্ষেপ এবং সাইবার সুরক্ষায় ইতিবাচক সংস্কার নেওয়ার ফলে এই উন্নতি হয়েছে।

বার্তাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য যাচাই, ডেটা বিশ্লেষণ ও অটোমেশন—সবখানে এআই এখন সাংবাদিকদের সহায়ক মাধ্যম। কিন্তু এই শক্তিশালী টুলকে কীভাবে দায়িত্বশীল ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গত শনিবার রাজধানীর...
২১ ঘণ্টা আগেসন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে—এ নিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে, সে হোক প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মোবাইল ফোনে নজরদারি বা ট্র্যাকিং করাকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। তবে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত—এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। আর সন্তানেরা এটিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাও দেখার
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল গুগল। ক্রোমওএস-কে অ্যান্ড্রয়েড-এর সঙ্গে একীভূত করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে সংস্থাটি। অভ্যন্তরীণভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালুমিনিয়াম ওএস’।
১ দিন আগে
গুগলের এআই ডেটা সেন্টার প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার গ্রুপটির একজন শীর্ষ নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ডেটা ধারণক্ষমতার চাহিদা দ্রুত বাড়ায় এ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি
২ দিন আগে